Sundarban Tour Story: Part- 2 (জামতলা- হরিণ)

ভোর ৫ টায় উঠেই জামতলা বীচ অভিযান।
জামতলা বীচে যেতে হয় প্রায় সাড়ে তিন কিলো পথ হেঁটে বনের ভেতর দিয়ে। তাই বাচ্চা বা অনাগ্রহীদের শিপে থাকার অপশন দেয়া হল। শিপের কো- অর্ডিনেটর রাসেল ভাই ইনস্ট্রাকশন দিল চুপচাপ হেঁটে যেতে, কথা বললে হরিন বা বান্দর সামনে আসবে না। আমরা চুপচাপ এগোতে থাকলাম বীচের দিকে।

৩০-৪০ মিনিট হাঁটার পর পৌছে গেলাম কাঙখিত জামতলা সী বীচে। কর্দমাক্ত সী বীচ। বালু নেই। গতবার যখন এসেছিলাম তখন এখানে ফুটবল খেলেছিলাম। এখন আর সে পরিবেশ বা পরিস্থিতি কোনটাই নেই। বীচে কিছুক্ষণ সময় কাটিয়ে গ্রুপ ছবি তুলে রওনা দেই ট্রলারের দিকে।

আসার পথে দূর থেকে চোখে পড়ল অসংখ্য হরিণ। এই প্রথম বনে বিচরণকারী হরিণ চোখে পড়ল। কিন্তু দূর থেকেই দেখতে হল। কারণ কাছে গেলেই হরিণ গুলোও বনের ভেতরে ঢুকে যায়। একটা বান্দরও পেলাম। আমাদের দেওয়া কমলা খুব যত্নের সঙ্গে খেল।

এবার আমাদের গন্তব্য অফিস পাড়। ফরেস্ট গেস্ট হাউস। যাবার পথে চলল ক্যানেল ক্রুইজিং। সরু ক্যানালের ভেতর দিয়ে ট্রলার চলছে। ফরেস্ট গার্ড আমাদের গোলপাতার গাছ দেখাল। বাঘের পায়ের ছাপ দেখাল। বলল এখানে বাঘ আসে প্রায়ই। খুব কাছ থেকে হরিণেরও দেখা মিলল।

অফিস পাড়ের একটা জায়গায় কেওড়া বাগান আছে। সেখানে প্রচুর হরিণ আসে। আমরা হরিণকে সেই কেওড়া পাতা খাওয়াতেই যাচ্ছি। কিন্তু হরিণ ত ধরা দেবে না। তাই একজন গিয়ে কিছু কেওড়ার ডাল রেখে আসল। আমরা দূরে গাছের আড়াল হতেই ২০-২৫ টা হরিণ দল বেধে কেওড়া পাতা খেতে আসল। আমরা দূর থেকেই দেখে এবং ছবি তুলে শান্তি পেলাম। দ্রুতই রুমে চলে এলাম। এরপর বাকি সৌন্দর্য্য দূরবীন দিয়েই অবলোকন করলাম।

6 Likes