শীত মানেই আমাদের একটি উৎসবের ঋতু। যদিও এই সময়টাতে শীতের প্রকোপ অনেক বেশি থাকার কারণে বিভিন্ন কাজকর্মে যেতে সমস্যা হয়ে থাকে। কিন্তু আমাদের কাজকর্মের ব্যাঘাত ঘটে থাকলেও এই সময়টায় বাঙালির জীবনে একটি উৎসবের আমেজ বয়ে নিয়ে আসে এ ভাপা পিঠা।
চিত্রঃ একটি প্রিচে ভাপা পিঠা ও চামুচ।
বিশেষ করে শীতকালে সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয় খাদ্য হচ্ছে পিঠা। আর এই পিঠার মধ্যে ভাপা পিঠা হল অন্যতম। কেননা আমাদের যেকোনো শীতকালীন উৎসবের সঙ্গে ভাবা পিঠা নিবিড়ভাবে জড়িত। এমনও দেখা গেছে গ্রাম বাংলার মায়েরা সারারাত ঢেঁকিতে চাল কুটে শীতের খুব সকালে ভাপা পিঠা তৈরি করে বাড়ির সকলকে খাইয়ে থাকেন।
চিত্রঃ পাতিলে ফুটন্ত পানি
শীতকালীন সময়ে এটি একটি অত্যন্ত জনপ্রিয় খাবার । এমনকি শীতকালীন বিভিন্ন দোকানগুলোতে এই পিঠাটি অত্যান্ত সুপরিচিত এবং অত্যন্ত সুস্বাদু।
চিত্রঃ পাতিলে পিঠা সিদ্ধ করা অবস্থাই।
প্রস্তুত প্রনালীঃ প্রথমে সিদ্ধ ধানের চাউল পানিতে দশ মিনিট ভিজিয়ে রেখে ছেঁকে রদ্রে ত্রিশ মিনিট সুকানোর পর তা জাঁতাতে পিসে নিতে হবে। এরপর হালকা পানি ও পরমান মত লবন দিয়ে ময়দা কিছুটা ঝুরঝুরে করতে হবে তারপরে কিছুপরিমা ঝুরঝুরে ময়দা একটি ছোট্ট বাটিতে দিতে হবে এবার কিছু পরিমাণ নারিকেল দিতে হবে ও পরিমাণ মতো খেজুরের গুড় দিয়ে আবার ঝুরঝুরে ময়দা দিয়ে পাতিলে ফুটন্ত পানের উপরে একটি ছিদ্র আছে সেখানে বসিয়ে এক মিনিট রাখার পরে তৈরি হবে ভাপা পিঠা।
চিত্রঃ ঝুরঝুরে ময়দা।
চিত্রঃ নারিকেলের গুড়া।
চিত্রঃ খেজুরের গুড়ের গুড়া।
আমাদের দেশে শীতে মানেই আবহমান বাঙালি সংস্কৃতি ভাপা পিঠার উৎসব।