২০০তম মিটআপের লোকেসন ছিল, শ্যামনগর, সাতক্ষিরা-এর বর্ষা রিসোর্ট। আমরা সুন্দরবনের একাংশ ভ্রমনের উদ্দেশ্যে ২৪ নভেম্বর ২০২২ সকাল ৯টার মধ্যে সকালের নাস্তা শেষ করে ট্রলারের চেক ইন করার জন্য প্রস্তুতি নেই ।
আমাদের গন্তব্য
১। কলাগাছিয়া ইকো টুরিজম সেন্টার
২। কদমতলা ফরেষ্ট ষ্টেশন
সর্বমোট যাত্রা পথ ৩০ কিলোমিটার এর কিছু বেশি এবং যাত্রা সময় লেগেছিল ৪ ঘন্টার কিছু বেশি।
এর মধ্যে নির্দিষ্ট ঘাটে আমাদের ট্রলার এসে প্রস্তুত। আমরা ফরেস্ট অফিসার-দের কাছ থেকে পাস পাওয়ার জন্য অপেক্ষা করছি, এরই মধ্যে একে একে আমার ট্রলার-এ উঠে বসলাম।
ফরেস্ট অফিসার-দের কাছ থেকে পাস পাওয়ার পরে আমাদের ট্রলার চলা শুরু করলো, আমারা সুন্দরবনের দৃশ্য অবলোকন করতে করতে আমাদের প্রথম গন্তব্য কলাগাছিয়া ইকো টুরিজম এর দিকে যাচ্ছি ।
কিছুক্ষনের মধ্যে আমারা পৌঁছে গেলাম, শুরুতে একদল বানর এসে আমাদের সাগতম জানালো । এরপর আমরা একটা ম্যাপ দেখালাম পুরো এড়িয়ার কোথায় কি আছে।
১৭৫০ ফিট এর একটা আর, সি, সি ট্রেইল আছে যেটা আগে কাঠের তৈরি ছিল। ধীরে ধীরে আমরা ট্রেইল ধরে হাটতে থাকলাম এবং সুন্দরবন এর সৌন্দর্য উপভোগ করতে থাকলাম ।
তার মধ্যে অন্যতম পুকুরে মত একটা জায়গায় কুমির, ওয়াচ টাওয়ার, সুন্দরী এবং খলসি গাছের মত আরো নাম না জানা অনেক গাছ।
সবশেষে আমরা দেখলাম কিছু চিত্রাহরিণ, আমাদের অনেকে হরিণ গুলোকে খাও্লেন আবার অনেকে সবাই ভালো স্থির চিত্র নিলেন । এরপর আমরা আমাদের পরবর্তি গন্তব্য কদমতলা ফরেষ্ট ষ্টেশন এর দিয়ে রওনা দিলাম।
এবার আমাদের ট্রলার-এর দুই পাশেই সুন্দরবন , সে এক অপরুপ দৃশ্য । ইতিমধ্যে আমরা কদমতলা ফরেষ্ট ষ্টেশন-এর পৌছে গেলাম ।
সেখানে একটা ব্রেক নিয়ে আমাদের রিসোর্ট-এর উদ্দেশ্য আমাদের যাত্রা শুরু করলাম ।
ঠিক এভাবেই দেখতে দেখতে সুন্দরবনের সৌন্দর্য অন্বেষনে সমাপ্তি ঘটলো।
বোনাসঃ হরিণ-স্যার কে বলছি চলেন সেলফি তুলি, এরপর এটা আমার মোবাইলে ক্যাপচার হইছে














