দীর্ঘ ১৫ বছর পর আবারো একবার সুযোগ হলো দিনাজপুরের অনিন্দ্য সুন্দর এবং ঐতিহাসিক নয়াবাদ মসজিদ দেখার। তবে পুরনো স্মৃতির সাথে এবার নতুন সময়ের তেমন কোনো মিল নেই। ১৫ বছর আগে অনেক স্থানীয় ব্যক্তিও এই মসজিদ সম্পর্কে অতোটা ওয়াকিবহাল ছিলেন না। মসজিদে পৌঁছানোর রাস্তাটিও ছিলো অত্যন্ত জরাজীর্ণ। তবে এই দীর্ঘ সময়ে রাস্তাঘাটের উন্নয়নের ফলে মসজিদে পৌঁছানোটা এখন বেশ সহজ। কান্তজী মন্দির থেকে ৩০ মিনিটের কম সময়ে সরাসরি অটোতে করে ই মসজিদে পৌঁছে গেলাম। মসজিদের সংস্কার কার্য দেখেও চমৎকৃত হওয়া লাগলো।
ছবিঃ বর্তমান সময়ে নয়াবাদ মসজিদ ছবিঃ ১৫ বছর পূর্বে দেখা নয়াবাদ সমজিদসতেরশো শতকে মুঘল সম্রাট দ্বিতীয় শাহ আলমের সময়কালে, ২ জ্যৈষ্ঠ, ১২০০ বাংলা সনে, ইংরেজি ১৭৯৩ খ্রিষ্টাব্দ, নির্মিত এই মসজিদটি মুঘল স্থাপত্যের একটি অনন্য উদাহরণ। মসজিদটি ছোট হলেও এতে রয়েছে তিনটি গম্বুজ, বিস্তৃত পোড়ামাটির অলঙ্করণ এবং সুন্দর নকশার কাজ। মসজিদের বাইরের অংশটি বিস্তারিত পোড়ামাটির টেরাকোটা দ্বারা সজ্জিত, যা মোগল ঐতিহ্যের সাথে দেশীয় শৈলীর একটা মিশ্রণ এর বহিঃপ্রকাশ। বর্তমানে মসজিদের সাথে ই একটি সুন্দর বিশ্রমের স্থান রয়েছে যাতে দর্শনার্থীরা বিশ্রাম নিতে পারবেন।
ছবিঃ নয়াবাদ মসজিদ সম্মুখভাগ
অনেকেই দিনাজপুর গেলে শুধু কান্তজী মন্দির দেখে ই ফেরত চলে আসেন। অথচ মন্দির থেকে মাত্র আধা ঘন্টা সময়ের ব্যবধানে মোঘল সাম্রাজ্যের অনন্য নিদর্শন এই মসজিদ ই অবস্থিত, যা দেখার সুযোগ আসলে কোনোভাবে ই হাতছাড়া করাটা উচিত নয়।
ছবিঃ নয়াবাদ মসজিদ প্রাঙ্গণ