হ্যালো লোকাইড গাইডস,
গত সপ্তাহে আমি ঘুরে আসলাম দিনাজপুর জেলার কাহারোল উপজেলার কান্তনগরের অবস্থিত বাংলাদেশের সর্বোৎকৃষ্ট টেরাকোটাআ শিল্পের নিদর্শন কান্তজি মন্দির থেকে।
সুদূর পারস্য থেকে নির্মান শিল্পীদের এনে মহারাজা প্রাণনাথ রায় মন্দিরটি শ্রীকৃষ্ণ ও তাঁর স্ত্রী রুক্মিণীকে উৎসর্গ করে নির্মিত করেন। এটির নির্মাণ ১৭০৪ খ্রিস্টাব্দে শুরু হয় এবং ১৭৫২ খ্রিস্টাব্দে তাঁর পুত্র রাজা রামনাথ রায়ের রাজত্বকালে শেষ হয়।
মন্দিরটি এখন দেখতে যেমন, পূর্বে নির্মাণ করার সময় এর গঠন এমন ছিল না। মন্দিরের উপরের দিকে অনেকগুলো চূড়া ছিল, যেগুলোকে নবরত্ন নামে ডাকা হতো। কিন্তু ১৮৯৭ সালের এই অঞ্চলে বিরাট ভূমিকম্প হয়, এই ভূমিকম্পে মন্দিরটির সবগুলো চূড়ায় ভেঙে যায়।
মন্দিরের বাহিরে বিভিন্ন ফুলফলের গাছ দিয়ে সজ্জিত বড় একটি প্রাঙ্গন রয়েছে। প্রতি বছর শীতের শুরুতেএই প্রাঙ্গণে এক মাস ব্যাপী রাস মেলা অনুষ্ঠিত হয়। জানা যায় মহারাজা রামনাথ রায়ের সময়কাল থেকেই এই রাস মেলা অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে। মেলা চলাকালীন সময় অনেক তীর্থ যাত্রী ভারত ও বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে মন্দিরে তীর্থ যাত্রা করেন।
যেভাবে যাবেনঃ দিনাজপুর সদর থেকে সরাসরি অটো রিক্সা দিয়ে বা ব্যক্তিগত গাড়ি নিয়ে মন্দিরটিতে আসতে পারবেন,। অটো রিক্সাতে জনপ্রতি ভাড়া পড়বে ৫০ টাকা। রংপুর থেকে কেউ আসতে চাইলে প্রথমে ১০ মাইল আসতে হবে, সেখান থেকে ২০ টাকা অটো ভাড়া দিয়ে আসতে পারবেন।
আর মন্দিরে প্রবেশের জন্য কোনো রকম টিকিট কাটতে হয়না।
বিশেষ সতর্কতা: এটি ঐতিহাসিক স্থান হলেও এটি একটি ধর্মীয় স্থান, তাই কেউ এমন কিছু করবেন না যাতে মন্দিরের মাহাত্ম্য নস্ট হয়। শালীনতা বজাই রেখে দর্শন করবেন।
তথ্যগুলো উইকিপিডিয়া ও মন্দিরের সামনে লাগানো ফলক থেকে সংগ্রহ করা।
লিখায়ঃ Nasim M Joy
আমি Nasim M Joy একজন বাংলাদেশি সলো ট্রাভেলার ও পরিবেশ কর্মী। ঘুরে দেখতে চাই দেশ ও বিদেশের বিভিন্ন ঐতিহাসিক স্থান ও প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন । সেই জন্যই ঘুরে বেড়াচ্ছি দেশের এ প্রান্ত থেকে ও প্রান্ত।