ইতিহাস
২য় বিশ্ব যুদ্ধের পরবর্তী সময়ে ব্রিটিশ সেনাবাহীনি এ সমাধি প্রতিষ্ঠা করেন। শুরুতে ২য় বিশ্বযুদ্ধে নিহত ৪০০জন সৈন্যদের সমাধি ছিল। তবে বর্তমানে ৭৩১টি সমাধি রয়েছে, যার ১৭টি অজানা ব্যাক্তির।
২য় বিশ্ব যুদ্ধের বিদেশি জাতীয় সৈন্যদের প্রায় ২০টি সমাধি বিদ্যমান (১জন ওলন্দাজ, ১৯জন জাপানি)।
এখানে ২য় বিশ্বযুদ্ধ চট্টগ্রাম বোম্বে (১৯৩৯-১৯৪৫) স্মারক বিদ্যমান।
যুদ্ধের সময় সেনাবাহীনির প্রশিক্ষণ এবং ১৫২নং ব্রিটিশ জেনারেল হাসপাতালের সুবিধার কারনে চট্টগ্রাম মিত্র বাহিনী চতুর্দশ সেনাবাহীনির এই প্রতিকৃৎ ক্যাম্প স্থাপন করা হয় এবং ১৯৪৪-১৯৪৫ পর্যন্ত সচল ছিল।প্রাথমিকভাবে সেনাবাহীনির তত্ত্বাবধান প্রায় ৪০০জনের দেহ সমাহিত করা হয়। যুদ্ধের শেষে অতিরিক্ত মৃত সৈন্যদের দেহ লুসাই, ঢাকা, খুলনা, যশোর, কক্সাবাজার, রাঙ্গামাটি, পটিয়া, দোহাজারি এবং অস্থায়ী সমাধিস্থান থেকে এসমাধিস্থানে স্থানান্তর করা হয়। যেটি শুরুতে একটি ধানক্ষেতে থাকলেও বর্তমানে বেশ উন্নত একটি সবুজে ঘেরা এলাকা এবং চট্টগ্র্রামের প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত।
অবস্থান
চট্টগ্রাম ওয়ার সেমিট্রি বা কমনওয়েলথ ওয়ার সেমিট্রি চট্টগ্রাম নামেও পরিচিতি যেটি চট্টগ্রামের দামপাড়া এলাকায় ১৯নং বাদশা মিয়া সড়ক-এ অবস্থিত। চট্টেশ্বরি রোডের চারুকলা ইনিস্টিটিউটের কাছে এবং ফিনলে গেষ্ট হাউজের নিকটে পাহাড়ি ঢালুতে অবস্থান।
শাহ আমানত বিমান বন্দর থেকে ২২কিলোমিটার উত্তরে এবং বন্দর থেকে ৮কিলোমিটার দূরে অবস্থিত।
৫০দশকের প্রথমার্ধে নির্মাণ করা এ সেমিট্রির বাইরের অংশ খোলা মাঠ। সকাল ৯-১২ ও বিকাল ৩-৫টা পর্যন্ত আগত দর্শনার্থীদের জন্য প্রবেশাধিকার উন্মুক্ত। তবে শীতকালে সময়সূচির পরিবর্তন হয়। কোলাহলমুক্ত এ সমাধিতে প্রবেশাধিকার থাকলেও বসা নিষেধ।
সমাধি বিবরণ
সৈনিক-৫২৪
বৈমানিক-১৯৪
নাবিক-১৩
দেশ সূমহ
যুক্তরাজ্য-৩৭৮
কানাডা-২৫
অষ্ট্রেলিয়া-৯
নিউজিল্যান্ড-২
মায়ানমার-২
জাপান-১৯
পূর্ব আফ্রিকা-১১
পশ্চিম আফ্রিকা-৯০
অবিভক্ত ভারত-২১৪
অন্যান্য-৪

