ঢাকা গুলিস্তান থেকে ইমাদ পরিবহনে করে চলে গেলাম পিরোজপুর। সেখান থেকেই পায়ে হেঁটে, অটোতে করে, টেম্পুতে করে এভাবে চলে গেলাম ষাট গম্বুজ মসজিদ।
সেখানে জোহরের নামাজ আদায় করে চারিদিক ভালো করে ঘুরে দেখলাম। এরপর চলে গেলাম খান জাহান আলীর মাজার দেখতে। বিকেলে আবার পিরোজপুর চলে আসলাম পরদিন ঢাকায় ফিরে আসি।
এটা ছিল আমার প্রথম খুলনা ভ্রমন। এছাড়াও আমি প্রথম পদ্মা সেতুর উপর দিয়ে পদ্মা নদী পার হয়েছিলাম।
ষাট গম্বুজ মসজিদ, বাগেরহাট, খুলনায় অবস্থিত বাংলাদেশের একটি ঐতিহাসিক মসজিদ। এই সুন্দর স্থানটি ইসলামী স্থাপত্য শৈলীতে নির্মিত, যা তার আকৃতির জন্য পরিচিত।
এই মসজিদটির নির্মাণ শুরু হয় ৬০৬ হিজরি সালে, বাগেরহাটের সুলতান হোসেন শাহ এবং তার পুত্র সুলতান জালাল উদ্দীন মুহাম্মদ শাহের অধীনে। ষাট গম্বুজ মসজিদ ইসলামী স্থাপত্য শৈলীর সৌন্দর্য ও মাধুর্যকে তুলে ধরে।
তবে অনেকে বলেন ষাট গম্বুজ মসজিদ ১৫শ শতাব্দীতে খান জাহান আলী কর্তৃক নির্মিত হয়েছিল। মসজিদটির স্থাপত্যশৈলী এবং নির্মাণশৈলীতে বাংলা সুলতান আমলের স্থাপত্যের বৈশিষ্ট্য ফুটে উঠেছে।
মসজিদের দৈর্ঘ্য:
বাইরের দিক: ১৬০ ফুট
ভেতরের দিক: ১৪৩ ফুট
মসজিদের প্রস্থ:
বাইরের দিক: ১০৮ ফুট
ভেতরের দিক: ৮৮ ফুট
মসজিদের উচ্চতা:
মূল মসজিদের: ২২ ফুট
গম্বুজের: ১৩ ফুট
অন্যান্য তথ্য:
মসজিদের দেয়ালের পুরুত্ব: ৮.৫ ফুট
মসজিদের মিনারের সংখ্যা: ৪টি
মসজিদের গম্বুজের সংখ্যা: ৮১টি
উপরে উল্লেখিত কিছু তথ্য বিভিন্ন উৎস থেকে সংগ্রহ করা হয়েছে। বিভিন্ন উৎসে তথ্যের কিছুটা ভিন্নতা থাকতে পারে।
ঐতিহাসিক গুরুত্বের কারণে এটি বাংলাদেশের অন্যতম প্রধান পর্যটকদের গন্তব্য হয়ে উঠেছে।