আজকে আমাদের চেকপয়েন্ট সিলেটের বিখ্যাত ট্রাভেল ডেস্টিনেশন লালাখাল।
You can watch the video to experience our journey:
সকাল সকাল নাস্তা করে জাফলং রিসোর্ট থেকে রওনা দিলাম লালাখাল এর উদ্দেশ্যে। জাফলং থেকে লালাখাল এর দূরত্ব প্রায় ২৫ কিলোমিটার। আমাদের সাথে থাকা বাসে করে আসতে ৩ ঘন্টা সময় লেগেছিলো।
বাস থেকে নেমে আমরা আশপাশের দোকান থেকে চা খেয়ে সরাসরি নৌকা ঘাট এর উদ্দেশে রওনা দিলাম। ঘাটে সারা সারি নৌকা দাঁড়ানো থাকে। দরদাম করে আমরা ৪০ জনের জন্য ৩ টি নৌকা ভাড়া করলাম।
সাধারণত এক নৌকায় ১২ থেকে ১৪ জন বসা যায়, চাইলে নৌকার ছাদে উঠা যায় কিন্তু উঠার আগে নৌকার ছাদের স্ট্রাকচার দেখে নিবেন। যথেষ্ট মজবুত না হলে ভেঙ্গে পড়তে পারে। নৌকার ভাড়া মৌসুম ভেদে একেক রকম। আমাদের থেকে ১০০০ টাকা ভাড়া নিয়েছিল।
লালাখাল যদিও নামে খাল কিন্তু মূলত এটি সারি নদীর একটি অংশ যার উৎপত্তি ভারতের চেরাপুঞ্জির জৈন্তিয়া পাহাড়। কথিত আছে এই সারি নদী দিয়েই ইবনে বতুতা বাংলদেশে এসেছিলেন। লালাখাল এর পানির রং সবথেকে আকর্ষণীয় থাকে শীতকালে। কোথাও সবুজ কোথাওবা নীল। পানির সাথে খনিজ মিশে থাকার দরুন পানির এই রং, যা শুধুমাত্র শীতকালে প্রবাহ কম থাকায় এমনটি দেখা যায়, বর্ষাকালে এর রূপ আলাদা।
লালাখালের পানি এতই স্বচ্ছ যে দেখলেই নামতে ইচ্ছা করবে। পানি কিন্তু ভয়ানক ঠান্ডা এই ব্যাপারটা মাথায় রাখবেন। আমাদের মাহাবুব ভাই স্নর্কলিং করার চেষ্টা করেছিলেন কিন্তু পানি উপরের স্বচ্ছ হলেও নিচে বালু আছি তাই ব্যাপারটা তেমন জমেনি। আমাদের গুগল লোকাল গাইডের আরেকজন অ্যাডমিন শুভ ভাই সাথে করে কায়াক নিয়ে এসেছিলেন। আমাদের মধ্য অনেকেই সেই কয়েক দিয়েই লালাখাল এ ঘুরে বেরিয়েছে। এর ফাঁকে কেউ কেউ আশেপাশের চা বাগানও ঘুরে এসেছি।
আমরা প্রায় ২ ঘন্টার মতো ছিলাম সব শেষ গ্রুপ ফটো আর বৃক্ষরোপন পর্ব।
এরপর আমরা নীলাভ জলরাশি মধ্য দিয়ে রওয়না দিলাম ঘাটের উদ্দেশে।
লালাখাল থেকে আমরা পানসির উদ্দেশ্যে রওনা দেই। সেখানে দুপুরের খাওয়া শেষ করে র্যাফেল ড্র এর মাধ্যমে শেষ হয় হয় আমাদের গুগল লোকাল গাইড ১৫০ টিম মিট আপ।
এরপর আমরা সবার থেকে বিদায় নিয়ে রওনা দেই ঢাকার উদ্দেশ্যে।