Tourist attractions in Netrokona district, Mymensingh division, Bangladesh

আমাদের যাত্রা শুরু হয় ঢাকা মহাখালী বাস টার্মিনাল থেকে এই যাত্রায় আমরা আশিক পরিবহনে । রাত তখন ১১:৩০ মিনিট বাস টার্মিনাল থেকে বাস নেত্রকোনার উদ্দেশ্যে ছেড়ে টাকা । রাত তখন ০১.৪৫ মিনিট পথে বাস ৩০ মিনিটের জন্য খাবার বিরতি দেন। রাত তখন তিনটা বেজে দশ মিনিট আমরা নেত্রকোনা জেলা অবস্থিত ঢাকা বাস টার্মিনালে। তখন বাস টার্মিনালে একটি হোটেলে থাকি সকাল হওয়ার জন্য ।

ভোরের আলো ফুটবার সাথে সাথে শীতে তীব্রতা বাড়তে থাকে এবং কুয়াশা। এই মুহূর্তটি আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে। কারণ, ঘুরতে না গেলে এই মুহূর্তগুলো উপভোগ করা যায় না।

সকালে নাস্তা পরোটা, ডাল সবজি, ও ডিম দিয়ে সবাই নাস্তা শেষ করি ও চা খাওয়া। সকালের নাস্তা শেষ করে আমরা চলে যাই রাজু বাজারে। রাজু বাজারে আমাদের পরিচিত এক ভাইয়ের বাসা। সেখানে ভাইয়ের বাসায় ব্যাগগুলো রেখে বেরিয়ে যাই। রাজু বাজার থেকে সিএনজি ভাড়া করি।

প্রথমে আমরা সারাদিনের জন্য একটি সিএনজি ভাড়া করে নেই সারাদিনের জন্য। আমাদের কাছ থেকে ভাড়া চেয়েছিল অ্যারাউন্ড ২ হাজার টাকা (নোট: এই ভাড়াটি পরিবর্তন হতে পারে) । যাত্রা শুরু করার আগেই ড্রাইভার এর সাথে ভাড়া ঠিক করে নিবেন। সিএনজিতে করে রওনা দেই ০৯.০০ টায়। পথে যেতে যেতে আমরা নেত্রকোনা জেলার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য দেখে খুবই মুগ্ধ হই।

চিনামাটির পাহাড়:
নেত্রকোণা জেলার দুর্গাপুর উপজেলার বিজয়পুর ইউনিয়নের চীনা মাটির পাহাড় দেখা যাবে। স্থানীয়ভাবে এট সাদা মাটির পাহাড় নামেও পরিচিত। নীল জল নিমিষেই সমস্ত ক্লান্তি ও অবসাদ দূর করে দেয়। এখান থেকে ইন্ডিয়ায় অবস্থিত পাহাড় দেখা যায়।

চিনামাটির পাহাড় থেকে আবারও রওনা হই বিজয়পুর বিজিবি ক্যাম্পের উদ্দেশ্যে।

সোমেশ্বরী নদীর পারে
দুর্গাপুর উপজেলার বিজয়পুর ও ভবানীপুর গ্রামের ভেতর দিয়ে নদীটি বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে। এই নদীতে কোথাও রয়েছে হাঁটু পরিমাণ পানি আবার কোথাও পানি বেশি। অনায়াসে নিচের বালি দেখা যায়। মাঝিরা দর্শণার্থীদের এই সোমেশ্বরী নদীর সৌন্দর্য ঘুরিয়ে দেখান। সোমেশ্বরী নদীতে ঘুরে বেড়ালেই চোখে পড়ে বাংলাদেশ-ভারত সীমান্ত ঘেঁষে অসংখ্য পাহাড়।

কমলাকান্দা যাওয়ার আগেই নেত্রকোনা শহরে দুপুরের খাবারের বিরতি। কলমাকান্দার লেঙ্গুরা ইউনিয়নের ভারত সীমান্ত সংলগ্ন লেঙ্গুরা গ্রামে ঘুরার মধ্যে দিয়ে আমাদের ১ দিনের নেএকোনা জেলা ভ্রমণ শেষ হয়। রাতে ভাইয়ের বাসায় ডিনারের ব্যবস্থা করেন। তার বাসায় ডিনার শেষ করে রাত ১১.৫৩ মিনিটে নেএকোনা রেল স্টেশন থেকে ঢাকার উদ্দ্যেশে রওনা দেই।

18 Likes

Well-described tour itinerary. I believe you must have had a great time traveling.

3 Likes

ছবি ও লেখার সম্বনয়ে সুন্দর একটি পোষ্ট @mehedihassan003 ভাই

1 Like

Thank you very much. @mrinmoiHossain

Thank you vai. @RazzuilbakyRozzub