10-14-2016 10:42 AM
I Love Charbhadrasan - হৃদয়ে চরভদ্রাসন
চরভদ্রাসন উপজেলার নামকরণ :
উনবিংশ শতাব্দির চলিস্নশের দশক। সৈয়দ আহম্মদ ব্রেলভী পরবর্তী ওহাবী আন্দোলনের অগ্নিস্ফুলিঙ্গ বাংলার যুব সমাজ উৎস্বর্গীত প্রাণ। এ ভাবাবেগে উদ্দীপ্ত মকিম সরদারের চেতনা। মকিম ছিল ফরিদপুরের বিখ্যাত জমিদার কানাই শিকদারের এ অঞ্জলের জমিদারী পেয়দা ও সরদার। মকিম সংগঠিত করেন চরাঞ্চলের কৃষকদের। বন্ধ হয়ে যায় খাজনা প্রদান। বিতারিত হয়ে যায় হয় জমিদারী নায়েব গোমসত্মা। উত্তেজিত জমিদার পাঠায় তাঁর সংগঠিত লাঠিয়াল দল। মকিমের দল তাদেরকে পরাজিত ও বিতাড়িত করেন। মকিম তার চর এলাকা কিছুদিন স্বাধীন রাখেন। জমিদার মকিমের বিরম্নদ্ধে ব্যবস্থা নিতে ইংরেজ সরকারকে অনুরোধ জানায়। বলতে বলতে সিপাহী বিদ্রোহে জ্বলে উঠে আসমুদ্র হিমাচল। ইংরেজ বাহিনী চলে আসে মকিমকে দমন করতে। শুরম্ন হয় লাঠীর সাথে বন্দুকের লড়াই। মহিম সদলবলে পরাভূত ও বন্দী হন। উত্তেজিত ইংরেজ গ্রামের আবাল বৃদ্ধ বণিতাকে পাঠিয়ে দেয় দ্বাপামত্মরে। এ যুদ্ধে মকিম নিহত হন। মকিম সরদারের নিহত হওয়ার পর জমিদার ভদ্র শ্রেণীর লোকদের এ এলাকার জমি-জমা পত্তন দেন। এ ছাড়া এলাকায় জনশ্রম্নতি আছে তদানিমত্মন ব্রিটিশ সরকারের উচ্চ পদস্থ আমলা কালেক্টরেট সাহেব চরভদ্রাসন এলাকার কল্যাণপুর নামক স্থানে জাহাজ নোঙ্গর করেন। এতে এলাকা কল্যাণপুরের জনগণ ভয়ভীতি পায়। কিছু দিন অবস্থানের পর এলাকার জনগণ আপন করে নেন সেই সাহেবকে। সাহেবদের খাবার, বাসন কোশন সববরাহ ও আতিথেয়তার মাধ্যমে মন জয় করেন। সাহেবদের ধারণা ছিল চরাঞ্জলের লোকজন বর্বর, লাঠিয়াল এবং ইদর প্রকৃতির হয়। কিন্তু জনগণের আপ্যায়ন ও ব্যবহারে তারা খুশি হয়ে এলাকার নাম রাখেন চরভদ্রাসন।
উপজেলার ভৌগলিক অবস্থান :
আয়তনে চরভদ্রাসন একটি ছোট উপজেলা। ইহার আয়তন এবং পরিসীমা পদ্মার খেয়াল খুশির উপর নির্ভরশীল। উত্তর-পূর্বে পদ্মা পাড়ি দিয়ে লৌহজং দোহার আর হরিরামপুর উপজেলা, পূর্ব-দক্ষিণে সদরপুর উপজেলা, দক্ষিণ-পশ্চিমে নগরকান্দা উপজেলা এবং পশ্চিম-উত্তরে- ফরিদপুর সদর উপজেলা।
বর্তমান উপজেলার ইতিহাস :
বিদ্রোহী পদ্মার ভাঙা - গড়া আর বেদনা উচ্ছাসের স্মৃতি বুকে চেপে জেলা শহরের ২৪ কিমিঃ দুরে দাড়িয়ে চরভদ্রাসন। বঙ্গভঙ্গের ০৬ বছর ১৯১১ সাল। পদ্মা অববাহিকায় জলদস্যুদের অত্যাচার আর খুন-খারাবির চরম অবস্থা বিরাজমান। তারই পটভূমিতে সে বছর এ উপজেলাধীন চরসালেপুর প্রতিষ্ঠিত হয় একটি পুলিশ ফাড়ি চরসালেপুর ভাঙনের মুখে পরে। আর তাই প্রথম মহাযুদ্ধের বিভীষিকাময় ভীতিকর সময়ে ১৯১৪ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় চরভদ্রাসন থানা। ১৯৫৪ সালে পদ্মার হিংস্র ছোবলে ০৫মিনিটের ব্যবধানে হাজার হাজার ব্যাথাতুর দর্শকের চোখের সামনে তলিয়ে যায় থানা সদরের সর্বস্ব। থানা কার্যালয় স্থানান্তরিত হয় চরহাজিগঞ্জে । ১৯৭৭ সালে তা আবার চলে আসে আজকের চরভদ্রাসন বাজার সংলগ্ন ০৯ একর ভুখন্ডের উপর লোহারটেক নদীর তীরে । সর্বনাশা পদ্মা বার বার গ্রাস করেছে এখানকার জনপদ, মাঠ, ঘরবাড়ী। আবার ভেসে উঠেছে অতল গহবর থেকে। প্রলুব্ধ করেছে তীরের বেদনা ভারাক্রান্ত ছিন্নমুল কৃষকদের। উনবিংশ শতাব্দীর চলিশের দশক। সৈয়দ আহম্মদ ব্রেলতী পরবর্তী ওহাবী আন্দোলনের অগ্নিস্ফুলিঙ্গে বাংলার যুব সমাজ উৎসর্গিত প্রাণ । এ সময়ে উদ্দীপ্ত হয় মকিম সরদারের চেতনা। মকিম ছিলেন ফরিদপুরের বিখ্যাত জমিদার কানাই সিকদারের এই অঞ্চলের জমিদারী পেয়দা ও সরদার। মকিম সংগঠিত করে চরাঞ্চলের কৃষকদের । বন্ধ হয়ে যায় খাজনা প্রদান। বিতারিত হয় জমিদারী নায়েব গোমস্তা। উত্তেজিত জমিদার পাঠায় তার সংগঠিত লাঠিয়াল দল। মকিমের দল তাদেরকে পরাজিত ও বিতাড়িত করে। মকিম তার চর এলাকা কিছুদিন স্বাধীন রাখে । জমিদার মকিমের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে ইংরেজ সরকারকে অনুরোধ জানায় । ইংরেজ বাহিনী চলে আসে মকিমকে দমন করতে । শুরু হয় লাঠির সাথে বন্দুকের লড়াই । মকিম সদলবলে পরাভূত ও বন্দী হন। উত্তেজিত ইংরেজ বাহিনী গ্রামের আবাল বৃদ্ধ বণিতাকে পাঠিয়ে দেয় দ্বীপান্তরে। মকিমকে করে হত্যা। এরপর জমিদার তাদের পছন্দমত ভদ্র শ্রেনীর লোকদের নামে জমি পত্তন দেন এ চরে। চরমকিম নামে একটি গ্রামও ছিল। কিন্ত সর্বগ্রাশী পদ্মা নদীর ভাঙ্গনে তা বিলীন।
সময়ের আবর্তে পা রেখে শিক্ষা-দিক্ষায় ব্রতী হয় এলাকার জনসাধারণ। ১৯৬৮ সনে প্রতিষ্ঠিত হয় চরভদ্রাসন কলেজ। তদানিমত্মন এসডিও আলহাজ্ব এজেডএম জয়নাল আবেদীন এর একামত্ম ব্যক্তিগত প্রচেষ্টায় এবং উক্ত কলেজ প্রতিষ্ঠায় নিবেদিত প্রাণ অধ্যক্ষ, জনাব আযহারম্নল হক এবং সাবেক মাননীয় সাংসদ মহোদয়ের নেতৃত্বে প্রতিষ্ঠা পায়। কলেজ প্রতিষ্ঠার কাজে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে এমএনএ জনাব এ্যড. আদেল উদ্দিন হাওলাদার এবং এমএনএ এ্যড.আঃ রহমান বাকাউল অবদান রাখেন। শুরম্ন হয় ১৯৭১ সনের মুক্তি যুদ্ধ। জনাব মরহুম জালাল উদ্দিনের নেতৃত্বে এ উপজেলায় একটি মুক্তিযোদ্ধের দল গঠিত হয়। এদের পরিচালনা এবং থাকা খাওয়ার জন্য একটি ক্যাম্প বর্তমান উপজেলা কৃষি অফিস ও আবাসিক টু-ইন কোয়াটারে করা হয়। পাশাপাশি মুক্তিযোদ্ধার সার্বিক পরিচালনার জন্য একটি কমিটি গঠন করা হয়। এ উপজেলা মুক্তিযোদ্ধাদের সাথে ফরিদপুর সদর উপজেলার নারারটেক নামক স্থানে গান বোর্ডে থাকা পাকসেনাদের সাথে সম্মুখ সমরে লিপ্ত হয় এবং দলের এক সাহসী তরম্নণ জনাব ইউনুস শহীদ হন। এ কমিটির পুরোভাগে ছিলেন জনাব কমান্ডার জালাল উদ্দিন আহম্মেদ। ১৯৮৩ সনে এ উপজেলাকে আপ-গ্রেড উপজেলায় রূপামত্মরিত করা হয়। মেজর জেনাবেল মহববতজান চৌধুর (অবঃ) উপজেলা আপ-গেড নামফলক উন্মোচন করেন। উপজেলা নির্বাহী অফিসার হিসেবে জনাব কেএম নুরম্নল হুদা ০১-০১-১৯৮৩ সনে যোগদান করেন। ১৯৮৫ সনে ১ম উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে জনাব মোঃ আবুল হোসেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। এভাবে আপ-গ্রেড উপজেলা হিসেবে জনপ্রতিনিধির মাধ্যমে উপজেলার উন্নয়ন কার্যক্রম শুরম্ন হয়। সু-দীর্ঘ ১৯ বছর পর ২০০৮ সনে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের মাধ্যমে সাবেক উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বর্তমানে পুনঃ উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান হিসেবে নির্বাচিত হয়ে উপজেলার কর্মকান্ডে জড়িত রয়েছেন।
10-14-2016 10:44 AM
@MohammadGM ধন্যবাদ ভাই সবাই এমন একটা করে পোস্ট দিলে বাংলাদেশ এর একটা পোর্টাল হয়ে জেত এখানে
10-16-2016 05:07 PM
অসাধারণ হয়েছে। আসলে আমাদের সবাইকে নিজেদের কথা বলতে শিখতে হবে।তা না হলে তো আর নিজেদের কমিউনিটি হতে পারে না। প্রতিনিয়ত অন্যের কালচার ফলো করতে করতে আমরা নিজেদের নিজস্ব কালচার হারিয়ে ফেলছি। ভুলে যাচ্ছি অনেক কিছু। নিজেদের নিজস্ব ঐতিহ্য আমরা নির্বাসনে পাঠিয়ে দিচ্ছি। তাই শেষ পর্যন্ত গুগুল বাবাজিও বলতে হচ্ছে তোমরা তোমাদের কথা বল। তোমরা ভাল নাগরিক হও। মানচিত্র থেকে তোমরা হারিয়ে যেও না।
ধন্যবাদ
10-17-2016 12:30 AM
ধন্যবাদ ভাই
10-17-2016 12:33 AM
Anupreronar jonno dhonnobad, this is our duty to connect each other, thank you so much
11-06-2016 01:45 AM
আপনাকে ধন্যবাদ,আমার জ্ন্য দোয়া করবেন।