আমি শেরপুর জেলার একজন গর্বিত বাসিন্দা। আমাদের জেলার প্রতিপাদ্য—“পর্যটনের আনন্দে তুলশীমালার সুগন্ধে”—এই ভাবনাকে ধারণ করে আমি সবসময় শেরপুরকে সবার কাছে তুলে ধরার চেষ্টা করি।
গত ঈদে ঘুরে দেখেছি জেলার তিনটি গুরুত্বপূর্ণ স্থান—গজনী অবকাশ কেন্দ্র, নাকুগাঁও স্থলবন্দর, ও তারানি পানিহাতা।
নিচে প্রতিটি স্থানের সংক্ষিপ্ত বিবরণ ও অভিজ্ঞতা শেয়ার করছি:
গজনী অবকাশ কেন্দ্র
শেরপুর জেলার ঝিনাইগাতী উপজেলায় অবস্থিত গজনী পর্যটন কেন্দ্রটি ভারতের মেঘালয় রাজ্যের পাদদেশে অবস্থিত। শহর থেকে এর দূরত্ব প্রায় ৩০ কিলোমিটার। পাহাড়, ঝরনা, লেক, শাল-গজারির বন, এবং প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরপুর এ স্থানটি শীতকালীন পিকনিক ও ভ্রমণের জন্য আদর্শ। ঈদ, পূজা এবং ছুটির দিনগুলোতে এখানে দর্শনার্থীর ভিড় লেগেই থাকে।
আমি গজনী নিয়ে কিছু ভিডিও তৈরি করেছিলাম। ভিডিওগুলো দেখতে পারেন এই লিংকে:
গজনী ভ্রমণ ভিডিও ১
গজনী ভ্রমণ ভিডিও ২
ফেসবুক পেজ ও গ্রুপ:
আমি একটি ফেসবুক পেজ এবং একটি গ্রুপ পরিচালনা করি, যেখানে নিয়মিতভাবে গজনীসহ শেরপুরের পর্যটন বিষয়ক তথ্য ও অভিজ্ঞতা শেয়ার করা হয়।
পেজ লিংক: গজনী অবকাশ কেন্দ্র
গ্রুপ লিংক: 𝐒𝐡𝐞𝐫𝐩𝐮𝐫 𝐓𝐨𝐮𝐫𝐢𝐬𝐦 & 𝐓𝐨𝐮𝐫𝐢𝐬𝐭 𝐆𝐮𝐢𝐝𝐞𝐥𝐢𝐧𝐞𝐬
আপনার যদি কোনো প্রশ্ন থাকে বা তথ্য দরকার হয়, এখানে পোস্ট করলেই চেষ্টা করি সহায়তা করতে।
নালিতাবাড়ী উপজেলার এই স্থলবন্দরটি ভারতের মেঘালয়ের ডালু সীমান্তের সংযোগস্থলে। এটি শেরপুর জেলার একটি সম্ভাবনাময় বন্দর, যেখানে বর্তমানে কয়লা ও বিভিন্ন কাঁচামাল আমদানি হয়। এখনও পুরোপুরি আধুনিকায়ন হয়নি, তবে ভবিষ্যতে এটি অঞ্চলটির অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
তারানি পানিহাতা
এটিও নালিতাবাড়ী উপজেলার সীমান্তবর্তী একটি মনোরম স্থান। এখানে একটি নদী এবং সেতু রয়েছে, যেখান থেকে ভারতের পাহাড়, রাস্তা, গ্রাম এবং গাড়ি চলাচল চোখে পড়ার মতো। সীমান্ত ঘেঁষা এই এলাকার প্রাকৃতিক দৃশ্য পর্যটকদের কাছে এক নতুন অভিজ্ঞতা এনে দেয়।
শেরপুর জেলা শুধুই তুলশীমালার সুগন্ধে নয়, বরং এর প্রকৃতি, সীমান্তের সৌন্দর্য, আর মানুষের আন্তরিকতায় পর্যটনের এক সম্ভাবনাময় এলাকা। আমি ব্যক্তিগতভাবে চেষ্টা করি এসব তথ্য ও অভিজ্ঞতা অনলাইনে শেয়ার করতে, যেন অন্যরাও উপকৃত হন।
আপনিও যদি শেরপুর ভ্রমণে আগ্রহী হন, তাহলে আমার ভিডিও ও ফেসবুক পেজ/গ্রুপ দেখতে পারেন, যোগাযোগ করতে পারেন যেকোনো প্রশ্নে😊