জিয়া স্মৃতি জাদুঘর। সাবেক প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের স্মৃতিবিজড়িত। একসময় এটি চট্টগ্রাম সার্কিট হাউজ ছিলো। তৎকালে-
১৯৮১ সালের মে মাসে বীর উত্তম জিয়াউর রহমান চট্টগ্রাম সফররত অবস্থায় এখানকার ৪নং কক্ষে অবস্থান নেন। ৩০মে এখানে তাঁকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। সেই বছরেই এটিকে সরকারিভাবে জাদুঘরে রুপান্তরের প্রস্তাব গৃহিত হয়।
জিয়া স্মৃতি জাদুঘর ভবন
এটি বর্তমানে বাংলাদেশ সরকারের নিয়ন্ত্রণে পরিচালিত। প্রবেশ মুল্য ২০টাকা। এখানে জিয়াউর রহমান এর স্মৃতি, হত্যকান্ডের চিত্র, ব্যবহৃত পোষাক-পরিচ্ছেদ ও বাংলাদেশ এর মুক্তিযুদ্ধের বিভিন্ন নিদর্শন রয়েছে।
একপাশ থেকে ভবনের একাংশ
এখানে গিয়ে সাবেক প্রেসিডেন্টের হত্যাকাণ্ডের বিভিন্ন দৃশ্য দেখে স্মৃতিকাতর হয়েছি যেমনটি হয়েছিলাম বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্মৃতিবিজড়িত ধানমণ্ডির আট নং রোডে অবস্থিত বাড়িতে গিয়ে। আমাদের দেশ স্বাধীনে অগ্রণী ভূমিকা পালনকারী দুজন রাষ্ট্রনায়ক নির্মম হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়ে মৃত্যুবরণ করেন।
জাদুঘর এর প্রবেশপথ। একটি সেলফি।
এটি চট্টগ্রাম শহরেই অবস্থিত।জাদুঘর এর চারপাশে সবুজের সমারোহ। যারা ইতিহাস জানতে আগ্রহী, তাদের এটি ভ্রমণের আহবান জানাচ্ছি।
জাদুঘর ভবনের ভিতরের ছবি তোলা সম্পুর্ণ নিষেধ।
জাদুঘরের একেবারে পাশেই রয়েছে চট্টগ্রাম শিশু পার্ক। শিশুপার্কে অনেকগুলো রাইড আছে। প্রবেশমূল্য ১০০টাকা, সাথে যেকোনো একটি রাইড ফ্রি।
চট্টগ্রাম শিশু পার্ক গেইট
আর অপজিটে রয়েছে রেডিসন ব্লু, চট্টগ্রাম।
সু-উচ্চ ভবনটি রেডিসন ব্লু চট্টগ্রাম।
চট্টগ্রাম শহরে একদিন সময় নিয়ে ঘুরতে চাইলে পাশাপাশি চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানা বা ফয়’স লেক ঘুরে দেখতে পারেন আর চট্টলার ঐতিহ্যবাহী খাবার মেজবান এর স্বাদ নিতে চলে যেতে পারেন ‘মেজ্জান হাইলে আইয়ুন’ এর যেকোনো একটি শাখায়। বিস্তারিত এই নিয়ে আমার পৃথক দুটি পোস্ট আছে কানেক্টে। দেখে আসতে পারেন।