বাংলাদেশের একমাত্র চিনামাটির সাদা পাহাড় নেত্রকোনার সেরা দর্শনীয় স্থান হলো সুসাং দুর্গাপুর, বিরিশিরি। এখানে ঘুরে বেড়ানোর পাশাপাশি আমরা বন্ধুরা মিলে পরিস্কার পরিচ্ছন্নতা অভিযান ও পরিচালনা করি।
ক্যাপশনঃ সাদা পাহাড়ে সবুজ পানির হ্নদ।
এ এক অপরূপ সৌন্দর্য মুগ্ধ করবেই সবাইকে। সাদা মাটির এই দেশে দেখা মিলবে চিনামাটির পাহাড়, সোমেশ্বরী নদী, নীলচে-সবুজ পানির হৃদ, গির্জা, পাহাড়ি নৃ-গোষ্ঠিসহ বিভিন্ন দর্শনীয় স্থান। বিরিশিরি বাংলাদেশের নেত্রকোনা জেলার দুর্গাপুর উপজেলায় অবস্থিত। বিরিশিরির মূল আকর্ষণ হলো বিজয়পুর চীনামাটির খনি। এর বুক চিরে বয়ে গেছে সবুজ ও নীলচে স্বচ্ছ পানির হ্রদ। বিরিশিরি হলো খুবই সুন্দর এক গ্রাম। সেখানকার পাহাড় ও তার আশেপাশের সমভূমির দৈর্ঘ্য প্রায় ১৬ কিলোমিটার ও প্রস্থ ৬০০ মিটার।
ক্যাপশনঃ পরিচ্ছন্নতা অভিযানে আমরা Waf Foundation বন্ধুগন।
আমরা ওয়াফ ফাউন্ডেশন এর বন্ধুরা যখন চিনা মাটির পাহাড়ে পৌছাই আশেপাশে খুব অপরিচ্ছন্নতা আমাদের দৃষ্টিগোচর হয় যা পরিবেশ এর জন্য হুমকি মনে হয়। সবাই মিলে তৎক্ষনাৎ সিদ্ধান্ত নেই আমরা এখানে একটি পরিচ্ছন্নতা অভিযান চালাবো। এবং সেই সাথে এখানে আসা পর্যটকদের কেও সচেতন করবো কেও যাতে অপচনশীল বর্জ্য যত্রতত্র ফেলে না যায় সঠিক স্থানে যেন ময়লা ফেলে।
ক্যাপশনঃ পরিচ্ছন্নতা অভিযান শেষ করে বন্ধুরা একসাথে ঠান্ডা পানির সোমেস্বরী নদীতে গোসল করছি ।
সোমেশ্বরী নদী মুলত ভারতের একেবারে বর্ডার ঘেষে মানে নদী উপারেই ভারতের কাটা তারের বেড়া। কিন্তু এত ঠান্ডা পানিতে নেমে সবাই খুব উপভোগ করেছিলাম তাই ওইদিকে নজর দেয়া হয়নি। বলে রাখি সোমেশ্বরী নদী থেকে কিন্তু কয়লা উত্তোলন ও করা হয়। স্থানীয় অনেকেরেই এটা প্রধান পেশা।
ক্যাপশনঃ চীনা মাটির পাহাড় মধ্যে খানে লেক।
বিরিশিরি আপনি কিভাবে যাবে? প্রথমত ঢাকার মহাখালী বাস স্টান্ড থেকে যেতে পারবেন। অথবা ব্যাক্তিগত গাড়ি নিয়ে যেতে পারেবন। দ্বিতীয়ত আপনি ট্রেনে ময়মনসিংহ হয়েও বিরিশিরি যেতে পারবেন। আপনি চাইলে বিরিশিরি তে রাত্রি যাপন ও করতে পারবেন সুন্দর ব্যাবস্থা আছে।
ক্যাপশনঃ সাদা পাহাড়ে আমি পলাশ ছবি তুলেছে বন্ধু মুন্না।
পুরো বিরিশিরি ভ্রমনটাই আমরা বন্ধুরা মিলে খুব উপভোগ করেছি৷ তবে গরমকাল হওয়াতে একটু কষ্ট হয়েছে। তবে বিরিশিরর সৌন্দর্য্যর কাছে সেই কষ্ট নগন্য।
ক্যাপশনঃ বাংলাদেশ বর্ডার গার্ড সীমান্ত ফাড়ি।
যেখানেই ভ্রমনে যা নাহ কেনো সরকারি স্থাপন এবং নিরাপত্তায় নিয়োজিত প্রতিষ্ঠানে প্রবেশর ক্ষেত্রে অবশ্যই অনুমতি নিয়ে ঢুকবেন এবং অনুমতি ব্যাতিত ছবি তুলবেন নাহ।
ক্যাপশনঃ সোমেশ্বরী নদী।
ক্যাপশনঃ আমার ওয়াফ ফাউন্ডেশন এর বন্ধুরা।
সর্বোপরি নিজ গন্ডির বাহিরে যেখানেই ভ্রমনে যাবেন অবশ্যই স্থানীয় দের সম্মান করবেন দেখবেন তারাও আপনাকে আতিথ্য দিবে। এবং কোনভাবেই অপচনশীল বর্জ্য প্রকৃতির মাঝে ফেলে আসবেন নাহ নির্দিষ্ট স্থানে ফেলুন।
এরকম কোন ভ্রমন অভিজ্ঞতা থাকলে আপনিও মন্তব্যের ঘরে ছবি সহ শেয়ার করতে পারেন।







