বছর ৫ জুন বিশ্বব্যাপী পালিত হয় বিশ্ব পরিবেশ দিবস, যা পরিবেশ সচেতনতা বৃদ্ধি এবং পরিবেশ সুরক্ষায় বৈশ্বিক পদক্ষেপকে উৎসাহিত করার একটি গুরুত্বপূর্ণ প্ল্যাটফর্ম । এই দিনটি ব্যক্তি, সম্প্রদায়, সংস্থা এবং সরকার—সকলকে একত্রিত করে পরিবেশগত চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় একযোগে কাজ করার আহ্বান জানায় ।এই বার্ষিক উদযাপন পরিবেশগত সমস্যাগুলোকে জনসমক্ষে নিয়ে আসে। পরিবেশগত চ্যালেঞ্জগুলো, যেমন দূষণ এবং বৈশ্বিক উষ্ণায়ন, প্রায়শই আমাদের দৈনন্দিন জীবনে উপেক্ষিত থেকে যায়। একটি নির্দিষ্ট দিন নির্ধারণ করে জাতিসংঘ এই সমস্যাগুলোর প্রতি বিশ্বব্যাপী মনোযোগ আকর্ষণ করতে চায়।একটি নির্দিষ্ট দিনে বিশ্বব্যাপী মনোযোগ কেন্দ্রীভূত করার মাধ্যমে বড় আকারের পরিবর্তন আনা সম্ভব, যা কেবল আলোচনার মধ্যে সীমাবদ্ধ না থেকে বাস্তব পদক্ষেপ নিতে উৎসাহিত করে।
ব্যাক্তিগত বা দলবদ্ধ ভাবে যেখানেই ভ্রমন করিনা কেনো আমি সর্বদা চেষ্টা করি প্রকৃতি পরিবেশ এর ভারসাম্য নষ্ট হয় এমন কর্মকাণ্ড থেকে বিরত থাকা। পাশাপাশি সোস্যাল মিডিয়াতে পোস্টের সাথে সচেতনতা মুলক হ্যাশট্যাগ অথবা কিছু সচেতনতামুলক লিখা ব্যাবহার করা।
 থেকে । এই সম্মেলন মানব মিথস্ক্রিয়া এবং পরিবেশের একীকরণ নিয়ে আলোচনার ফলস্বরূপ ছিল এবং এটি আন্তর্জাতিক পরিবেশগত কূটনীতির সূচনা করে । জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদ (UNGA) ১৯৭২ সালে বিশ্ব পরিবেশ দিবস ঘোষণার সিদ্ধান্ত নেয় এবং ১৯৭৩ সাল থেকে প্রতি বছর ৫ জুন এই দিনটি পালিত হয়ে আসছে । প্রথম থিম ছিল “Only One Earth” ।
২০২৫ সালের প্রতিপাদ্য: প্লাস্টিক দূষণ বন্ধ করি
২০২৫ সালের বিশ্ব পরিবেশ দিবসের মূল প্রতিপাদ্য হলো “প্লাস্টিক দূষণ বন্ধ করি” (End Plastic Pollution / Beat Plastic Pollution) । প্লাস্টিক বর্জ্য এখন শুধু মাটি বা সমুদ্রেই সীমাবদ্ধ নেই, এটি আমাদের পানীয় জল, খাদ্য এবং এমনকি মানবদেহেও প্রবেশ করছে । ১৯৫০ সালে ২ মিলিয়ন টন থেকে বর্তমানে ৪৩০ মিলিয়ন টনের বেশি প্লাস্টিক উৎপাদন হচ্ছে, যার বেশিরভাগই একবার ব্যবহারযোগ্য এবং শেষ পর্যন্ত ল্যান্ডফিল, নদী ও সমুদ্রে জমা হচ্ছে ।
মাইক্রোপ্লাস্টিক এখন গভীরতম মহাসাগর, প্রত্যন্ত পর্বতশৃঙ্গ এবং মানবদেহের ভেতরেও পাওয়া যাচ্ছে । প্লাস্টিক উৎপাদন প্রক্রিয়ায় ব্যবহৃত রাসায়নিক পদার্থ ক্যান্সার, উন্নয়নমূলক ব্যাধি, উর্বরতার সমস্যা এবং এমনকি ডিমেনশিয়ার সাথেও যুক্ত । এটি জলবায়ু পরিবর্তন, প্রকৃতি ও জীববৈচিত্র্যের ক্ষতি এবং বর্জ্য সংকটের মতো ট্রিপল প্ল্যানেটারি সংকটকে আরও বাড়িয়ে তোলে । প্লাস্টিক দূষণের উপর মনোযোগ কেবল পরিবেশগত সমস্যা হিসেবে নয়, বরং মানব স্বাস্থ্য সংকটের অংশ হিসেবেও এর গুরুত্ব তুলে ধরে। যখন পরিবেশগত সমস্যাকে ব্যক্তিগত স্বাস্থ্যের সাথে যুক্ত করা হয়, তখন তা মানুষের কাছে আরও বেশি প্রাসঙ্গিক এবং জরুরি হয়ে ওঠে। এটি কেবল “পৃথিবীকে বাঁচানো” নয়, বরং "নিজেকে বাঁচানো"র প্রশ্ন। এই থিমটি একটি শক্তিশালী বার্তা দেয় যে পরিবেশগত অবক্ষয় কোনো দূরবর্তী সমস্যা নয়, বরং এটি আমাদের দৈনন্দিন জীবন এবং সুস্থতার উপর সরাসরি প্রভাব ফেলে। এটি ব্যক্তিগত দায়িত্ব এবং সম্মিলিত পদক্ষেপের প্রয়োজনীয়তাকে আরও জোরদার করে, কারণ এটি আমাদের নিজেদের এবং ভবিষ্যৎ প্রজন্মের সুস্থতার সাথে সরাসরি জড়িত।
বিশ্বব্যাপী ও বাংলাদেশে উদযাপন
বিশ্ব পরিবেশ দিবসে বিশ্বজুড়ে বৃক্ষরোপণ, প্লাস্টিক বিরোধী অভিযান, পরিচ্ছন্নতা কর্মসূচি, সচেতনতামূলক সেমিনার, কর্মশালা এবং নীতি-স্তরের আলোচনা সহ বিভিন্ন ধরনের অনুষ্ঠান পালিত হয় । উদাহরণস্বরূপ, ভারতে দিল্লি টেকনোলজিক্যাল ইউনিভার্সিটি প্লাস্টিক বর্জ্য কমানোর উপর কর্মশালা আয়োজন করছে, রাজস্থানে ‘বন্দে গঙ্গা জল সংরক্ষণ-জন অভিযান’ শুরু হয়েছে, এবং অন্ধ্রপ্রদেশ এক দিনে এক কোটি চারা রোপণের চেষ্টা করছে ।
বাংলাদেশেও বিশ্ব পরিবেশ দিবস গুরুত্বের সাথে পালিত হয়। ২০২৫ সালে, ৫ জুন সরকারি ছুটি থাকায় পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় ২৫ জুন আনুষ্ঠানিকভাবে দিবসটি পালন করবে । এই বছর বাংলাদেশের স্লোগান হলো 'প্লাস্টিক দূষণ আর নয়, বন্ধ করার এখনি সময়!
মাদের করণীয়: ব্যক্তিগত ও সম্মিলিত প্রচেষ্টা↙️
বিশ্ব পরিবেশ দিবস একটি স্মরণ করিয়ে দেয় যে পরিবেশ রক্ষা করা প্রত্যেকের দায়িত্ব । প্লাস্টিক দূষণ মোকাবেলায় ব্যক্তিগত এবং সামাজিক পর্যায়ে প্লাস্টিক ব্যবহারে রাশ টানার আহ্বান জানানো হয়েছে । একক-ব্যবহারের প্লাস্টিক যেমন স্ট্র, কাটলারি এবং ক্যারি ব্যাগ প্রত্যাখ্যান করা এবং কাঁচ, বাঁশ বা ধাতুর মতো টেকসই বিকল্প ব্যবহার করা যেতে পারে ।
ছোট ছোট পরিবর্তন বড় প্রভাব ফেলতে পারে । সচেতনতা বৃদ্ধি, বৃক্ষরোপণ, পরিচ্ছন্নতা অভিযান, এবং টেকসই কর্মশালার মাধ্যমে সম্প্রদায়কে জড়িত করা যেতে পারে । বর্জ্য কমানোর অনুশীলন বাস্তবায়ন, পুনর্ব্যবহার কর্মসূচী উন্নত করা এবং প্যাকেজিং সামগ্রী কমানো যেতে পারে । কর্মক্ষেত্রে এবং বাড়িতে পরিবেশবান্ধব অভ্যাস গ্রহণ করা উচিত ।
এই পোস্ট দেখতে পারেন ভারত সরকার ঘোষিত প্রথম সবুজ গ্রাম খনুমা↙️
https://www.localguidesconnect.com/t/visit-green-village-khonoma-nagaland-trip-to-india-part-2/387724?u=mohammadpalash
পোস্ট টি লিখতে লিখতে আমার @NasimJ ভাইয়ের কথা মনে পরছে উনি উনার প্রতি কানেক্ট পোস্টে প্লাস্টিক ব্যাবহার নিষিদ্ধকরণ নিয়ে হ্যাশট্যাগ দিয়ে থাকেন।
#Bdlg #localguidesbd #Bangladeshlocalguide #localguideconnect #World Environment Day #letsguide