১৯৩৯ সাল থেকে ১৯৪৫ সাল পর্যন্ত বিভীষিকাময় দ্বিতীয় বিশ্ব যুদ্ধের ভয়াবহতার স্মৃতিচিহ্ন এই স্হান। ময়নামতি ওয়ার সিমেট্রিতে (কমনওয়েলথ যুদ্ধ সমাধি) দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে নিহত সৈনিকদের, যারা তাদের জীবন উৎসর্গ করেছিলেন শুধুমাত্র তাদেরকেই এখানে সমাদৃত করা হয়। এটা তৎকালীন সেনাবাহিনী দ্বারা শুরু হয়েছিল এবং গ্যারিসন ইন্জিনিয়ার দ্বারাই স্হাপন করা করা হয়েছিলো।
ছবিঃ ময়নামতি ওয়ার সিমেট্রি(বাহির থেকে তোলা)
তাদের বেশির ভাগই তৎকালীন হাসপাতালে আহত চিকিৎসারত মৃত সৈনিকদের। তাছাড়াও যুদ্ধের পর বিভিন্ন স্হান থেকে মৃত সৈনিকদের লাশ স্থানান্তর করে এখানে দাফন করা হয়। তাদের সংখ্যা টা খুবই কম ছিলো।
তাদের পরিচিতিঃ এখানে সমাধিত ৭৩৭জন সৈনিকের মধ্যে সবাই নিজের দেশের জন্য প্রাণ উৎসর্গ করা বীর। তাদের মধ্যে ব্রিটেনের ৩৫৭ জন, ভারতীয় উপমহাদেশের ১৭৮ জন, পশ্চিম আফ্রিকার ৮৬ জন, জাপানি (যুদ্ধবন্দি) ২৪ জন, পূর্ব আফ্রিকার ৫৬ জন, কানাডার ১২ জন, অস্ট্রেলিয়ার ১২ জন, রোডোশিয়ার ৩ জন, দক্ষিণ আফ্রিকার ১জন, পোলোন্ড ও বেলজিয়ামের ১ জন রয়েছেন।
তৎকালীন সৈনিকদের তথ্য অনুযায়ী তাদের মধ্যে ৩ জন নৌ সৈনিক, ৫৬ জন সৈনিক ও ১৮ জন পাইলট ছিলেন।
ভিতরে প্রবেশ করে উপরের দিকে উঠলে বেশ কয়েকজন মুসলিম সৈনিকদের নাম দেখতে পাবেন।
অবস্থানঃ কুমিল্লা শহর থেকে ৯ কিলোমিটার দূরে কুমিল্লা সেনানিবাসের উত্তর পাশেই এর অবস্থান।
Latitude-Longitude: 23°29’15"N, 91°6’35"E wC
কিভাবে যাবেনঃ ঢাকা থেকে কুমিল্লাগামী যেকোন বাসে উঠে কুমিল্লা ক্যান্টনমেন্ট টিপরা বাজার নামে পড়তে হবে। বাস থেকে নেমে রিক্সায় করে সরাসরি উত্তর দিকে কুমিল্লা - সিলেট মহাসড়কের পাশেই ময়নামতি ওয়ার সিমেট্রি। রিক্সা ভাড়া ২০/- টাকা নিবে। পাঁয়ে হেঁটে গেলে ১০ মিনিট সময় লাগবে।
ঢাকা সায়দাবাদ/কমলাপুর থেকে এসি বাসে ৩০০/- টাকা ও ননএসি বাসে ১৮০/- থেকে ২৫০/- টাকা নিবে।
কবে যাবেনঃ শুধুমাত্র শুক্রবার বন্ধ থাকে। প্রতিদিন সকাল ৭টা থেকে দুপুর ১২ টা এবং দুপুর ২ টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত সবার জন্য উন্মুক্ত থাকে। তাছাড়া ঈদুল আজহা ও ঈদুল ফিতরের জন্য তিন দিন করে বন্ধ থাকে।
কিছু বিধিনিষেধঃ-
(১)বসে বসে গল্প করা যাবে না।
(২)গেইট বন্ধ থাকলে খোলার জন্য অনুরোধ করা যাবে না।
(৩)যারা শায়িত আছেন তাদের প্রতি সন্মান দেখাইতে হবে।
(৪)ময়লা ফেলা যাবে না।
(৫)ক্যামেরা নিয়ে প্রবেশ করা যাবে না।
(৬)ফুল ছেঁড়া যাবে না।
(৭)কোন যানবাহন নিয়ে প্রবেশ করা যাবে না।
(৮)কোন ধরনের খদ্যসামগ্রী নিয়ে প্রবেশ করা যাবো না।
(৯)ঘাসের উপরে বসা যাবে না।
(১০)ছোট্ট বাচ্চাদের নিয়ে প্রবেশ না করাই ভালো।
এখানে প্রবেশের জন্য কোন টিকিট লাগে না। নিচের ইউটিউব লিং থেকে আমরা চাইলে পুরো ওয়ার সিমেট্রি টা দেখে আসতে পারি।
@TusharSuradkar
@FalguniP
@AjitThite
@TravellerG
@Shubham _waman
@Gurukrishnapriya
@Shrut19