সূর্যমুখীঃ
সূর্যমুখী একধরনের একবর্ষী ফুলগাছ। এই ফুল দেখতে কিছুটা সূর্যের মত এবং সূর্যের দিকে মুখ করে থাকে বলে এর এরূপ নামকরণ। এর বীজ হাঁসমুরগির খাদ্যরূপে ও তেলের উৎস হিসেবে ব্যবহৃত হয়। এই বীজ যন্ত্রে মাড়াই করে তেল বের করা হয় ৷
সূর্যমুখী ফুল
গোলাপঃ
সভ্যতায় সব থেকে আলোচিত ফুল বোধ হয় গোলাপ। গোলাপ হল “রোজেই” পরিবারের রোসা গণের এক প্রকারের বহুর্ষজীবী ফুলের গাছ। বেশিরভাগ প্রজাতি এশিয়ার স্থানীয়, এছাড়াও ইউরোপ উত্তর আমেরিকা এবং উত্তর-পশ্চিম আফ্রিকার স্বল্প সংখ্যক দেশীয় প্রজাতিও দেখা যায়। প্রাচীন গ্রিস এবং রোমে গোলাপকে প্রেমের দেবী আফ্রোদিতে বা ভেনাসের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট বলে ভাবা হত। গোলাপগুলি বাগানে এবং কখনো কখনো বাড়ির অভ্যন্তরে তাদের ফুলের জন্য শোভাবর্ধনকারী গাছ হিসাবইে সবচেয়ে বেশি পরিচিত। এগুলি বাণিজ্যিকভাবে সুগন্ধি এবং বাণিজ্যিক ফুলের ফসলের জন্যও ব্যবহৃত হয়।
গোলাপ ফুল
জবাঃ
জবা হল মালভেসি গোত্রের অন্তর্গত একটি চিরসবুজ পুষ্পধারী গুল্ম, যার উৎপত্তি পূর্ব এশিয়াতে। আমাদের দেশে এই ফুল রক্তজবা, জবা বা রক্ত কুশূম নামেই বেশি পরিচিত। এটি চীনা গোলাপ নামেও পরিচিত। জবা ফুল গ্রীষ্মকাল ও শরতকালে ফোটে। জবা গাছের বিভিন্ন রকমের সংকর প্রজাতি আছে, যাদের ফুলের রঙ সাদা, হলুদ,কমলা, ইত্যাদি হতে পারে। সৌন্দর্যের পাশাপাশি এর ঔষধি গুণাগুণও কিন্তু অনেক।
জবা ফুল
রেইন লিলিঃ
রেইন লিলি হচ্ছে রজনীগন্ধা জাতীয় লিলি পরিবারভুক্ত গাছ। এই ফুল গাছের গোড়ায় অনেকটা পিঁয়াজাকৃতির কান্ড হয়ে থাকে বলে এর জনপ্রিয় বাংলা নাম পিঁয়াজ ফুল। এটি চন্দ্রতারা ফুল নামেও পরিচিত। এরা শুধু বর্ষাতে ফোটে; হয়তো তাই এর নাম রেইন লিলি। বিশেষ করে ভারী বৃষ্টির পর একে সজীব ও প্রফুল্ল দেখায়! যেনতেন যত্নে ফোটা এই ফুলের উজ্জ্বল বর্ণচ্ছটা আপনাকে মুগ্ধ করবে নিঃসন্দেহে।
রেইন লিলি
গাঁদাঃ
গাঁদা বা গন্ধা (গন্ধা>গেন্ধা>গেনদা>গাঁদা) একটি সুগন্ধী ফুল যা সর্বত্র সহজে জন্মায় এবং গৃহসজ্জায় ব্যবহৃত হয়। এই ফুল সাধারণত উজ্জল হলুদ ও গাঢ় খয়েরী হয়ে থাকে। সাধারণত এটি শীতকালীন ফুল হলেও বর্তমানে এটি গ্রীষ্ম এবং বর্ষাকালেও চাষাবাদ হয়ে থাকে। বাগানের শোভা বর্ধন ছাড়াও বিভিন্ন উৎসব-অনুষ্ঠান, পূজা-পার্বন ও গৃহসজ্জায় এর ব্যাপক ব্যবহার ফুলটিকে ভিন্ন মাত্রা দিয়েছে। গাদা ফুল গাছের ভেষজ গুণাবলি রয়েছে। কাঁটা স্থানে গাদা ফুল গাছের রস লাগালে ক্ষত স্থান থেকে রক্ত পরা বন্ধ হয়।
গাঁদা ফুল
কসমসঃ
সাধারণত এটিকে কসমস বা মেক্সিকান এষ্টার বলে ডাকা হয়। এটি একটি মাঝারি আকৃতির herbaceous উদ্ভিদ। এই প্রজাতি এবং এর বিভিন্ন ধরনের জাতগুলি শীতকালীন আবহাওয়ায় উদ্যানগুলিতে আলংকারিক উদ্ভিদ হিসাবে জনপ্রিয়। এর ফুল হলুদ, গোলাপী, সাদা, বেগুনী রঙের হয়ে থাকে। এই ফুলের সৌন্দর্যে প্রজাপতি ও কীটপতঙ্গ সহজেই আকৃষ্ট হয়।
কসমস ফুল
সরিষাঃ
সরিষা একটি তৈলফসল। এর দানা মশলা হিসেবেও ব্যবহৃত হয়। সরিষা শাক বাংলাদেশে জনপ্রিয়। এর ফুলে স্ব-পরাগায়ন ঘটে থাকে। সরিষার ভরা মৌসুম বা যৌবন কাল চলে অগ্রহায়ন মাসে অর্থাৎ সরিষার হলুদ ফুলে পুরো শস্যক্ষেত্রে ভরে থেকে অগ্রহায়ন মাসের পুরোটা জুড়ে। সেই সময় সরিষা ক্ষেতের হদুল ফুল জুড়ে মৌমাছিদের ভনভন আওয়াজ এবং মধু সংগ্রহের কাজ চলে পুরো দমে।
সরিষা ফুল
ঢেঁড়শঃ
ঢেঁড়শ মালভেসি পরিবারের এক প্রকারের সপুষ্পক উদ্ভিদ। ঢেঁড়শ ফল ক্যাপসুল আকারের হয়। এর ফল সবজি হিসাবে ব্যবহার করা হয়। এর ফুলের পাঁপড়ির রঙ সাদাটে হলুদ, ৫টি পাঁপড়ি থাকে। প্রতিটি পাঁপড়ির কেন্দ্রে লাল বা গোলাপী বিন্দু থাকে।
ঢেঁড়শ ফুল
*ছবি আমার ফোন দিয়ে তোলা, তথ্য ইন্টারনেট থেকে সংগ্রহ করা।
#BDLG
#LocalGuides
#LocalGuidesBangladesh








