মিশরে আমার ১ম দিনে আজ ঘুরতে বেরিয়েছিলাম আলেকজান্দ্রিয়ায়।
আমার আজ বিশেষ কিছু প্লান ছিল না। প্রথমেই হোমস্টে থেকে বের হয়ে লোকাল বাজারের মাঝ দিয়ে কিছুদূর হাটতে হাটতে ম্যাকডোনাল্ড এ গিয়ে দুপুরের খাবার খেয়ে নিলাম।
তারপরও বের হয়ে কর্নিশ দিয়ে হেটে হেটে একেবারে কায়েতবে সিটাডেল পর্যন্ত চলে গিয়েছিলাম। আগে অবশ্য একটা ছোট ট্রাম রাইড নিয়েছিলাম। আসার সময় আবার শেয়ার্ড মাইক্রোবাসে এসে দুইটা পয়েন্ট দেখলাম। Alexandria Naval Unknown Soldier Memorial & Mohamed Ali Pasha Statue।
তারপর ডাউন্টাউন এরিয়া দিয়ে হাটতে হাটতে চলে আসলাম। El Raml ট্রাম স্টেশনে। এখানে এসে KFC তে রাতের খাবার খেয়ে নিলাম। KFC McDonald's ছিল বলেই খেয়ে বেচে আছি এখনো 🐸 তারপর ট্রামে করে মাত্র ১ পাউন্ড দিয়ে আমার হোম স্টের কাছে চলে আসলাম।
আজকে অনেক ভাল লাগছে ঘুরে। স্পেশালি আজকে লোকাল যত লোকের সাথে ইন্টারএকশন হইছে অনেক ভাল লেগেছে। মেবি এইটা কাইরোর মত না তাই সবাই ভাল এত। ইয়াং ছেলে বা একটু সিনিয়র সবাই অনেক হেল্পফুল ছিল।
আর মিশরে সবকিছু সস্তাই মনে হল। আমাদের ঢাকার মতই বলব। আর জর্ডান থেকে এখানে এসে তো সব পানির দাম মনে হচ্ছে 🐸
এখানে ১.৫ লিটার পানি কিনলাম ৬ পাউন্ড মানে ২৮ টাকার মত। শেয়ার্ড মাইরক্রোবাস ২ পাউন্ড। ট্রামে যেখানেই যান ২ বা ১ পাউন্ড (শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত, সারা শহরে নাই)। আবার উবারও আছে, এখানে বাইকও আছে উবারে। তবে এই শহরেই দেখলাম উবারের চেয়ে Careem এ ভাড়া কম। বাইকে তো প্রায় অর্ধেক।
আবার সিটাডেল এর এন্ট্রি ফিতে ৫০% ছাড় পেলাম হায়া কার্ডের জন্য। নরমালি ৬০ পাউন্ড, আমাকে দিল ৩০।পাউন্ডের স্টুডেন্ট টিকেট। যদিও কাউন্টারের মহিলা। প্রথমে বোঝে নাই পরে তার সুপারভাইজারকে ডাকলে আমি হায়া কার্ড ও তাদের টুইটার পেইজের পোস্ট দেখালে দিয়ে দিল। আর হায়া হায়া বলে মজা করল আরকি 😬
কায়েতবে সিটাডেল ভালই ছিল। দূর থেকে একে অনেক ছোট মনে হয়। কিন্তু ভিতরে অনেক জায়গা। আর বাইরের শত্রু থেকে শহরকে রক্ষা করতে কি কি সিস্টেম রাখছিল দেখলাম। বিশেষ করে সন্ধ্যার আগের ভিউটা ওপরিবেশটা অসাধারণ ছিল।