বাংলাদেশের প্রাচীন ঐতিহ্য রক্ষার্থে বাংলাদেশ লোক ও কারুশিল্প ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে গঠিত একটি জাদুঘর যার প্রতিষ্ঠাতা জয়নুল আবেদীন। যার অবস্থান ঢাকা থেকে ২৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পূর্বে। ব্যক্তিগত গাড়ী, মটরসাইওকেল, বাস যোগে যাতায়াত করা যায়। যথেষ্ট পার্কিং ব্যবস্থা ও আছে। টিকিট সংগ্রহ করতে পার্কিং এর জন্য।
শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিন লোক ও কারুশিল্প জাদুঘর এর প্রধান ফটক। যেখানে আছে শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিনের একটি ভাস্কর্য। ১৯৭৫ খ্রিষ্টাব্দে ১২ মার্চ শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিন সোনারগাঁয়ের ঐতিহাসিক পানাম নগরীর একটি পুরনো বাড়িতে প্রতিষ্ঠা করেন বাংলাদেশ লোক ও কারুশিল্প ফাউন্ডেশন।
জাদুঘরে ঢোকার পূর্বেই চোখে পড়বে এমন সুন্দর একটি কুঁড়ে ঘর, জাদুঘরের কিছু বিবরণ।
সোনারগাঁয়ে বাংলাদেশ লোক ও কারুশিল্প ফাউন্ডেশন এলাকায় রয়েছে লোক ও কারুশিল্প জাদুঘরটি। এখানে স্থান পেয়েছে বাংলাদেশের অবহেলিত গ্রাম-বাংলার নিরক্ষর শিল্পীদের হস্তশিল্প, জনজীবনের নিত্য ব্যবহার্য পণ্যসামগ্রী। এসব শিল্প-সামগ্রীতে তৎকালীন প্রাচীন বাংলার ঐতিহ্যবাহী লোকশিল্পের রূপচিত্র প্রস্ফুটিত হয়।
এই ভবনটিতে মাত্র দু’টি গ্যালারি। এই দুইটি গ্যালারির মধ্যে একটি গ্যালারি কাঠের তৈরি, যা প্রাচীন ও আধুনিক কালের নিদর্শনসমৃদ্ধ। তাছাড়া বাংলাদেশের প্রাকৃতিক, বৈশিষ্ট্য কাঠ এবং কাঠ থেকে বিভিন্ন কারুপণ্য তৈরি এবং সর্বশেষ বিক্রির সামগ্রিক প্রক্রিয়া, অত্যন্ত আকর্ষণীয়ভাবে সুন্দর মডেল দিয়ে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। এই দুটি ভবনের বাইরে রয়েছে পাঠাগার, ডকুমেন্টেশন সেন্টার, সেমিনার হল, ক্যান্টিন, কারুমঞ্চ, গ্রামীণ উদ্যান ও বিভিন্ন রকমের বৃক্ষ, মনোরম লেক, লেকের মাঝে ঘুরে বেড়ানোর জন্য নৌ বিহার, মৎস্য শিকারের সুন্দর ব্যবস্থা ও পংখীরাজ নৌকা।
জাদুঘরে প্রবেশের আগে টিকিট সংগ্রহ ও জাদুঘর খোলা রাখার সময়কাল এর কিছু ভিন্নতা আছে।
সর্বোপরি ডে-লং ট্যুরের জন্য, পিকনিকের জন্য এই জাদুঘর একটি ভালো অপশন। একঘেয়েমিতা দূর করা যায় সহজেই । বাংলার ঐতিহ্য, কারুশিল্প সম্পর্কে বাস্তব অভিজ্ঞতা নিতে হলে এটা নিঃসন্দেহে একটা যথোপযুক্ত জায়গা। আশা করি সবারই ভালো লাগবে।