স্বাধীনতার পূর্বে বাংলাদেশে ১৯৪১ সালে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় ব্রিটিশ সরকার তৎকালীন পূর্ব বাংলার তেজগাঁও কুর্মিটোলায় উড়োজাহাজ নামার জন্য একটি রানওয়ে তৈরি করেন, এটিই বর্তমান বাংলাদেশের প্রথম বিমানবন্দরের শুভ সূচনা।
১৯৪৭ সালে পাকিস্তান গঠনের পর তেজগাঁও বিমানবন্দরটি পূর্ব পাকিস্তানের প্রথম বিমানবন্দর হয়ে ওঠে। ১৯৬৬ সালে তৎকালীন পাকিস্তানের সরকার কুর্মিটোলার উত্তর-পূর্বাঞ্চলে নতুন বিমানবন্দর নির্মাণের জন্য একটি প্রকল্প গ্রহণ করে এবং ফরাসি বিশেষজ্ঞদের মাধ্যমে টার্মিনাল নির্মাণ এবং রানওয়ে নির্মাণের জন্য টেন্ডার চালু করে।
১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের সময় বিমানবন্দরটি অর্ধেক সম্পন্ন অবস্থায় ছিল।কিন্তু যুদ্ধের সময় বিমানবন্দরে গুরুতর ক্ষতি সাধিত হয়।
স্বাধীনতার পর বাংলাদেশ সরকার পরিত্যক্ত কাজ পুনরায় চালু করে এবং এটিকে দেশের প্রধান আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর হিসাবে নির্মানের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। তৎকালীন
রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের সময়কালে মূল রানওয়ে এবং কেন্দ্রীয় অংশটি খোলার মাধ্যমে ১৯৮০ সালে এয়ারপোর্টটি আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা শুরু করে।
বিভিন্ন কারণে ১৯৮৩ সালে রাষ্ট্রপতি আব্দুস সাত্তার জিয়া আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর হিসাবে বিমানবন্দরের উদ্বোধন করেন।
২০১০ সালে আওয়ামী লীগ সরকার বিমানবন্দরের নাম পরিবর্তন করে, জিয়া আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর হিসাবে নামকরণ করেন।
বাংলাদেশের বিমান বন্দর গুলিকে
কয়েকটি শ্রেণিতে ভাগ করা যায়।
১। আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর।
শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর, ঢাকা।
শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর, চট্টগ্রাম।
ওসমানী অান্তর্জাতিক বিমানবন্দর, সিলেট।
২। অভ্যন্তরীণ বিমানবন্দর।
শাহ মখদুম বিমানবন্দর, রাজশাহী।
যশোর বিমানবন্দর, যশোর।
সৈয়দপুর বিমানবন্দর, রংপুর।
কক্সবাজার বিমানবন্দর, কক্সবাজার।
বরিশাল বিমানবন্দর, বরিশাল।
ঈশ্বরদী বিমানবন্দর, রাজশাহী।
তেজগাঁও বিমানবন্দর, ঢাকা।
খান জাহান আলী বিমানবন্দর, খুলনা।
৩। স্টলপোর্ট(শুধু উড্ডয়ন ও অবতরণ) বিমানবন্দর।
কুমিল্লা স্টলপোর্ট বিমানবন্দর।
বগুড়া স্টলপোর্ট বিমানবন্দর।
ঠাকুরগাঁও স্টলপোর্ট বিমানবন্দর।
লালমনিরহাট স্টলপোর্ট বিমানবন্দর।
শমশেরনগর স্টলপোর্ট বিমানবন্দর, সিলেট।
নোয়াখালী স্টলপোর্ট বিমানবন্দর।
৪। অব্যবহৃত বিমানবন্দর।
সন্দীপ বিমানবন্দর, চট্টগ্রাম বিভাগ।
চকোরিয়া বিমানবন্দর, চট্টগ্রাম বিভাগ।
ফেনী বিমানবন্দর, চট্টগ্রাম বিভাগ।
রাজেন্দ্রপুর বিমানবন্দর, ঢাকা বিভাগ।
মৌলভীবাজার বিমানবন্দর, সিলেট বিভাগ।
রসুলপুর বিমানবন্দর, চট্টগ্রাম বিভাগ।
সিরাজগঞ্জ বিমানবন্দর, রাজশাহী বিভাগ।
পাহাড় কাঞ্চনপুর বিমানবন্দর, ঢাকা বিভাগ।
বাজিতপুর বিমানবন্দর, ঢাকা বিভাগ।
পটুয়াখালী বিমানবন্দর, বরিশাল বিভাগ।
নিচের লিংকে গুগল ম্যাপের লিস্টের মাধ্যমে আরো বিস্তারিত জানতে পারবেন।
Airports Of Bangladesh
https://goo.gl/maps/Cp5g1pdifbo
তথ্যসূত্র : উইকিপিডিয়া ও অনলাইন বিভিন্ন পত্রপত্রিকা।