শাহ সূফী ফতেহ আলী ওয়াইসী রাসুলনোমা, উনি ছিলেন একজন সুফি সাধক ও ফারসি ভাষার কবি।
চট্টগ্রাম জেলার সাতকানিয়া উপজেলার আমিরা বাজার গ্রামে তাঁর জন্ম। তাঁর পিতা ওয়ারেস আলীও ছিলেন একজন সুফি সাধক। সৈয়দ আহমদ ব্রেলভী উনিশ শতকের বিশের দশকে ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে যে জেহাদের ডাক দিয়েছিলেন, তাতে অংশগ্রহণকারী বাঙালিদের একজন ছিলেন ওয়ারেস আলী। তিনি ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে বালাকোটের যুদ্ধে শহীদ হন।
আমি যখন কলকাতা যাবো প্লান ঠিক করি তখন আমার একজন ওস্তাদ বললেন আমি যেন শাহ সূফী ফতেহ আলী ওয়াইসী রহঃ মাজার শরিফ জিয়ারত করে আসি। আগ্রহ বসত বিভিন্ন সাইটে সার্চ করে উনার জীবনী আধ্যাত্মিকতা দর্শন বিভিন্ন কিছু জানার পরে আগ্রহ টা আরোও বেড়ে যায়। আমার সফরসঙ্গী বন্ধুরা যখন ঘুমাচ্ছিলো আমি তখন কলকাতা নিউ মার্কেট থেকে ১২০ রুপিতে ট্যাক্সি ভাড়া করে চলে যাই মানিকতলা।
মানিকতলা নেমেই বিভিন্ন জনকে জিজ্ঞাসা করার পর পথ দেখিয়ে দেন সরু অলিগলি পেরিয়ে একসময় পৌছেও যাই। তবে ছবিতে যা দেখেছিলাম নিজ চোখে তা দেখতে পাইনি কারন তখন মাজার পুননির্মাণ চলছিলো এবং পুর্বের চাইতে নতুন মাজার শরিফ বেশ আধুনিক স্থাপত্য ছিলো।
শাহ সূফী ফতেহ আলী ওয়াইসী রহঃ হুগলি মাদ্রাসা ও কলকাতা মাদ্রাসায় লেখাপড়া করেন। অল্প বয়সেই তিনি সুফিবাদের কাদেরিয়া, চিশতিয়া ও নকশবন্দিয়া তরিকার মিশ্র প্রভাবে একজন আধ্যাত্মিক সাধক হয়ে ওঠেন। তবে আধ্যাত্মিক সাধনার পাশাপাশি তিনি ফারসি ভাষায় কাব্যচর্চাও করেন। তাঁর সাহিত্যিক ছদ্মনাম ছিল ‘ওয়াসি’ এবং এ থেকেই তিনি ফতেহ আলী ওয়াসি নামে পরিচিত হন। তাঁর দিওয়ান-ই-ওয়াসি মহাকাব্য ফারসি কবি হিসেবে তাঁকে ব্যাপক খ্যাতি এনে দেয়। সাহিত্যিক গুরুত্ব বিচারে কাব্যটি ঢাকাসহ অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ে ফারসি পাঠক্রমের অন্তর্ভুক্ত হয়। পরবর্তীকালে ওয়াসি স্থায়িভাবে বসবাসের জন্য মুর্শিদাবাদ চলে যান এবং ১৮৮৬ সালে কলকাতায় তাঁর মৃত্যু হয়।
মহান এই সুফি সাধকের মাজার জিয়ারতে বেশ কিছু সময় কাটাই এবং দারুন কিছু অনুভূতি নিয়ে বিদাই নেই। আবার কখনো কলকাতা ভ্রমনে গেলে অবশ্যই আমি আবার শাহ সূফী ফতেহ আলী ওয়াইসী রহঃ এর মাজার জিয়ারতে যাবো।
Google maps
#Bdlg #Localguidesbd #Bangladeshlocalguide #localguideconnect #letsguide