মাতুব্বর হাট পয়েন্ট এবং আলেক্সান্ডার পয়েন্ট মেঘনা বীচ

মাতুব্বর হাট পয়েট এবং আলেকজান্ডার পয়েন্ট মেঘনা বীচ।
★ নদী দেখতে কিংবা বীচে যেতে কার না ভালো লাগে,মানুষ যখোন অশান্ত হয় বেরিয়ে পড়ে সমুদ্র দেখতে।
উপলব্ধি করে নিজের একাকিত্ব নদীর মধ্যে,সমুদ্রের মধ্যে।
শুধু একটু প্রশান্তির খুঁজে মানুষ শত মাইল পাড়ি দিয়ে চলে যায় কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে।
হুট কটে তো আর কক্সবাজার যাওয়া যায় না,তাই ছুটে যাই নিজ উপজেলায় অবস্থিত মেঘনা নদীর পূর্ব পাড় লক্ষ্মীপুর জেলার কমলনগর উপজেলার হাজিরহাট বাজারের পশ্চিম পাশের মেঘনা নদীর মাতুব্বর হাট পয়েন্ট মেঘনা বীচে।
এখানে আসলে ক্ষণিকের জন্য হলেও মনটা ভালো হয়ে যায়।
এখানে আছে পাথরের ব্লক,সুন্দর ভাবে হেঁটে উপভোগ করা যায়।
খাওয়ার জন্য ভ্রাম্যমান ফাস্ট ফুট পাওয়া যায়,স্থায়ী দোকানপাট তো আছেই।
লক্ষ্মীপুর জেলার ঝুমুর গোল চত্ত্বর কেন্দ্রবিন্দু হতে দক্ষিণে এর দুরত্ব ২৭ কিলোমিটার।
সিএনজি যোগে হাজির বাজার পর্যন্ত ৬০ টাকা ভাড়া,বাজার থেকে বীচে ১০ টাকা।
এক সময় হাজিরহাট বাজারে ২ টি সিনেমা হল ছিলো তাই এখানে খুব বেশি সমাগম হতো,যদিও এখনো কম নয়,রাত ১০ টা পর্যন্ত এখনো এ বীচে মানুষজন থাকে।
★ এই মাতুব্বর হাট পয়েট বীচের ঠিক ১৫ কিলোমিটার দক্ষিণে আছে আরেকটি বড়ো জমজমাট বীচ,যেটির নাম আলেক্সান্ডার পয়েন্ট মেঘনা বীচ।ঝুমুর গোল চত্ত্বর থেকে দক্ষিণে এর দূরত্ব ৪১ কিলোমিটার, সিএনজি যোগে ভাড়া ১০০ টাকা। সেখানে এই পয়েন্টের চাইতেও বেশি মানুষের সমাগম হয়,এবং সেখানে বর্তমানে এখনো একটি সিনেমা হল চালু আছে।
সম্ভবত পুরো লক্ষ্মীপুর জেলায় বর্তমানে এই সিনেমা হল’টাই এখনো চালু আছে।
আপনি আলেক্সার পয়েন্ট বীচে গেলে একত্রে সমুদ্র ভ্রমন এবং সিনেমা দেখা দুটোই উপভোগ করতে পারবেন।
এবং আলেক্সান্ডার পয়েন্ট বীচ থেকে নৌকা যোগে চর আব্দুল্লায় গিয়েও এডভেঞ্চার করতে পারবেন।
আলেক্সান্ডার পয়েন্ট বীচ পুরো লক্ষ্মীপুর জেলা এবং নোয়াখালী জেলার বৃহত্তম শ্রেষ্ঠ বীচ।
★ লক্ষ্মীপুর,নোয়াখালী,ফেনী,চাদপুর জেলা সহ আশেপাশের জেলার যারা সচরাচর কক্সবাজার যেতে পারেন না তারা লক্ষ্মীপুর জেলার- কমলনগর এবং রামগতি উপজেলার…
মাতুব্বর হাট পয়েন্ট মেঘনা বীচ এবং আলেক্সান্ডার পয়েট মেঘনা বীচে গিয়ে ঘুরে আসতে পারেন কম খরচে।
কক্সবাজার গেলে হয়তো সমুদ্রের পাশাপাশি পাহাড়ও দেখতে পারবেন, কিন্তু এই পয়েন্ট গুলোতে সমুদ্রের স্বাদ কক্সবাজারের মতোই পাবেন।

18 Likes

@ReajHossain কানেক্ট ফোরামে লিখার জন্য ধন্যবাদ ,
প্যারা প্যারা আকারে লিখলে ভাল হত মানে এক টপিকের পর আরেক টপিক শুরুর আগে কিছুটা গ্যাপ দেয়া । আর বিষয়ের হেডিং দেয়া যেমন জাতায়ত , খাওয়া দাওয়া , কি কি দেখার আছে ইত্যাদি তাহলে সবার বুঝতে সুবিধা হত , বাকি যা লিখেছেন ভাল আসতে আসতে আরো ভাল হবে এই প্রত্যাশা রাখি ।

8 Likes

পোস্ট শেয়ার করার জন্য অনেক ধন্যবাদ, লেখাগুলো গুছিয়ে লেখলে আরোও ভালো হতো, @MahabubMunna ভাই এর পরামর্শ গ্রহন করতে পারেন @ReajHossain

5 Likes

সুন্দর একটি লেখার জন্য ধন্যবাদ ভাই @ReajHossain

2 Likes