কুুয়াকাটা হলো বাংলাদেশে একটি দর্শনীয় জায়গা, যেটি একটি সমুদ্র সৈকত। এখান থেকে সূর্যোদয় ও সূর্যাস্ত দেখা যায়। এই কুুয়াকাটাকে সাগর কন্যাও বলা হয়ে থাকে।
আমরা গত ১৮ই আগষ্ট কুয়াকাটা ভ্রমন করি। এই ভ্রমনে আমরা সাত টি বাইকে করে ১৩জন যাই।
আমরা নড়িয়া(নড়িয়া উপজেলা, শরীয়তপুর জেলা) থেকে সকাল ৭টা বাজে রওনা দেই এবং কুুয়াকাটা পৌচাই দুপুর ২.৩০মিনিটে।
এরমধ্যে আমরা বরিশাল জেলায় সকালের নাস্তা করি, এবং যাওয়ার পথে ৩বার বিশ্রাম নেই।। আমাদের বাসা(নড়িয়া) থেকে কুুয়াকাটা প্রায় ২২০কিলোমিটার। যা আমরা বাইকে রাইড করে ভ্রমন করি।।।
বিভিন্ন জেলার সুন্দর দৃশ্য গুলো আমাদের মুগ্ধ করেছিলো, সুন্দর হাইওয়ে রাস্তা, রাস্তার দুই পাশের সারি সারি গাছ, ব্রিজ, ফেরিঘাট খুবই সুন্দর ছিলো।
আমরা কুুয়াকাটায় ২দিন ২রাত ছিলাম।
১ম দিনঃ এই দিন আমরা দুপুর ২টা ৩০মিনিটে কুুয়াকাটা পৌচাই। এরপরে হোটেল ঠিক করে গাড়ি পার্ক করি, কিছু সময় বিশ্রাম নিয়ে সমুদ্রে গোসল করি। এর পরে হোটেলে ফিরে এসে ফ্রেস হয়ে লাঞ্চ করি। তারপরে সবাই বিশ্রাম নিয়ে রাতে বের হই। রাতে সমুদ্রে জোয়ার থাকায় অনেক ঢেউ হচ্ছিলো। যা চাঁদে আলোয় খুব সুন্দর ফুটে উঠেছিলরো। যা পরিবেশ টাকে আরো সুন্দর করে তুলেছিলো। এরপরে আমরা রাতের ডিনার করে হোটেলে এসে ঘুমিয়ে যাই।
২য় দিনঃ
এই দিন আমরা খুব ভোরে উঠে সূর্যোদয় দেখি, সি বিচে হেটে এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে যাই,
দুপুরে সমুদ্রে গোসল করি, বিকালে বাইক নিয়ে সমুদ্রের পার দিয়ে রাইড করে কাঁকড়ার চড়ে যাই, যেখানে লাল কাঁকরা দেখা যায়। ঝাউ বন দেখি, সেখান থেকেই সূর্যাস্ত দেখি।
এর পরে আমরা আবারো হোটেলে ফিরে আসি,। রাতে আবারো বের হই, সমুদ্রের পারে গিয়ে সমুদ্রের মাছ খাই এবং কিছু কেনাকাটা করি।
এরপরে আমারা হোটেলে ফিরে এসে ঘুমিয়ে পরি। তারপরের দিন আমরা সকাল ৬টা বাজে বাসায় ফেরার জন্য রওনা দেই, আল্লাহর রহমতে আমরা সবাই নিরাপদেই বাসায় ফিরি।
এই ভ্রমনটি খুবই মজার ও সুন্দর ছিলো, এতো দূরে বাইক রাইড করে যাওয়াটও ছিলো একটা চেলেঞ্জের। সব মিলেয়ে এই ভ্রমনটি স্বরনীয় হয়ে থাকবে ।
সময় সল্পতার কারনে সংক্ষেপে ভ্রমন কাহিনী লিখলাম। পরবর্তী পোষ্টে কুয়াকাটার বিভিন্ন ছবি শেয়ার করবো।
কষ্ট করে পরার জন্য ধন্যবাদ।