হ্যালো! লোকাল গাইডস,
জাতীয় পিঠা উৎসব ২০২৩ ঘুরে এসে, বাংলাদেশের বাহারি পিঠা এবং পিঠার জাতীয় উৎসব সম্পর্কে আমার অভিজ্ঞতা তুলে ধরলাম সকলের সাথে।
গত ১৯শে জানুয়ারী ২০২৩ থেকে শুরু হয়ে গেল বাংলাদেশের ‘‘১৬তম জাতীয় পিঠা উৎসব ২০২৩’’। তাই অনেক আগ্রহ নিয়ে চলে গিয়েছিলাম সেই উৎসবে যোগ দিতে। প্রতি বছরের ন্যায় এই বছরও পিঠা উৎসব বসেছে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমী মাঠে। অনেক বছর পর শীতকালীন এই পিঠা উৎসবে যোগ দিবো বলে অনেক উচ্ছ্বসিত ছিলাম গত কয়েকটি দিন। যাইহোক গেলাম, পিঠা উৎসবের আমেজে শিল্পকলার চারপাশের সাজসজ্জা দেখে বিমোহিত হলাম। একেই বলে উৎসবের আমেজ। যদিও শিল্পকলা এলাকায় সব সময় এরকম সাজসজ্জার মধ্যেই থাকে। পিঠা উৎসবে অবশ্য সেটার অতিরিক্ত রঙ পেয়েছে।
পুরো শিল্পকলার মাঠ ছাড়াও আশেপাশের খালি যায়গায় এক পাশ করে দোকান বসেছে। এক এক দোকানের এর এক এক নাম। বিভিন্ন জেলা ভিত্তিক এবং ঐতিহ্যবাহী পিঠা প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান হিসাবে অনেকেই স্টল বসিয়েছেন। স্টল মালিকেরা নানা পিঠা, খাবারে এবং সাজসজ্জার মাধ্যমে তাদের দোকান সাজিয়েছেন।
যাইহোক, নানা প্রকার পিঠা দেখে অনেক খুশি হয়েছিলাম। পিঠা আমাদের এক বিশেষ ঐতিহ্যবাহী খাবার সেই সাথে নানা পিঠার নানান স্বাদ সবসময় জিভেজল চলে আসার মত একটি অবস্থা তৈরি করে।
পিঠা দেখতে যেমন সুন্দর খেতে স্বাদ তারচেয়েও বেশি। নানা উপকরণে, নানা রঙের, নানা আকারের নানান স্বাদের পিঠা বাংলাদেশে পাওয়া যায়। এলাকাভেদে উপকরণ বা স্বাদ বা আকারের ভিন্নতা থাকলেও পিঠা তো পিঠাই। কোনটা মিষ্টি তো কোনটা ঝাল আবার কোনটার মিশ্র স্বাদ। আমাদের সাথে পিঠার ভাব অন্য খাবারের চাইতে আলাদা। ছোট বেলা থেকেই মায়ের হাতের পিঠা, মামা বাড়ির পিঠা বা কোন পারিবারিক বা সামাজিক অনুষ্ঠানের পিঠার প্রচল দেখে আমরা বড় হয়েছি। আমাদের ইতিহাস ঐতিহ্য এবং সংস্কৃতির এক বিশাল স্থান জুড়ে রয়েছে বাহারি পিঠা। আর আমাদের এই ইতিহাস, ঐতিহ্য এবং সংস্কৃতির ধারক বা বাহন হিসাবেই এই পিঠা উৎসবের আয়োজন।
এটি বাংলাদেশের নানা জেলার ভিন্ন ভিন্ন সংস্কৃতির মানুষকে শহরের কর্ম ব্যস্ততার মাঝেও এক হওয়ার জন্য আহবান করে। তাই সবাই বিভিন্ন এলাকা থেকে এখনে একত্রিত হয় পছন্দের পিঠা খাওয়ার জন্য এবং বৃহৎ এই পিঠা উৎসবে যোগ দেওয়ার জন্য।
এছাড়াও এই উসবে পিঠা ছাড়াও নানা প্রকার দেশী বিদেশী খাবার চোখে পরেছে। এই পিঠা উৎসবে সরাসরি পিঠা বানানোর দৃশ্য চোখের পরবে প্রায় প্রতিটি স্টলেই। শীতের মধ্যে গরম গরম পিঠা খাওয়ার স্বাদ উপভোগ করা যায় এই সুবিধার ফলে।
যারা এই চলমান জাতীয় পিঠা উৎসবে যোগ দিতে চান তাদের জন্য কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য।
জাতীয় পিঠা উৎসব ২০২৩ঃ
শুরু- ১৯শে জানুয়ারি।
শেষ- ২৮শে জানুয়ারি।
সময়ঃ বিকাল ৩ টা থেকে রাত ৯ টা পর্যন্ত।
স্থানঃ বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি, সেগুনবাগিচা, ঢাকা।
যারা ভীড় এড়িয়ে শুধু পিঠার স্বাদ উপভোগ করতে চান তারা বিকাল ৩টার পর এবং সন্ধ্যার আগে যেতে পারেন। আর যারা পরিপূর্ণ উৎসব এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান যেমনঃ গান, নৃত্য এবং মঞ্চ নাটক উপভোগ করতে চান তারা সন্ধ্যা থেকে যোগ দিতে পারেন।
জাতীয় পিঠা উৎসব ২০২৩ এর আরো বিস্তারিত আকারের একটি মিটাপ রিক্যাপ আসছে খুব শীঘ্রই। কানেক্ট এ চোখ রাখুন।
ধন্যবাদ সম্পূর্ন পোস্ট পড়ার জন্য। তাছাড়া এই পোস্ট সম্পর্কে আপনার মতামত কমেন্ট এর মাধ্যমে জানায়ে দিতে পারেন।








