09-01-2016 06:45 AM
(ব্রাহ্মণবাড়িয়া)বাঞ্ছারামপুর উপজেলার রূপসদী গ্রামের শতবর্ষের জমিদার বাড়িটি ধ্বংস হতে বসেছে। ১৯১৫ সালে ভারত থেকে নকসা ও রাজমিস্ত্রী এনে তীর্থবাসী চন্দ্র রায় ৫ একর জমির উপর এ অট্রালিকা নির্মাণ করেন। এ বাড়িতে তিনটি পুকুর ছিল। বড় বড় মাছ ছিল এসব পুকুরে। এক সময় বৈশাখী মেলা বসতো এ জমিদার বাড়িতে। উপজেলার বিভিন্ন এলাকার লোক বৈশাখী উত্সব উদযাপন করার জন্য জমিদার বাড়িতে ভিড় জমাতো। প্রতিবছর হতো কীর্তন নামযষ্ণসহ নানা ধর্মীয় অনুষ্ঠান। একটি বড় পূজা মণ্ডপ ছিল পূর্ব দিকে।
জমিদার তীর্থবাসী চন্দ্র রায় রাজকীয় ভঙ্গিতে ঘোড়ায় চড়ে বিভিন্ন এলাকায় যাতায়াত করতেন। তার ছেলে মহিষ চন্দ্র রায় এলাকায় শিক্ষা বিস্তারের লক্ষ্যে ১৯১৫ সালে সাড়ে চার একর জমির উপর নির্মাণ করেন রূপসদী বৃন্দাবন উচ্চ বিদ্যালয়।
একই সালে তীর্থবাসীর স্মৃতি রক্ষায় নির্মাণ করা হয় একটি বিরাট মঠ। জমিদার বাড়িতে এখন আর পূজা হয় না, কীর্তনের আসর বসে না, হয় না বৈশাখী মেলা, নহবতের সুর আর বাতাস মাতিয়ে তোলে না। জমিদারী প্রথা বিলুপ্ত হওয়ার পর ধীরে ধীরে জৌলুস হারাতে থাকে জমিদার বাড়ি। কালের বিবর্তনে জমিদার বাড়িটি এখন অন্ধকারে নিমজ্জিত।
সংস্কারের অভাবে বাড়িটির প্লাষ্টার ধসে যাচ্ছে। পূজা মণ্ডবের ছাদ ভেঙ্গে গেছে। শুধু দেয়ালগুলো দাঁড়িয়ে আছে কালের সাক্ষী হয়ে।
12-03-2016 09:39 PM
@সহলপ সত্যিই একটা গুরুত্বপূর্ণ নিদর্শন, ঐতিহাসিক স্থাপনা,, সরকারের একটু সুদৃষ্টিতে এটা সংস্কার করা যেত।।।
তাছাড়া সুন্দর লিখেছেন,
♿ Accessibility Champion ♿My Last Meet-Up's RECAP||Our Upcoming Meet-Up ||আমাদের সাথে যোগ দিন || Happy Guiding!!