কৃষ্ণচূড়ার আদি নিবাস পূর্ব আফ্রিকার দেশ মাদাগাস্কার। কথিত আছে ১৮০০ সালের শুরুর দিকে কোন এক পাদ্রীর মাধ্যমে বিদেশ থেকে এই গাছ ভারত বর্ষে আসে। ধারণা করা হয়, রাধা ও কৃষ্ণের নাম মিলিয়ে এই গাছের এখানে নামকরণ হয়েছে কৃষ্ণচূড়া।
কৃষ্ণচূড়া গাছ জন্মানোর জন্য উষ্ণ বা প্রায়-উষ্ণ আবহাওয়ার দরকার। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে কৃষ্ণচূড়া গাছ জন্মে। একেক এলাকায় কৃষ্ণচূড়ার ফুল ফোটার সময় একেক রকম। ভারত বর্ষে সাধারণত এপ্রিল-জুন সময়কালে কৃষ্ণচূড়া ফুল ফোটে।
বাংলাদেশে এখন গ্রীষ্ম কাল। তাই এখন দেশের অনেক গ্রাম এবং শহরের বিভিন্ন জায়গায় শোভা ছড়াচ্ছে অগ্নিরাঙা কৃষ্ণচূড়া ফুল। কৃষ্ণচূড়া ফুলের সৌন্দর্য উপভোগ করতে ভীড় জমাচ্ছেন বিভিন্ন বয়সের নারী এবং পুরুষ। মহিলারা বিভিন্ন কালারফুল শাড়ি পরে কৃষ্ণচূড়া ফুলের সাথে নানান ভঙ্গিতে ছবি তুলছেন। সোস্যাল মিডিয়াতে এখন কৃষ্ণচূড়ার ট্রেন্ডিং চলমান।
ঢাকা শহরের ক্রিসেন্ট লেক, ঢাকা ইউনিভার্সিটি এলাকা, রমনাপার্ক, সোহরাওয়ার্দী উদ্যান ইত্যাদি জায়গার প্রকৃতি এখন কৃষ্ণচূড়ার লাল ফুলে রঙিন হয়ে আছে। সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত এখানে মানুষ ভীড় দেখা যাচ্ছে।
তবে সব থেকে ব্যতিক্রম সংসদ ভবন এলাকার ক্রিসেন্ট লেক। বিশাল লেকের দুই পার এখন লাল এবং সবুজে ভরপুর। এ যেনো বাংলদেশের পতাকার প্রতিচ্ছবি। তাই হাতে সময় থাকলে পরিবার বা বন্ধু বান্ধব নিয়ে ঘুরে আসতে পারেন ক্রিসেন্ট লেক।