গত সপ্তাহে ঘুরে আসলাম দিনাজপুর জেলার কাহারোল উপজেলার কান্তজি মন্দিরের পাশে নয়াবাদ গ্রামে অবস্থিত ঐতিহাসিক নয়াবাদ মসজিদ থেকে।
ঐতিহাসিক ও দৃষ্টি নন্দন এই মসজিদটি ১৭৯৩ সালে সম্রাট দ্বিতীয় শাহ আলমের রাজত্বকালে তৈরি করা হয়। এটি মূলত তৈরি করেছিলেন তুর্কি কারিগররা, যারা এখানে এসেছিলেন কান্তজি মন্দির তৈরি করতে। কারিগররা সবাই মুসলমান ছিলেন, তাদের নামাজ পড়ার সুবিধার্থে তৎকালীন জমিদার রাজা বৈদ্যনাথ কান্তজি মন্দিরের অদূরে এই জমিটি দান করেন মসজিদ নির্মাণের জন্য। সেই কারিগররাই পড়ে এই নয়াবাদ মসজিদ তৈরি করেন। বর্তমানে মসজিদটি বাংলাদেশ প্রত্নতাত্ত্বিক অধিদপ্তরের অধীনে রয়েছে।
মসজিদটি আয়তনে খুব বড় না হলেও এর নির্মাণশৈলী সে কাউকে মুগ্ধ করবে। তিন গম্বুজ বিশিষ্ট এই মসজিদের চার কোণে চারটি অষ্টভুজ মিনার রয়েছে, উত্তর ও দক্ষিণ পাশে রয়েছে একটি করে জানালা। তাছাড়া দক্ষিণ পাশে একটি কবর রয়েছে, ধারণা করা হয় এই কবরটি মসজিদ নির্মাণ কালের কোন শ্রমিকের হবে।
প্রতিদিন দূর দুরান্ত থেকে দর্শনার্থীরা আসেন এই ঐতিহাসিক মসজিদটি দেখতে। তবে মসজিদের যাওয়ার যোগাযোগ ব্যবস্থা খুবই বাজে। সরাসরি তেমন কোনো যানবাহন চলাচল করেনা এই দিকে। হয়তো কান্তজি মন্দিরের পাশ থেকে রিজার্ভ গাড়ি নিয়ে আসতে হবে, নয়তো সেখান থেকে প্রায় এক কিলোমিটার রাস্তা হেঁটে আসতে হবে।
তথ্যসূত্র: উইকিপিয়া ও স্থানীয় লোকজন।
লিখা ও ছবি: Nasim M Joy.
সময় নিয়ে পোস্টটি পড়ার জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ রইলো।