আঞ্চলিক ভাষায় এই ফুলটির নাম টকটকি নামে আমরা চিনি। পুরাতন পুকুর বা প্রাকৃতিকভাবে বেড়ে ওঠা মাছ আছে এমন ছোট বড় গ্রামের পুকুরে আমরা দেখতে পাই।
অ্যাবেলমোসফাস ফিকুলেনাস হ’ল ম্যালভ্যাসি পরিবারের অ্যাবেলমোসচাস গণের ফুলের উদ্ভিদের একটি প্রজাতি। সাধারণত সাদা বন্য কস্তুরী ম্যালো বা নেটিভ রোসেলা হিসাবে পরিচিত, এটি কাঠের ডালসহ তন্তুযুক্ত বহুবর্ষজীবী। এর ফুলগুলি প্রায় এক ইঞ্চি ব্যাসের হয়, গোলাপী বা সাদা, একটি গোলাপ কেন্দ্র সহ; এর পাতা পালমেট হয়।
অ্যাবেলমোসকাস প্রজাতি হ’ল ভেষজ, আন্ডারশ্রুব বা ছোট গাছ। সাধারণ কাঁটা বা স্টেলেট চুলযুক্ত শাখা। পাতা গুলি বিকল্প, পালমেটে।
বাংলাদেশের একটা সবজির নাম ঝিঙ্গা. এই ঝিঙার ফুল হয় হলুদ রঙের. দেখতে খুব একটা আহামরি কিছু না, আবার নাই কোনো গন্ধ. বাংলাদেশের কৃষকরা এই সবজি এখন বানিজ্যিক ভাবে চাষ করে. ছোট বেলায় আমাদের বিল্ডিং এর সামনের ছোট টিলাতে শীতের সকালে হাজারো ঝিঙার ফুল দেখতাম. হলুদ রঙের এই ফুল নিয়ে অনেক গান কবিতা আছে. আমাদের বিদ্রোহী কবি, নজরুল ইসলাম লিখেছিল “ঝিঙে ফুল” কবিতাটি. প্রথম কয়টা লাইন হলো…
ঝিঙে ফুল! ঝিঙে ফুল!
সবুজ পাতার দেশে ফিরোজিয়া ফিঙে-কুল
ঝিঙে ফুল।
লজ্জাবতী মেয়েকে লজ্জা দিতে কার না ভালো লাগে? কিন্তু মেয়েদের মত গাছও যে লজ্জা পেতে পারে- এমন কথা শুনে অবাক হওয়ার কিছু নেই। সামান্য স্পর্শ পেলে নববধূূর মতো নেতিয়ে পড়ে এ গাছটি। ছোট গুল্মজাতীয় গাছটির নাম লজ্জাবতী। এর পাতা স্পর্শ করলেই আশ্চর্যজনকভাবে তা বন্ধ হয়ে যায় এবং কিছুক্ষণ পর আবার আগের অবস্থায় ফিরে সতেজ হয়ে ওঠে। অত্যন্ত দ্রুত অনুভূতিসম্পন্ন এ গাছ। ছোটবেলায় বাড়ির পাশে ফসলের ক্ষেতে গিয়ে ওদের যে কত লজ্জা দিয়েছি। লজ্জাবতীরা বিরক্ত হয়ে অনেক সময় কাটা ফুটিয়ে দিত।
“লাজুক লতা লজ্জাবতী
তাহার লাজের সীমা নাই
একটু ছুলেই থিরথিরিয়ে
লাজে মরে যায়
লজ্জাবতী ডেকে বলে
ছুয়ো না তুমি আমায়
ঐ ছোয়াতে হৃদয় কাঁপে
কোথায় তারে পাই”!