শুধু গ্রাম বাংলার ই নয়, সমগ্র বাংলাদেশের ই ঐতিহ্য হচ্ছে এই গ্রামীণ হাট। একসময় ছিল যখন ব্যবসা বাণিজ্যের প্রধান কেন্দ্রস্থল ছিল এই হাট।
নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র জন্য মানুষকে এই হাটের উপর ই পুরোপুরি নির্ভর করতে হত, সপ্তাহ মানে প্রতি সপ্তাহের যে কোন নির্দিষ্ট দিনে এই হাট পরিচালিত হত, সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত কোন কোন ক্ষেত্রে রাত্রির নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত চলত এই হাট।
শুধুমাত্র নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র ই নয় প্রয়োজনীয় সকল জিনিসপত্র এর একমাত্র যায়গা ছিল এই হাট, কোরবানির গরু ছাগল থেকে শুরু করে ঘরের চাল ডাল আসবাবপত্র সহ মহিলারা তাদের প্রসাধনী সামগ্রীর জন্যও অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করত নির্দিষ্ট সেই হাটবারের জন্য।
কাইকেরটাইক হাট গ্রাম বাংলার সেই ঐতিহ্যের ধারক ও বাহক হিসেবে শতাব্দী ধরে কাজ করে যাচ্ছে। যান্ত্রিক সভ্যতার এই যুগে মানুষ যখন হাতের বোতাম টিপে গড়ে বসেই সকল প্রয়োজনীয় জিনিসের যেগান দিতে সম্ভব হচ্ছে, যেখানে পুরো বিশ্বই চলে এসেছে সেই আংগুলের একটি চাপের উপর, সেখানে এই কাইকেরটাইক হাট এখনো সেই বটগাছের মত স্বাক্ষী হয়ে এখনো মানুষের পাশে তার প্রয়োজন মেটানোর জন্য তার দায়ভার মিটিয়ে যাচ্ছে। কালের স্বাক্ষী এই হাট ধীরে ধীরে মানুষের প্রয়োজন মেটানোর পাশাপাশি দূর দুরান্ত থেকে আগত মানুষের জন্য প্রর্যটন হিসেবে পরিচিত পেয়ে যাচ্ছে। এই হাটের রক্ষণাবেক্ষণ করার জন্য এই এলাকার মানুষের মধ্যে রয়েছে যথেষ্ট সচেতনতা, বাংলার ঐতিহাসিক এই হাট কালের গর্ভে যেন হারিয়ে না যায় সেই জন্য সকলের সম্মিলিত সহযোগিতার একান্ত প্রয়োজন।
প্রয়োজনীয় জিনিসের সমাহার-- পর্যায়ক্রমে ঃ
গুরে আসবেন সময় করে
।