চট্টগ্রাম শহরের প্রাণকেন্দ্র মুরাদপুর থেকে বিবিরহাট হয়ে /রেল লাইন ধরে পাঁচ মিনিট হাঁটার দূরত্বে জামেয়ার অবস্থান, চট্টগ্রাম শহরের মুরাদপুর অথবা যেকোনো অবস্থান থেকে সুন্নীয়া মাদরাসা যাবো বললে যেকোনো কেউ আপনাকে দেখিয়ে দিবে,জামেয়া আহমদিয়া সুন্নীয়া কামিল মাদ্রাসা সকলের কাছে (সুন্নীয়া মাদ্রাসা) নামে পরিচিত।
জামেয়া আহমদিয়া সুন্নীয়া কামিল মাদ্রাসা ১৯৫৪ সালে রাসুল করিম (দ) এর ৩৯ তম বংশধর সৈয়দ আহমদ শাহ সিরকোটি রাহঃ প্রতিষ্ঠা করেন, বর্তমানে জামেয়া আহমদিয়া সুন্নীয়া কামিল মাদ্রাসায় প্রায় ৮০০০ হাজার অধিক ছাত্র লেখাপড়া করছে।
এর পাশাপাশি মাদরাসা থেকে ২/৩ মিনিট হাঁটা দূরত্বে জামেয়া আহমদিয়া সুন্নীয়া মহিলা মাদ্রাসা অবস্থিত।
এশিয়া বিখ্যাত দ্বীনি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আরও রয়েছে কোরআন হাফেজ হওয়ার জন্য হেফজ খানা, রয়েছে বিশাল দুইটা ছাত্রাবাস, খেলাধুলা করার জন্য দুই টা মাঠ, ও জামেয়ার ছাত্রদের জন্য বিশাল বইয়ের লাইব্রেরী।
কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো এখানে সব বিষয়ের উপর পাঠদান করা হয়, কোরআন, হাদীস, ফিকাহ ছাড়াও এখানে বিজ্ঞান বিভাগের সকল বিষয়ে অনার্স ও মাস্টার্স করার সুযোগ রয়েছে।
জামেয়া আহমদিয়া সুন্নীয়া কামিল মাদ্রাসা পরিচালনা করেন আঞ্জুমানে রাহমানিয়া আহমদিয়া সুন্নীয়া ট্রাষ্ট, এই ট্রাষ্টের অধিনে চট্টগ্রাম সহ বাংলাদেশ এর প্রায় বেশিরভাগ জেলা ও উপজেলা ও প্রত্যান্ত অঞ্চলে ২০০ এর অধিক মাদরাসা পরিচালিত হয়ে আসছে যা চলমান আরও বৃদ্ধি পাচ্ছে প্রতিনিয়ত।
এবং আঞ্জুমান ও সৈয়দ আহমদ শাহ সিরকোটি এর বংশধর তৈয়ব শাহ রহঃ পরবর্তীতে প্রতিষ্ঠা করেন গাউসিয়া কমিটি বাংলাদেশ নামে একটি অরাজনৈতিক মানবিক সামাজিক ও আধ্যাতিক সংগঠন, যা বর্তমানে দেশের সীমানা পেরিয়ে বিশ্বের প্রায় অনেক গুলো রাষ্ট্রে এর শাখা রয়েছে।
কোরোনা কালীন সময়ে মৃত ব্যাক্তির দাপন কাপনে ও জানাজা আদায় থেকে অক্সিজেন প্রদান অার্থিক সহোযোগিতা সহ মানবিক কাজ করে প্রায় সকল শ্রেণির সকল মানুষের কাছে সমাদৃত হয়েছে, সাথে বিভিন্ন দুর্যোগের সময় মানুষের পাশে থেকে সহোযোগিতার হাত প্রসারিত করেছেন, সর্বশেষ বি এম ডি পো সিতাকুন্ড অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় বিশেষ ভুমিকা উল্লেখযোগ্য, সিলেট বন্যপরিস্থিতির সময় প্রায় খাদ্য পানীয় অার্থিক সহোযোগিতায় পাশাপাশি কোরবানি মাংস ও পুনর্বাসন কাজেও বহুল সহোযোগিতা করেছে।
বিশেষ করে এই বছর কোরবানির চামড়ার সিন্ডিকেট কে একেবারে ভেঙে দিয়েছে গাউসিয়া কমিটি বাংলাদেশ এর একনিষ্ঠ কর্মীরা, তারা জামেয়া আহমদিয়া সুন্নীয়া কামিল মাদ্রাসা ও আঞ্জুমনা পরিচালিত সকল মাদরাসা সমূহের জন্য কোরবানির চামড়া সংগ্রহ করেছে এবং অনেকেই নিজেরাই গাউসিয়া কমিটি বাংলাদেশ এর কাজে সন্তুষ্ট হয়ে গাড়িতে করে দিয়ে গিয়েছে, শুধুমাত্র চট্টগ্রাম শহর, চট্টগ্রাম উত্তর ও দক্ষিণ মিলিয়ে এক লক্ষ চামড়া সংগ্রহ করেছে গাউসিয়া কমিটি বাংলাদেশ।
রাসুল করিম (দ) এর বংশধর সৈয়দ আহমদ শাহ রহঃ ও উনার পরবর্তী সৈয়দ তৈয়ব শাহ রহঃ এবং উনার পরবর্তী সৈয়দ তাহের শাহ ও সাবের শাহ এর লক্ষ লক্ষ মুরিদান বাংলাদেশ সহ সারা বিশ্বে রয়েছেন, সকলের জন্য জামেয়া আহমদিয়া সুন্নীয়া কামিল মাদ্রাসা এর পাশেই বিশাল মসজিদ সহ মসজিদের পাশেই একটা খানেকাহ রয়েছে, যা সকলের কাছে আলমগীর খানকাহ এ সৈয়্যদীয়া তৈয়বীয়া নামে পরিচিত।