হ্যালো,
সময়ের সাথে সাথে সব কিছুরই পরিবর্তন হচ্ছে।
যেমন পরিবর্তন হচ্ছে মানুষের রুচি বোধের, তেমনি পরিবর্তন হচ্ছে মানুষের আর্থিক অবস্থার, তেমনি সহজলভ্য হয়েছে প্রযুক্তি।
এই পোস্টে আমি তুলে ধরতে চেস্টা করতেছি, সময়ের সাথে সাথে বাংলাদেশের গ্রামগুলোর, বিশেষভাবে বলতে গেলে আমাদের গ্রামের ঘর বাড়ি গুলোর কিরকম বিবর্তন ঘটতেছে সেই বিষয়টা নিয়ে।
আজ থেকে ৫০-৭০ বছর আগে, যখন গ্রামের মানুষের আর্থিক অবস্থা বেশি ভালো ছিলনা, এবং প্রযুক্তির ব্যবহারও সহজলভ্য ছিলনা, তখন গ্রামের মানুষজন বাস করত খড়, ছন, তালপাতা দিয়ে তৈরি কুড়ে ঘরে, ছোট একটা কুড়ে ঘরেই পুরো পরিবার একত্রে বসবাস করত।
এখন কোথাও কুড়েঘর খুজে পাওয়া যায় না, মানুষের আর্থ সামাজিক অবস্থার উন্নতি হওয়ায় এটি পুরোপুরি বিলুপ্ত হয়ে গেছে, তবে অনেকে শখের বশে বানিয়ে থাকেন এখনো, তাও খুব বিরল।
কুড়ে ঘরের পরে যখন মানুষের আর্থিক অবস্থার আরেকটু উন্নতি হওয়া শুরু করল তখন মানুষজন তাদের চাহিদা মতো মাটির ঘর তৈরি করতে শুরু করল। যাদের সামর্থ্য কম তারা একতলা মাটির ঘর, ও যাদের সামর্থ্য আছে তারা দুতলা মাটির ঘর তৈরি করলো। কেউ আবার বিভিন্ন নকশা করলো তাদের মাটির ঘরেতে।
দুতলা মাটির ঘরের দুতলায় বারান্দা রাখো হতো, বেশিরভাগ মানুষ দুতলা ঘর বানাতো তাদের উৎপাদিত ফসল রাখার জন্য।
তাছাড়া অনেকে বসবাসও করতো। শীতকালে দুতলায় ঘুমানোয় প্রচুর মজা, কিন্তু গরম কালে একটু বেশিই গরম হয়ে থাকে।
তারপর আসলো পাকা বাড়ির প্রচলন, কিন্তু যাদের সামর্থ্য ছিলনা পাকা বাড়ি করার, তারা তৈরি করলো টিনের বাড়ি। উপরে ও চারদিকে টিন তৈরি করতে থাকলো।
টিনের বাড়ির পাশাপাশি সামর্থ্যবানরা মাটির বাড়ি ভেঙ্গে তৈরি করতে শুরু করতো আধা পাকা বাড়ি, মানে উপরে টিন আর চার পাশে পাকা, গ্রামের বেশির ভাগ বাড়িই এখন এই আধা পাকা।
আর এখন আধুনিকতার ছোয়ায় আর গ্রাম শহরের ব্যবধান কমে যাওয়ায় মানুষ আগের সব ধরনের বাড়ি ভেঙ্গে তৈরি করতে শুরু করেছে একতলা, দুতলা পাকা বাড়ি।
আমি চাই গ্রামের নিজস্বতায় আর কোনো বিবর্তন না আসুক। গ্রাম গ্রামেই থাকুক।
ধন্যবাদ এত সময় নিয়ে পোস্টটি পড়ার জন্য।