জমিদার বাড়ির সম্মুখ ভাগের একটি ছবি [ ছবিঃ মাহাবুব মুন্না ]
সাতক্ষীরার শ্যামনগর সুন্দরবন উপকূল ঘেঁষে সর্বশেষ একটি উপজেলা খুলনা বিভাগের, ভৌগোলিক নানা কারণে এই উপজেলা বেশ বিখ্যাত।
বাংলাদেশের বাণিজ্যিকভাবে উৎপাদিত চিংড়ির একটি বড় খামারী অঞ্চল এই শ্যামনগর উপজেলা কে ঘিরে।
তবে এই জনপদ গড়ে উঠেছে মোগল আমলের আগে এখানে রয়েছে মোগলদের পদচারণার ধ্বংসাবশেষ ঠিক তেমনি কিছু হিন্দু জমিদারদের অস্তিত্ব।
এই পোস্টে আজ শেয়ার করব শ্যামনগর জমিদার বাড়ি ( যা হরিচরন বাবুর বাড়ি হিসেবেও বেশ পরিচিত) এবং জোড়া শিবমন্দির।
বিশাল এলাকা জুড়ে একাধিক বাড়ি, মন্দির, মাঠ, নহবতখানা ও পুকুর সম্বলিত, ধ্বংসপ্রাপ্ত এক নান্দনিক জমিদার বাড়ি।
১৮৬০ সালে জমিদার হরিচরণ রায়চৌধুরী একচল্লিশ কক্ষের তিনতলা বিশিষ্ট এল প্যার্টানের একটি বাড়ি নির্মাণ করেন।
যার অবস্থান সাতক্ষীরা জেলা শহর থেকে প্রায় ৭২ কিলোমিটার দূরে শ্যামনগর উপজেলার শ্রীপুরে।
ম্যাপ লোকেশন ঃ শ্যামনগর জমিদার বাড়ি / হরিচরণ জমিদার বাড়ি
জমিদার বাড়ির ভিতরের একটি অংশ
শ্যামনগর থানার দুই কিলোমিটার পূর্বে অবস্থিত এই জমিদার বাড়ি দুই তলা বিশিষ্ট। যার প্রাচীন স্থাপত্য শৈলীর এক অপূর্ব নিদর্শন।
জমিদার বাড়ির মূল ভবনটি ১৯ মিটার লম্বা, এর ভেতরে ছিলো আটটি পিলার ছিলো। শ্যামনগর, সাতক্ষীরা থেকে ২ কিমি দূরে জমিদার হরিচরণ
রায়ের বাড়ীর দীঘির পাশে জোড়া শিবমন্দির অবস্থিত। সংস্কারের অভাবে খসে পড়ছে ইট-সুরকি। জমিদার বাড়িটিতে আশ্রয় নিয়েছে গরু আর আশ্রয়হীন একটি পরিবার।
কিভাবে যাব: ঢাকা থেকে সাতক্ষীরা শ্যামনগর গামী সরাসরি বাস পাওয়া যায় শ্যামনগর উপজেলার সামনে নেমে সেখান থেকে ইজি বাইক , মোটরবাইক কিংবা ভ্যানে জমিদার বাড়ি পর্যন্ত যাওয়া যায়।
প্রবেশ মূল্য: জায়গাটি এখনো উন্মুক্ত তাই কোন প্রবেশ মূল্য নির্ধারণ করেনি যদিও উহা প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের অধীনস্থ।
আশেপাশে দেখার মতো আর কি কি আছে : মোগল আমলের তৈরিকৃত মসজিদ, মোগলদের হাম্মামখানা, ইশ্বরীপুর প্রাচীন গাছ এবং মন্দির, জাহাজঘাটা নৌ দুর্গা
খাওয়া-দাওয়া: শ্যামনগরের এদিকে ঝাল খাবার
জমিদারবাড়ি পুকুর ঘাটে জোরা শিব মন্দির
এক মুসাফিরের ভ্রমন ডাইরি থেকে
Beautiful Bangladesh : Haricharan jamidar bari