বুলবুল ললিতকলা একাডেমী বা সংক্ষেপে বলা হয় বাফা যা ১৯৫৫ সালে উপমহাদেশের বিখ্যাত নৃত্যশিল্পী বুলবুল চৌধুরীর নামকরণে তার স্ত্রী বেগম আফরোজ বুলবুল এই সংস্কৃতি চর্চা কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা করেন।
এ প্রতিষ্ঠান করার মূল লক্ষ্য ছিল দেশের সংস্কৃতি লালন ও বিকাশ ঘটানো ও গবেষণাধর্মী বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালনা করা।
এই শিল্পচর্চা কেন্দ্রটি ঢাকার দক্ষিণে বুড়িগঙ্গা নদীর তীরে ওয়াইজঘাট অবস্থিত যা আহসান মঞ্জিল এর পূর্ব দিকে ২00 গজ দূরে অবস্থিত এক বিঘা আয়তনের জায়গার উপর এক প্রাচীন ব্রিটিশ ভবনে বিদ্যমান।
এখানে বিভিন্ন বয়সের শিক্ষার্থীদেরকে কণ্ঠ সঙ্গীত, যন্ত্র সঙ্গীত, নৃত্যকলা, নাট্যকলা, চারু ও কারো শিল্পের শিক্ষা প্রদান করা হয় পাশাপাশি শিল্প ও সাহিত্য সংগীতের গবেষণা পরিচালনা করা হয়।
বছরের বিভিন্ন সময় এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বিভিন্ন বিষয়ের উপর দেশীয় ও আন্তর্জাতিক সাংস্কৃতিক আয়োজন ও বিভিন্ন চিত্র প্রদর্শনী করা হয়ে থাকে ।
ব্রিটিশ আমলের ডিজাইনের কাঠের নকশা করা সিঁড়ির রেলিং
এ প্রতিষ্ঠান কর্তৃক পরিবেশিত কিছু বিখ্যাত নৃত্যনাট্য হল : চন্ডালিকা (১৯৫৮), প্রকৃতির লীলা (১৯৫৮), নকসী কাঁথার মাঠ (১৯৫৯), সিন্ধু (১৯৬১), মায়ার খেলা (১৯৬৪), চিত্রাঙ্গদা (১৯৬৬), হাজার তারের বীণা (১৯৬৭), বাদল বরিষণে (১৯৬৭), রাজপথ জনপথ (১৯৬৯) ও শ্যামা (১৯৭০)। এছাড়াও একাডেমী বিভিন্ন বিষয় ও গানের ওপর প্রায় অর্ধশত খন্ড নৃত্যনাট্য পরিবেশন করেছে ও করছে ।
বর্তমানে শুধুমাত্র এই প্রতিষ্ঠানের মাঝে তাদের কার্যক্রম সীমাবদ্ধ না রেখে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সাথে সম্মিলিতভাবে বুলবুল ললিত কলার আরো বেশকিছু শাখা করেছে যেখানে একই কারিকুলামে বিভিন্ন সংস্কৃতি চর্চার শিক্ষাদান চলমান রয়েছে
উক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শুধুমাত্র নিচ তলায় হুইল চেয়ার নিয়ে প্রবেশ করা যায় এবং বাকি ফ্লোর গুলোতে হুইল চেয়ার নিয়ে কিংবা এক্সসেবিলিটির এক্সেস নেই।