সিলেট শহরের অদূরেই অবস্থিত খাদিম নগর ন্যাশনাল রিসার্ভ ফরেস্ট।বনের রাস্তার চারপাশে চা বাগান। একবার বনের ভেতর ঢুকে গেলেই মনে হয় অন্য এক জগত। চারদিকে শুনশান নিরবতা, শুধু পাখ পাখালি আর শুকনা পাতার শব্দ।আর সময়টা যদি হয় শীতকাল তাহলে তো আর কথাই নাই।
পৌঁছাতে সন্ধ্যা হয়ে গেল। সাথে কিছু খাবার ছিল, ওখানেই চা ম্যানেজ হয়ে গেল।চলল রাত ভর আড্ডা।রাতের খাবার গ্রিল আর নান। ১০ টার দিকে উনারা খাবার পরিবেশন করলেন। তারপর বেরিয়ে পড়লাম।
বলে রাখা ভাল, ওখানে নেটওয়ার্ক পায় না,সুতরাং দলছাড়া না হওয়াই উত্তম। তারপর আমরা কাঠ জোগাড় করে আগুন জ্বালালাম, টেম্পারেচার ৭-৮ ডিগ্রি ছিল।দুই তিন প্রস্থ শীতের কাপড়েও শীত মানে না,তখন আগুন ই একমাত্র ভরসা। খেয়াল সবার একটাই আগুন যেন না নিভে। পালা করে লাকড়ি জোগাড় করলাম।সারারাত গান আর আড্ডা চলতে লাগলো। আমরা ছিলাম ১২ জন, আমরা ছাড়াও ৩ টা গ্রুপ ছিল। এর মধ্যে সদ্য বিবাহিত দুজনও ছিলেন।
দিনটা ছিল ২০১৮ সালের ১৫ ডিসেম্বর। রাত ১২ টা ১ মিনিটে সবাই দাঁড়িয়ে মুক্তিযুদ্ধে শহিদদের উদ্দেশ্যে কিছুক্ষণ নিরবতা পালন করি। তারপর ধন ধান্যে পুষ্পে ভরা গান ধরি সবাই মিলে।ওখানকার সবাই সামিল হয়।
সারা রাত এভাবেই চলতে থাকে, যদিও আমাদের থাকার ব্যবস্থা হয়েছিল তাবুতে,তার আর তেমন দরকার পরে নি। ফজরের আজানের পর আমরা জংগলে ট্রেইলিং এ বের হই।থম থমে পরিবেশ, মনে পড়লে গায়ে কাটা দিয়ে উঠে। একজন গাইড ছিলেন আমাদের সাথে।আমরা ৮ টার দিকে ফিরে এসে নাস্তা করি। খিচুড়ি আর ডিম ভূনা।স্বাদে ১০ এ ১০। তারপর আস্তে আস্তে ব্যাগ পত্র নিয়ে রওনা হই গন্তব্যে।
বি.দ্র:
১. ওখানে গেলে তাবুতে থাকা যাবে।আগে থেকে বুকিং দিতে হবে।
২. রাতের খাবার আর সকালের নাস্তা উনারা দিবে
৩. নেটওয়ার্ক থাকে না।
৪. ওয়াশরুম আছে।
৫. চা পাওয়া যাবে।
৬. সিলেট শহর থেকে ১.৩০ ঘন্টা লাগবে যেতে।
৭. বিভিন্ন রাইড আছে,সময় সল্পতার কারনে বিস্তারিত দেখে আসি নি।
@B_Barna ছবিগুলো ফুল পেজ করে দিতে হবে। অন্য কয়েকটা পোস্ট দেখলে বুঝবেন। পোস্ট এডিট এ গিয়ে ছবির উপর ক্লিক করলে কিছু অপসন দেখতে পাবেন, সেখান থেকে ছবিগুলো ফুল পেজ করে দিবেন। ভালো কিছু তথ্য সবার সাথে শেয়ার করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
তবে আপনি যদি আরো একটু সুনির্দিষ্ট ভাবে লেখেন খুব ভালো হয়। আমার সব থেকে ভালো লেগেছে আপনি বাংলায় পোস্ট লিখেছেন। আমরা বাংলাদেশী হিসাবে বাংলাকে সকল স্থানে ছড়িয়ে দিতে চাই। এই সাথে যাওয়া হয়নি আমার। সময় সুযোগ পেলে অবশ্যই আসতে চাই।
এবার আসি অন্য কোথায়।
১: আপনি এখানে ৫ টি ছবি দিয়েছেন। ছবি গুলো লেখার মাঝে মাঝে দিলে খুব ভালো হয়। এতে আপনার লেখার সাথে ছবি গুলো রিলেট করে আপনার স্টোরি টা পাঠক ভালোভাবে Reconstract করতে পারবে।
২: ছবির সাথে ছবির ক্যাপশন অবশ্যই দেবেন। আমরা এটা অনেক সময় দেই না। তবে এটা করলে আপনার ছবির সম্পর্কে আরো ভালো ধারণা পাবেন।
৩: ছবি একটু ওয়াইড তুললে ভালো হয়।
এছাড়া ঠিকই আছে। আপনি আরো ভালো লিখতে পারবেন। আমি বিশ্বাস করি।
আচ্ছা এখানে কি নিজের তাবু খাটিয়ে থাকা যায়? নিজেদের খবর নিজেদের সাথে নিয়ে গেলে কোনো সমস্যা হবে কিনা!?
সুন্দর মন্তব্য আর পরামর্শ দেয়ার জন্য। আগামীতে আরো ভাল লিখার চেষ্টা করব।
ওখানে তাবু আছে, তবে নিজেরা চাইলে নিয়ে যেতে পারেন। আর খাবার যত ইচ্ছা নিয়ে গেলেও কোন সমস্যা নেই। তবে উনারা প্যাকেজ হিসেব করে বিল নিয়ে থাকেন, তাই এব্যাপারে কথা বলে নিলে ভাল হবে।