পাহাড়ি অঞ্চলের জীবনযাত্রা বরাবরই প্রকৃতিনির্ভর এবং পরিবেশবান্ধব। ছবিতে দেখা পানির পাত্রটি সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক উপাদানে তৈরি, যা স্থানীয় জনগণের নিত্যদিনের কাজে ব্যবহৃত হয়। কুমড়ার শুকনো খোল দিয়ে তৈরি এই পাত্রটি হালকা, সহজে বহনযোগ্য এবং পরিবেশবান্ধব হওয়ায় এটি এখনো পাহাড়ি জনগোষ্ঠীর কাছে অত্যন্ত জনপ্রিয়। পাত্রটির মধ্যে পানি ভরে উপরে মুখের অংশে কলা পাতা দিয়ে ফানেলের মত করে ঢাকনা বানানো হয়। যাতে পানিতে কোন কিছু মিশতে না পারে। এটি শুধু পানির সংরক্ষণে নয়, বরং বিভিন্ন সামাজিক ও ধর্মীয় অনুষ্ঠানেও ব্যবহৃত হয়, যা তাদের ঐতিহ্যের সঙ্গে সম্পৃক্ত।
অন্যদিকে, পাহাড়ি কলা স্থানীয় জনগণের অন্যতম প্রধান ফল। এটি আকারে ছোট হলেও স্বাদে অনন্য এবং পুষ্টিগুণে সমৃদ্ধ। পাহাড়ি এলাকায় এটি সহজলভ্য এবং খাদ্য সংস্কৃতির গুরুত্বপূর্ণ অংশ। কাঁচা অবস্থায় রান্নায় ব্যবহৃত হয়, আর পাকা অবস্থায় সরাসরি খাওয়ার উপযোগী। অতিথি আপ্যায়নেও পাহাড়ি কলার বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে।
এই ধরনের প্রাকৃতিক উপাদানের ব্যবহার শুধু পাহাড়ি জীবনযাত্রাকে সহজ করে না, বরং এটি তাদের টেকসই জীবনধারার প্রতিফলন। স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত এবং পরিবেশবান্ধব এই উপকরণগুলো পাহাড়ি জনগোষ্ঠীর প্রকৃতিনির্ভর জীবনযাত্রার উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। এটি শুধুমাত্র জীবনযাত্রার অংশ নয়, বরং পরিবেশ সংরক্ষণের ক্ষেত্রেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।