জিন্দাপার্ক
গেলো কিছু বছর যাবত এই জায়গা টা খুব নাম কামিয়েছে। ঢাকার অদূরে নারায়নগঞ্জের রূপগঞ্জ এ এটির অবস্থান। এর আসল বৈশিষ্ট হল ঢাকার খুব কাছে সুন্দর গ্রাম্য পরিবেশে পরিবার/বন্ধুবান্ধব নিয়ে অনায়াসে একটা দিন কাটাতে পারবেন।
এর অতীত ইতিহাস নিয়ে অনেক পোস্ট আছে, তাই আমি আর সেদিকে যাবো না। একটা কথা সত্য, আপনি এখানে গেলে একবার ও মনে হবে না যে আপনার ভালো লাগছে না৷ যেদিকে ই তাকাবেন, সবুজ গাছপালা, তাতে রয়েছে নানা রকমের ফুল, ফল। বড় সান বাধানো পুকুর যেখানে ফুটে রয়েছে লাল শাপলা, পদ্ম ফুল, পুকুরের উপরে বাশের সাকো। গাছের উপরে বিশ্রাম নেওয়ার জন্য বানানো হয়েছে ২ টি টং ঘর, সাথে আছে কয়েকটি মাটির ঘর। এত গাছপালা আর সবুজের অভয়ারণ্যের কারনে আপানার অনেক টা জীবন্ত একটা অনুভুতি আসবে যার কারনে ই হয়তো এর নাম দেওয়া হয়েছে জিন্দাপার্ক।
আপনার যদি ছেলেবেলা গ্রামে কেটে থাকে তাহলে আপনি নিমিষে ই হারিয়ে যাবেন আপনার ছেলেবেলাতে। এই পার্কের মধ্যে আরো রয়েছে একটি স্কুল, লাইব্রেরী, মসজিদ, রেস্তোরাঁ সহ আরো কত কি। গেলে অবশ্যই এখানের লাইব্রেরী তে গিয়ে ঘুরে আসবেন। ঢাকা থেকে যাতায়াত ব্যাবস্থা ভালো হওয়ায় আপনি দিনে গিয়ে সহজে ই দিনে ফিরে আসতে পারবেন।
এছাড়া ঘুরার পর হাতে সময় থাকলে আপনি ঘুরে আসতে পারবেন, পূর্বাচলের নীলা মার্কেট, বালুর নদী থেকেও।
কিভাবে যাবেন-
ঢাকা থেকে যাওয়ার সবচেয়ে সহজ উপায় হল কুড়িল বিশ্বরোড থেকে পূর্বাচল কাঞ্চন ব্রিজ হয়ে যাওয়া।
কুড়িল রেল লাইনের পাশে বি আর টি সি বাস কাউন্টার থেকে কাঞ্চন ব্রিজ পর্যন্ত যাওয়ার টিকিট কিনবেন দাম নিবে ২৫ টাকা। কাঞ্চন ব্রিজ থেকে জিন্দাপার্ক অটো ভাড়া প্রতিজন ৩০ টাকা, রিজার্ভ নিলে ১০০/২০০ টাকায় পেয়ে যাবেন। সেম ওয়ে তে আবার ঢাকা ফিরতে পারবেন, জিন্দাপার্কের গেটে ই অটো সিএনজি, রিক্সা পেয়ে যাবেন।
এছাড়া কুড়িল থেকে চাইলে সিএনজি নিয়ে ও যেতে পারবেন।
টিকিট ও যাতায়াত -
প্রবেশের জন্য প্রাপ্তবয়স্ক প্রতিজনের টিকিট ১০০ টাকা(ছুটির দিনে ৳২০০), বাচ্চাদের ৫০ টাকা।
খাবার বাইরে থেকে নিলে এক্সট্রা ২৫ টাকা, লাইব্রেরি তে ঢোকার জন্য ১০ টাকা। হোন্ডা/ গাড়ি পার্কিং এর জন্য ৫০-১০০ টাকা
কি খাবেন -
জিন্দা পার্কের ভিতরে ই রেস্টুরেন্ট আছে, যেখানে ভাত মাংস ডাল দিয়ে কিছু সেট মেনু আছে যা ২০০/২৫০ টাকার মধ্যে প্রতিজন হয়ে যাবে। আবার চাইলে বাইরে থেকে ও খাবার নিতে পারবেন যার জন্য এক্সট্রা ৫০ টাকা গেটে দিতে হবে।
অথবা ঘুরে ফেরার সময় পুর্বাচলের নীলা মার্কেটে খেতে পারেন আমরা ওখানের আমানুল্লাহ হোটেল - ১ এ খেয়েছিলাম। হরেক রকমের ভর্তা, গরু, মুরগী, হাঁস, বিভিন্ন মাছ সহ ৫০/৬০ পদের খাবার পেয়ে যাবেন। আর পূর্বাচলের ঔতিহ্যবাহী মিস্টি ও পেয়ে যাবেন ঠিক পাশে ই।
সর্বশেষ একটা ই কথা আপনি কিছু পরিষ্কার না করতে পারেন, দয়া করে যেখানে সেখানে ময়লা অন্তত ফেলবেন না। জিন্দাপার্ক ভালো প্রিমানে পরিপাটি করে রাখার চেস্টা করছে সেখানের কর্তব্যরত মানুষেরা, দয়াকরে তাদের পরিশ্রম মাটি করবেন না।
ধন্যবাদ।
©Foottour - ফুট্টুর