প্রতিদিনের মত সকাল ৯টায় অফিস শুরু করেছি। কাজে মাঝে বন্ধু আলামিনের ফোন কল। হঠাত ট্যুর প্ল্যান ফরিদপুর ভাঙ্গাতে যাবে। সেদিন বৃহস্পতিবার এবং সব আলোচনা শেষে পরের দিন শুক্রবার রউনা হলাম ফরিদপুরের উদ্দেশ্যে। চলতি পথে সবাই বলে উঠলো পদ্মার ইলিশ নাকি কারোরি কখনও স্বাদ নেওয়া হয়নি। গুগল ম্যাপের সাহায্যে চলে গেলাম পদ্মার পারের পুরানা ফেরিঘাট এলাকায়। প্রথমেই গুড়ে ফেললাম পদ্মা নদীতে। তার সাথে পদ্মা সেতুর নিচ দিয়ে ট্রলার মাধ্যমে গুড়াটাও হয়ে গেল।
দুপুর বেলা সেপ্টেম্বর মাসের কড়া রোদে প্রচন্ড খুদা নিয়ে ঘাটে এসে চলে গেলাম ইলিশ খাওয়ার উদ্দ্যেশ্যে। ধর কষাকষির মাধ্যমে ১৮০০ টাকার ইলিশ ১২০০ টাকায় কিনে ফেললাম। রান্না করার জন্য নিয়ে গেলো। একটা খাবার প্যাকেজ করলো সাথে ইলিশের লেজের ভর্তা, বেগুন ভাঁজি, ভাত, ডাল সবকিছু মিলিয়ে। অসাধারণ সব খাবার সবাই মিলে খেলাম। এই খাবারের মধ্যে সবচেয়ে মজাদার ছিল লেজের ভর্তা। সেই স্বাদ এখনও লেগে আছে । সবাই পরিতৃপ্তি নিয়ে খেলো।
খাবারের পর্ব শেষ করে চলে গেলাম ফরিদপুরের ভাঙ্গাতে। অসাধারণ সব লুপ ছিল সেখানে। অনেকগুলো জেলা শহরের প্রধান সড়ক এক জায়গায় মিলিত হয়েছে। আসলে ঐখানে গেলে হারিয়ে যাওয়া যায়।