02-22-2018 01:09 PM
মুক্তিযুদ্ধ জাতির সবচেয়ে বড় গৌরবময় অধ্যায়ের নাম। আর এ গৌরবের কথা মনে করে দেশের বিভিন্ন স্থানে নির্মিত হয়েছে অসংখ্য ভাস্কর্য। এই ভাস্কর্যগুলোতে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন বর্বরতার নানা ঘটনাপ্রবাহ ফুটে উঠেছে সাবলীলভাবে। দেশের গুরুত্বপূর্ণ ভাস্কর্য নিয়ে লেখা এই পোষ্টে র ছবি সংগ্রহ করা হয়েছে গুগুল থেকে এবং তথ্য নেয়া হয়েছে বিভিন্য ওয়েব সাইট থেকে।
সাভারে অবস্থিত জাতীয় স্মৃতিসৌধ স্বাধীনতা যুদ্ধের একটি ঐতিহাসিক ভাস্কর্য।যেখানে বীর বাঙালি আসেন শ্রদ্ধা জানাতে। এর স্থপতি হলেন সৈয়দ মাইনুল হোসেন। স্মৃতিসৌধটির উচ্চতা ১৫০ ফুট। সৌধটি সাত
জোড়া ত্রিভুজাকৃতির দেয়াল নিয়ে গঠিত। দেয়ালগুলো ছোট থেকে বড় ক্রমে সাজানো হয়েছে। এই সাত জোড়া দেয়াল স্বাধীনতা আন্দোলনের সাতটি ভিন্ন পর্যায়কে নির্দেশ করে। ১৯৫২-এর ভাষা আন্দোলন, ১৯৫৪ যুক্তফ্রন্ট নির্বাচন, ১৯৫৬ শাসনতন্ত্র আন্দোলন, ১৯৬২ শিক্ষা আন্দোলন, ১৯৬৬ ছয় দফা আন্দোলন, ১৯৬৯-এর গণঅভ্যুত্থান, ১৯৭১-এর মুক্তিযুদ্ধ— এ সাতটি ঘটনা নিয়ে এটি নির্মিত। ১৯৭২ সালের ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবসে বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি শেখ মুজিবুর রহমান ঢাকা থেকে ২৫ কিলোমিটার দূরে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের পাশে নবীনগরে স্মৃতিসৌধের শিলান্যাস করেন। ১৯৭৮ সালে রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান স্মৃতিসৌধটি নির্মাণের উদ্যোগ গ্রহণ করেন। বাংলাদেশ সফরকারী বিদেশি রাষ্ট্রপ্রধানরা নিজ হাতে এখানে স্মারক বৃক্ষরোপণ করে থাকেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কলাভবনের সামনে গর্বের সঙ্গে মাথা উঁচু বন্দুক কাঁধে দাঁড়িয়ে থাকা তিন নারী-পুরুষের ভাস্কর্যটি সবার স্বাধীনতা সংগ্রামে অংশগ্রহণ নিশ্চিত করে তারই অনুপম স্মৃতিকাতর ভাস্কর্য ‘অপরাজেয় বাংলা’। ভাস্কর্যটি সব শ্রেণির যোদ্ধার প্রতিচ্ছবি। এটি শুধু মূর্তি নয়, সামগ্রিক সংগ্রাম ও ’৭১-এর মুক্তিযুদ্ধের বাস্তব প্রতিচ্ছবি।
১৯৭১ সালের ১৪ ডিসেম্বর চূড়ান্ত বিজয়ের মাত্র দুই দিন আগে পাকিস্তানি বাহিনী ও তাদের এ দেশীয় দোসররা ঘৃণ্যতম হত্যাযজ্ঞ চালায়। পূর্ব পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর এ দেশীয় দোসর-রাজাকার, আলবদর, আল শামস বাহিনীর সদস্যদের হাতে অপহূত হন অনেক বুদ্ধিজীবী। পরে তাদের নির্মম ও নিষ্ঠুরভাবে হত্যা করা হয়। বাংলাদেশের [তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের] বরেণ্য বুদ্ধিজীবীদের স্মৃতির উদ্দেশ্যে নির্মিত হয়েছে রায়েরবাজার শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধটি।
এই ভাস্কর্যটি দাঁড়িয়ে আছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গণে।দুজন মুক্তিযোদ্ধার প্রতিকৃতি এটি। একজন রাইফেল উঁচু করে দাঁড়িয়ে আছে আর তার বাঁ বাহুটি মুষ্টিবদ্ধ করে জাগানো। অন্যজন রাইফেল হাতে দৌড়ের ভঙ্গিতে রয়েছে। তার পরনে প্যান্ট, মাথায় এলোমেলো চুলের প্রাচুর্য যা কিনা আধুনিক সভ্যতার প্রতীক। এর পেছনে ৩৬ ফুট উঁচু দেয়াল দাঁড়িয়ে আছে। দেয়ালের উপরের শূন্য বৃত্ত দেখতে সূর্যের মতোই। মুক্তিযুদ্ধকালীন স্বাধীনতার নানা দৃশ্য নকশায় ফুটিয়ে তোলা হয়েছে এই শাবাশ বাংলাদেশের দেয়াল।
যুদ্ধে নিশ্চিত পরাজয় জেনেও লড়ে যান যে অকুতোভয় বীর সে-ই সংশপ্তক। এ ভাস্কর্যটির মাধ্যমে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে যুদ্ধে শত্রুর আঘাতে এক হাত, এক পা হারিয়েও রাইফেল হাতে লড়ে যাওয়া দেশমাতৃকার বীর সন্তান।জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে এক পায়ে ভর করে দাঁড়িয়ে আছে ভাস্কর্যটি। দেশের জন্য প্রাণ উৎসর্গ করতে সদা জাগ্রত মুক্তিযোদ্ধা ও গ্রামবাংলার আপামর জনতার স্বাধীনচেতা, অকুতোভয় মানসিকতা সাহসী প্রতিবিম্ব এই ভাস্কর্যটি।
02-22-2018 01:18 PM
Solution@ayann ভাইয়া এটা ওই ক্যটাগরিতে দিলে ভাল হতো কিনা জানিনা তবে যেহেতু দিয়ে ফেলেছি পরবর্তীতে আরো একটু ভেবে আরো ভালো ভাবে পোষ্ট করার চেষ্টা করবো। দোয়া করবেন।
02-22-2018 01:13 PM
Aro ekta darun article vai kintu eta ke Photos and discoveries catagory te dile valo hoto na?
Apni kub valo article leken
02-22-2018 01:18 PM
Solution@ayann ভাইয়া এটা ওই ক্যটাগরিতে দিলে ভাল হতো কিনা জানিনা তবে যেহেতু দিয়ে ফেলেছি পরবর্তীতে আরো একটু ভেবে আরো ভালো ভাবে পোষ্ট করার চেষ্টা করবো। দোয়া করবেন।
02-22-2018 01:24 PM
@Polash0001@Are ete abr doya korar ki holo ami likkhe di6i kono modarator dekle oi catagory kore debe ami like di6i tumi sudu amk mention kore i am also want that likhe dilei hbe
As @Polash0001 Wants this post in photography and discovery catagory if any modarator read my message please move it to Share your photos and discovery catagory