চট্টগ্রাম শহরের সবচেয়ে বড় এবং জাতীয় মসজিদ জমিউতুল ফালাহ জাতীয় মসজিদ, সবার কাছে এটা বিশ্ব মসজিদ নামে সুপরিচিত।
চট্টগ্রাম শহরের প্রাণকেন্দ্র ওয়াসা মোড়ে এর অবস্থান, বিশাল জায়গা সম্বলিত এই মসজিদে প্রতিদিন হাজার হাজার মুসল্লী নামাজ পড়তে আসে৷
২০১৩ সাল থেকে ইসলামি ফাউন্ডেশন এই মসজিদটি পরিচালনা করছে, মসজিদটি পাঁচ তলা বিশিষ্ট, মসজিদের আন্ডারগ্রাউন্ড এও প্রায় ২০০০ হাজার মানুষ নমাজ আদায় করতে পারে, মসজিদের চারটি প্রবেশ মুখ সহ মূল দুইটি প্রবেশ রয়েছে, দুই পাশে মানুষ ওযু করার জন্য বিশাল দুইটি ওযুখানা রয়েছে, একসাথে ৩০০ এর অধিক মানুষ ওযু করার সুযোগ রয়েছে।
শুক্রবার জুমা’র দিন চট্টগ্রাম শহরের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে হাজার মুসল্লী সমাগম হয়, তাই মসজিদের দুই পাশে কয়েকশ গাড়ি পার্কিং করার সুবিধা রয়েছে, সরকারি নিরাপত্তা বাহিনীর কড়া নিরাপত্তা থাকে শুক্রবার উভয় গেইটে।
শুক্রবার জুমা’র নামাজের সময় প্রায় দশ হাজার এর অধিক মুসল্লী সমাগম হয়, মসজিদের দীর্ঘ দিনের খতিব ছিলেন হজুর জালাল উদ্দীন আল কাদের, বর্তমানে হুজুর আবু তালেব বেলাল খতিবের দায়িত্ব পালন করে।
শুক্রবার ছাড়াও ঈদের নামাজে, জানাযায় প্রচুর মানুষের সমাগম হয় তাই মসজিদের সামনে বিশাল জায়গা সম্বলিত মাঠে তা অনুষ্ঠিত হয়।
এই মাঠে সারাক্ষণ আশপাশের ছেলেরা নিত্যদিনের খেলাধুলা করে, অনেকেই সন্ধার পর ব্যায়াম করে , চট্টগ্রাম শহরের সবচেয়ে বড় ঈদ জামাত এখানে অনুষ্ঠিত হয়, চট্টগ্রামের মেয়র, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ সহ সর্বস্তরের মানুষ নামাজে অংশ নিয়ে থাকে।
জমিউতুল ফালাহ জাতীয় মসজিদের সামনের প্লাজায় বিশাল খোলা জায়গা রয়েছে, সেখানে গত ৩৭ বছর যাবত মহররম মাসে দশ দিন ব্যাপী শাহাদাতে কারবালা মাহফিল উদযাপন হয়, দশদিন ব্যাপি মাহফিলে দেশ সহ আন্তর্জাতিক অসংখ্য স্কলারগণ উপস্থিত থাকে।
মসজিদের নিচতলায় রয়েছে মসজিদ লাইব্রেরী, মসজিদে ৩ জন ইমাম, ২ জন মুয়াজ্জিন সহ অসংখ্য খাদেম রয়েছে, শুক্রবার আসরের পরে অনেক গুলো আকদ অনুষ্ঠান এখানে অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে, বিভিন্ন সেমিনার উদযাপনের জন্য ছোট দুইটা সেমিনার রুম সহ বড় সেমিনার গুলো মসজিদের আন্ডারগ্রাউন্ডে অনুষ্ঠিত হয়।