এ কি অপরুপ রুপে মা তোমায় হেরিনু পল্লী-জননী।
ফুলে ও ফসলে কাদা মাটি জলে ঝলমল করে লাবনি।
বাংলার অপরূপ রূপে মুগ্ধ হওয়া ছাড়া উপায় নেই। আর এই রূপ পরিবর্তন হতে থাকে প্রতি দুই মাস অন্তর অন্তর। সর্বদা নতুনরূপে বিমোহিত হয়ে থাকবেন আপনিও।
প্রকৃতিতে এখন চলছে আমার প্রিয় ঋতু শরৎকাল। পরিষ্কার নীল আকাশে সাদা মেঘের ভেলা, মাটিতে বেড়ে উঠতে থাকা সবুজ শস্য ক্ষেত, নদীর ধারে সাদা কাশফুল, নাতিশীতোষ্ণ তাপমাত্রা আর বর্ষার পানি নামতে শুরু করায় বিলে-ঝিলে, পুকুরে অগণিত নীল সাদা শাপলাও পদ্ম ফুলের সমারোহ।
গত সপ্তাহে আমি গিয়েছিলাম এলাকার পার্শ্ববর্তী বিলে শাপলা ফুলের অপরূপ সৌন্দর্য অবলোকন করতে।
শাপলা ফুল ভোর বেলা ফোটে এবং দিনের আলো বাড়ার সাথে সাথে পাঁপড়ি বুজে যায়। তাই পূর্ববর্তী কয়েকদিন বিকাল বেলায় বিলে গিয়ে সব শাপলা ঘুমিয়ে আছে, মানে পাঁপড়ি বুজে গেছে।
শাপলার পাতা আর ফুলের ডাটি পানির নিচে মূলের সাথে যুক্ত থাকে। আর এই মূল যুক্ত থাকে মাটির সঙ্গে এবং পাতা পানির উপর ভেসে থাকে। মূল থেকেই নতুন পাতার জন্ম নেয়। পাতাগুলো গোল এবং সবুজ রঙের হয়।
শাপলা ফুল অনেক রঙের হলেও কেবল সাদা শাপলা বাংলাদেশের জাতীয় ফুলের মর্যাদা পেয়েছে।
শাপলার ডাটা সবজী হিসেবে খাওয়া হয়। আমার তুলে আনা শাপলার ডাটাগুলোও আমরা তরকারি রান্না করে খেয়েছি, চিংড়ি মাছ দিয়ে রান্না করলে খুব সুস্বাদু হয় খেতে।
পূর্ণবিকশিত শাপলা ফুলের গর্ভাশয়ে গুড়ি গুড়ি বীজ থাকে। একে গ্রামাঞ্চলে ব্যাট বলা হয়। ব্যাটের আঠালো এই বীজ বাংলাদেশের গ্রামের মানুষজন খেয়ে থাকেন। এই বীজ ভেজে একধরনের খাবার খৈ তৈরি হয় যার নাম “ঢ্যাপের খৈ”। গাছের গোড়ায় থাকে আলুর মত এক ধরনের কন্দ যার নাম শালুক। এগুলোও খাওয়া হয়।
এই শাপলা ফুল, বিল থেকে সংংগ্রহ করা, এই নিয়ে আমার এই ছোট্র ভিডিওটি চাইলে দেখে আসতে পারেন, আশা করি ভাল লাগবে।
সবাইকে আন্তরিক ধন্যবাদ পোস্টটি পড়ার জন্য।
আপনাদের মূল্যবান মতামত জানাতে ভুলবেন না।
শাপলা নিয়ে কোনো স্মৃতি থাকলে শেয়ার করুন আমার সাথে।
#bdlg #