রাজশাহীতে যদি এমন একটা জায়গা থাকে যেটা এক ক্লিকেই মন ভালো করে দিতে পারে, সেটা নিঃসন্দেহে পদ্মার পাড়।
যখনই মন খারাপ থাকে, নিঃসঙ্গ লাগে বা জীবনের ব্যস্ততা একটু পেছনে ফেলে শান্তি খুঁজতে ইচ্ছে করে—তখন এই পদ্মার পাড় আপনাকে ঠিক সেই প্রশান্তির ঠিকানায় নিয়ে যাবে।
নদীর ধারে হাঁটতে হাঁটতে আপনি অনুভব করবেন ঠান্ডা বাতাসের আলতো ছোঁয়া, জলরাশির মনোমুগ্ধকর ঢেউয়ের শব্দ, আর একটা স্বস্তিদায়ক নিস্তব্ধতা—যা শহরের কোলাহল থেকে অনেক দূরে এক ভিন্ন জগতে নিয়ে যায়।
পদ্মার ধার ঘেঁষে রয়েছে ছোট ছোট কিছু চা-দোকান, আড্ডার জায়গা, আর অচেনা কিছু মুখ যাদের সঙ্গে আপনি গল্প জুড়ে দিতে পারেন নির্দ্বিধায়। রাজশাহীর মানুষগুলো সত্যিই আন্তরিক, অতিথিপরায়ণ—একটু হাসি বিনিময়েই আপনার সঙ্গে তারা গল্পের খাতায় চলে আসবে।
বিশেষ করে সন্ধ্যার পর আর ভোরবেলায়—ফজরের নামাজের পরে—এই জায়গার আবহ একেবারে বদলে যায়। মিষ্টি হাওয়া, নদীর পাশে হালকা আলো, আর পাখির ডাকে আপনি ভুলেই যাবেন আপনি কোনো শহরে আছেন।
এটা শুধু একটা জায়গা না, এটা এক ধরনের মানসিক থেরাপি। পদ্মার পাড় যেন জীবনের ক্লান্তির গায়ে হাত বুলিয়ে বলে—"তুমি ঠিক আছো।