চিন্তা হচ্ছিলো খুব…
এত অপরিচিত…
কাউকে জানি না,চিনিও না…
কিভাবে কি করবো?কি হবে?
এরকম ই চিন্তা ছিলো গত শুক্রবার পুরো অর্ধবেলা জুড়ে।সব চিন্তা ঝেড়ে ফেলে যাচ্ছি ওখানে সিদ্ধান্ত নিয়ে নিলাম।আমার এলাকায় ই থাকে এক ভাই রাজিব নামে।তার সাথে যোগাযোগ করে একসাথে যাবো নিশ্চিত হলাম।প্রথম বার ভাইয়ের সাথে কথা বলেই আন্তরিকতা দেখে ভালো লাগলো।
যাইহোক,চিন্তা তো ছিলোই।
কিন্তু নতুন বাজার গিয়ে ওখানে ভাটারা থানার অপজিটে, ফায়ার স্টেশনের সামনে অনেকগুলো ভাইকে দেখলাম।তাদের আন্তরিকতা দেখে আমি মুগ্ধ।কুশলাদি বিনিময় টা এমন ভাবে হলো মনে হলো আমরা কত যে পরিচিত!!
এটাই হলো আমাদের লোকাল গাইড কমিউনিটি!!
একটু ফ্ল্যাশব্যাকে যাই—
নিজে নিজে ম্যাপসে কাজ করছি প্রায় তিনবছর হচ্ছে।কিন্তু এই কমিউনিটির সাথে পরিচয় মাত্র দুমাস।আমি যখন খোঁজ
পাই কমিউনিটির তখর ধানমন্ডি তে ১২২ তম মিটআপ হয়।আবেদন করেছিলাম কিন্তু গ্রান্টেড হয়নি।একটু হতাশ হলেও হাল ছাড়িনি।
আর সুযোগ পেয়েই গেলাম।তারূণ্যর উচ্ছ্বাসে বলিয়ান অভিজ্ঞ লোকাল গাইডদের মাঝে মিট আপ করার সুযোগ।
হু! এটি ছিলো ১২৩ তম মিটআপ বাংলাদেশ লোকালগাইডে।আর UIU প্রাঙ্গন মুখরিত হয়েছিলো আমাদের দ্বারা গত ২৯ তারিখ বিকেল থেকে গৌধুলির শেষ ভাগ পর্যন্ত।।
[ছবি:UIU অডিটোরিয়া,স্টেজে মডেরেটর আপু]
ফ্ল্যাশব্যাক তো অনেক হলো।এবার আসি মিটআপে।শাটল ধরে নতুনবাজার থেকে UIU তে পৌঁছাই আমাদের দ্বিতীয় শাটলটি।ওখানে পৌঁছে অডিটোরিয়ামে যাওয়ার আগে সব ফর্মালিটি শেষ করতে হয়।ওখানে বসে ছিলো আন্তরিক আর সুদর্শন কিছু ভাইয়ারা। যদিও তাদের জীবনে প্রথম দেখেছি!
[NB:প্রথম বার কিন্তু শেষবার তো নয়!সবসময় দেখা হবে! ?]
যাইহোক,টিশার্ট পেয়ে খুশি হলাম।খুবই ভালো ছিলো টিশার্টটি। যে ডিজাইন করেছে তাকে একটা ধন্যবাদ না দিলেই নয়।
বসলাম-
আর স্টেজে চোখ রেখে স্ক্রিনের দেখানো প্রেজেন্টেশন আর ভিডিও গুলো দেখলাম।ভালোই লাগল বটে।
এরপর স্টেজ আলোকিত করে হাস্যোজ্জ্বল মুখে গমগম করে প্রবেশ করলো রানা ভাইয়া!ওয়াও লেভেলের প্রেজেন্টেশন দিলো।আর পুরো অনুষ্ঠান জুড়েই ছিলো। উনার প্রাণবন্ত ও সাবলিল উপস্থাপনা, যা খুবই ভালো লাগলো।।
কিছুক্ষণ পর এলো মিত্রা আপু।খারাপ বলেনি আপু।গ্রুফে সবসময় দেখি উনার এক্টিভিটি।উনার মিষ্টি আর মিহি কন্ঠে অনেক কিছু বললো।ভালোই লাগলো।তবে আপু যেভাবে শুধু ফিমেল মেম্বারদের উদ্দীপনা যোগালো তার সিকিভাগও মেল মেম্বারদের জন্য বলেনি।
একটু হতাশ এজন্য ?।
এরপর UIU কম্পিউটার ক্লাবের বড় ভাইয়া এলো।ভাইয়া অনেক কিছু করেছে ভেন্যু নিয়ে।ভাইয়ার জন্য অনেক অনেক ভালোবাসা।
এরপর স্পন্সর যারা করেছে তারা কথা বলল কিছুক্ষণ।কিন্তু যার স্পিচ ভালো লেগেছে তিনি হলেন মডেরেটর আপু।আপুর কথা আমি আমার কয়েকজন শুভাকাঙ্ক্ষীকেও বলেছি।যে আপু কতদূর এগিয়ে গেছে।আর আপুর পর্দা করাটা,নামাজ পড়ে এসে স্পিচ দেওয়াটা দাগ কেটেছে ভিতরে।আপু আবার প্রপেশনে ডাক্তার।
এরপর আরও কয়েকজন বলেছেন।আমি নাম মনে রাখতে পারিনি যদিও।কিন্তু নাম কি সবকিছু?ভাইয়াদের বলার ধরণ ও ম্যাপস নিয়ে যে পরামর্শ দিলো আর শিক্ষনীয় সব ব্যাপার হৃদয়ে গেঁথে নিলাম।।
শেষ করতে হবে!
আরে মাহবুব ভাইয়া তো থেকেই গেলো।
ওনার কথা বললে এতক্ষণ যা লিখেছি তার কয়েকগুণ লিখেও শেষ করা যাবে না।ভাইয়ার নিরলস পরিশ্রমের কথা শুনে ভালো লেগেছে।
৪ বার!৪বার!৪বার!
এখন মাথায় ঘুরছে।চার চার বার প্রতিনিধিত্ব করছে বাংলাদেশের।
হৃদয়ের গভীর থেকে ভালোবাসা নিন ভাইয়া।
আলাদা একটা পোস্টে ভাইয়ান কথাগুলো লিখবো।কারণ পরামর্শ গুলো আলাদা আর হাইলাইটেড থাকলে অনেক ভালো হবে মনে হচ্ছে।
যা স্কিপ করে গিয়েছি—
১.স্ন্যাকস টাইমে ভালোই খাওয়া হয়েছে।এতে হতাশ হইনি।
২.ড্রোন শটে ছবি তুলাটাও ভালো লেগেছে।(ধন্যবাদ নিস্বর্গ টিম)
৩.ক্যাসিনো খেলাটা ভালো লেগেছে।
৪.স্পিচের ফাঁকে ফাঁকে সবান জোকস গুলো জাস্ট ইয়াহ্…!!
ওভারঅল,১২৩ তম মিটআপে আমি প্রথমবার বাংলাদেশ লোকাল গাইডকে চিনতে পেরেছি।ভালোলাগা এখনও কাজ করছে ভিতরে।।
#localguides #letsguides #localguidesconnect #bdlg #bdlg123 #123meetup