ঢাকার বাইরে ডে-আউটের প্ল্যান করলে বেশিরভাগ মানুষের মুখে সবার আগে নাম আসে রিসোর্টের। নগরীর শত ব্যস্ততা থেকে সারাদিনের জন্যে নিজেকে প্রকৃতির মধ্যে ডুব দেওয়ানোর জন্যে রিসোর্ট একটি অন্যতম জনপ্রিয় পন্থা অনেকের কাছে। সবুজ সমারোহের মধ্যে সবাই যেনো সতেজ নিশ্বাস নিলেই শান্তি পায়।
ঢাকা নগরীর খুবই নিকটে গাজীপুরের পূবাইলে অবস্থিত হাসনাহেনা পিকনিক ও সুটিং স্পট। একদম মূল সড়কের পাশে হওয়ায় এর যাতায়াত করাও খুব সহজ যার ফলে পূবাইলে খুবই জনপ্রিয় হয়ে উঠে এই রিসোর্টটি। গাজীপুরের এই এলাকায় কিংবা আশে পাশের বিভিন্ন এলাকায় আরো বহু পিকনিক ও সুটিং স্পট রয়েছে, তন্মধ্যে এটি একটি জনপ্রিয় স্পট হয়ে উঠেছে। এছাড়াও এর নিজস্ব অনেক বড় পার্কিং এরিয়া রয়েছে।
এই রিসোর্টের এন্ট্রি ফি ২০০টাকা এবং সুইমিং+এন্ট্রি ফি ৫০০ টাকা। লং ডে এর খাবার সহ প্যাকেজটি কোভিড এর পর থেকে অফ হয়ে গেছে। তবে বড় কোনো গ্রুপ গেলে তারা সেটা ম্যানেজ করে দেয়।
এবার আসি ভেতরের দৃশ্যে। মেইন গেট পার করে সামনে এগোলেই এমন একটি রাস্তা পাবেন যার দু পায়াহে ছোট গাছ রয়েছে। এছাড়াও গেইট পেরিয়েই হাতের বামে রয়েছে পার্কিং জোন এবং খেলার জন্যে এক বিশাল মাঠ। আর ডান পাশে পাবেন একটি পুকুর যার একটি ঘাটও রয়েছে।
পুকুরের ঠিক ডান পাশেরি রয়েছে এই রিসোর্টের গেষ্ট হাউজটি যার সামনের আসলে পুকুরের ঘাটটি। বিভিন্ন মিডিয়া যখন সুটিং এ আসে তখন এই গেষ্ট হাউজটি ভাড়া দেয়। ডে আউটেও দেওয়া হয় তবে মূল্যটা আলাদা করে চেয়ে থাকে। আসলে করোনার পর থেকে তারা প্যাকেজটি অফ করে দিয়েছিলো তারপর থেকে এখব অবধি আস্তে আস্তে চালু করতেছে আবার।
গেষ্ট হাউজ পেরিয়ে সামনে এগোলেই পাবেন সুইমিংপুল। আসলে রৌদ্রজল দিনে ওখানের ভিউটা যে কত সুন্দর তা ছবি দেখে বোঝা মিশকিল। আকাশে গুচ্ছ মেঘ, পাশে ফুল গাছে ফুটে আছে ফুল এবং এর এর ডিজাইন খুবই সুন্দর ভাবেই একটি অন্যরকম অনুভূতি দিয়ে থাকে। এছাড়াও পুলের পাশে বসার জন্য সুন্দল্র একটি বড় ছাউনি রয়েছে যেখানে মোটামুটি সাইজের একটি টিম মিটিং করে ফেলতে পারবে।
পুল থেকে সামনে এগোলেই বসার ছাউনি পার হলেই এই রেস্টুরেন্ট। বড় প্রোগ্রাম/আয়োজন হলে তখন এটি খোলা হয়। এটি এমন ভাবে ডেকোরেশন করা এটা রেস্টুরেন্ট আবার মিটিং এর জন্যে হল রুম হিসেবে ব্যবহার করা যায়।
আরো সামনে এগিয়ে এলে একদম শেষ প্রান্তে আসলে দেখা পাবেন একদম গ্রামীণ পরিবেশের। এখানে কুড়েঘর এবং টিন শেড রয়েছে মাটির উঠানের সাথেই। এছাড়াও ওখানে ঢেকি এবং মাটির চুলার দেখা মেলে। এবং ঘর গুলোর পিছনেই রয়েছে একটি ছোট্ট খাল যেখান ভিড়ানো আছে ডিঙ্গি নৌকা।
প্রকৃতপক্ষে এখানে সবুজের ছায়ায় আদি গ্রাম বাংলার অল্প কিছু স্মৃতির শোভা মেলে। এখানে সারাদিনে আপনি বিভিন্ন গ্রুপ এক্টিভিটি করতে পারবেন, গ্রামীণ পরিবেশের আনন্দ পাবেন যেমন মাছ ধরতে পারবেন নৌকা দিয়ে, মাটির চুলোয় রান্না করতে পারবেন। পুরো সবুজ ছায়ার এক মাঠে সময় কাটাতে পারবেন। মাঠের কোণে কয়েকটি দোলনা, স্লিপার এবং আরো বাচ্চাদের খেলার জিনিস রয়েছে। কখনো এই এরিয়া তে আসলে সময় করে এখানে একদিন ঘুরতে পারেন পরিবারসহ।ব্দনধ্
সবাইকে ধন্যবাদ পড়ার জন্যে, ভূল ত্রুটি ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন।





