আজি কি তোমার মধুর মূরতি## হেরিনু শারদ প্রভাতে!## হে মাত বঙ্গ, শ্যামল অঙ্গ## ঝলিছে অমল শোভাতে।## পারে না বহিতে নদী জলধার,## মাঠে মাঠে ধান ধরে নাকো আর–## ডাকিছে দোয়েল গাহিছে কোয়েল## তোমার কাননসভাতে!## মাঝখানে তুমি দাঁড়ায়ে জননী,## শরৎকালের প্রভাতে।
কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ঠিক এভাবেই প্রকাশ করেছিলেন শরৎতের সৌন্দর্যের কথা।
শরৎকাল মানেই পরিষ্কার নীল আকাশ, তার মাঝে সাদা মেঘের ভেলা। বিলে ঝিলে লাল নীল শাপলা, উত্তরের হালকা স্নিগ্ধ বাতাস।
আর যে জিনিসটা শরৎতের আমেজ সবচেয়ে বাড়িয়ে দেয় তা হল নদীর দুধারে ও বালুচরে ফুটে ওঠা স্নিগ্ধ কাশফুল। দূর থেকে দেখলে মনে হয় আকাশের সাদা মেঘ যেন নেমে এসেছে মাটিতে।
কাশফুল মূলত ছনগোত্রীয় একধরনের বহুবর্ষজীবী ঘাসজাতীয় উদ্ভিদ।
কাশফুল উদ্ভিদটি উচ্চতায় সাধারণত ৩ মিটার পর্যন্ত লম্বা হয়। নদীর ধার, জলাভূমি, চরাঞ্চল, শুকনা রুক্ষ এলাকা, পাহাড় কিংবা গ্রামের কোনো উঁচু জায়গায় জন্মে। তবে নদীর তীরেই এদের বেশি জন্মাতে দেখা যায়।
পালকের মতো নরম এবং ধবধবে সাদা রঙের কাশফুল যখন নীল আকাশের নিচে বাতাসে দোল খেতে থাকে, সেই দৃশ্য বিমোহিত করবে যে কাউকেই।
কাশফুল নিয়ে করা আমার একটি ভিডিও,
যেহেতো শুধুমাত্র শরৎকালে স্বল্প সময়ের জন্য এই কাশফুলের দেখা মেলে তাই আমাদের উচিত সময় সুযোগ করে প্রকৃতির এই অপার সৌন্দর্য উপভোগ করা। এতে আমাদের মন যেমন ফ্রেশ হবে তেমনি আমরা হব প্রকৃতির প্রতি আরো বেশি যত্নশীল।
লিখায়ঃ Nasim M Joy
আমি Nasim M Joy একজন বাংলাদেশি সলো ট্রাভেলার ও পরিবেশ কর্মী। ঘুরে দেখতে চাই দেশ ও বিদেশের বিভিন্ন ঐতিহাসিক স্থান ও প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন । সেই জন্যই ঘুরে বেড়াচ্ছি দেশের এ প্রান্ত থেকে ও প্রান্ত।
সময় নিয়ে পোস্টটি পড়ার জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ।
#bdlg, #localguidesbd






