মন মাতানো দেশ ![]()
বাংলার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য মানেই এক বর্ণিল স্বপ্নের জগৎ। এই জগতে শুধু প্রবেশ করা যায়, বের হওয়া যায় না। বিশাল এই জগৎকে ঘিরে আছে অনেক সৌন্দর্য। আমরা তার মুগ্ধ দর্শক এই সৌন্দর্যসাগরে।
গিয়েছিলাম উলিপুর, কুড়িগ্রাম একটা ইভেন্টের কাজে দুপুরের মধ্যেই ইভেন্ট শেষ হয়ে যায়। তাই চাচ্ছিলাম আশেপাশে কোন জেলায় ঘুরতে কারন ইতিমধ্যে একাধিকবার কুড়িগ্রাম যাওয়া হয়েছে। অবশেষে সিদ্ধান্ত হলো গাইবান্ধা যাবো। উলিপুরের চৌমহনি থেকে রিজার্ভ অটো করে চলে যাই জাকুয়াগঞ্জ। তারপর থেকেই চিরায়ত বাংলার পথে হাটা শুরু প্রায় এক থেকে দেড় ঘন্টা হাটার পরে পৌছি হরিপুর খেয়াঘাট, সুন্দরগঞ্জ,গাইবান্ধা।
হেটেছি আর উপভোগ করেছি আমার সোনার বাংলা কত অপরুপ আনাচে কানাচে কত সৌন্দ্যর্য্য লুকায়িত।
হেটেছি স্থানীয় দের সাথে মিশেছি। অজপাড়া গায়ের বাজারে চা আর গোলগলা সে এক অমৃত বলা যায়। ঢাকা থেকে গিয়ে হয়ত অনেকেরই পোষাবে নাহ তাই সাথে। বালাসীঘাট সহ গাইবান্ধায় আরো কিছু দেখার জায়গা আছে আশা করি নিরাশ হবেন নাহ।
কিভাবে যাবেন?
গাবতলি থেকে এস আর,হানিফ,শ্যামলি,অরিন, আর কিছু বাস ছেড়ে যায় সরাসরি গাইবান্ধা ভাড়া ৪৫০৳। ওখান থেকে ১০ টাকায় অটোতে করে ধর্মপুর এবং ধর্মপুর থেকে অটো ভ্যানে করে সুন্দরগঞ্জ হরিপুর খেয়াঘাট।
তবে ছবিতে যেই খেয়া ঘাট দেখছেন তা পারাপার হতে হলে আপনাকে গুনতে হবে ৩০ টাকা যদিও মাত্র ৩/৪ মিনিট লাগবে প্রথমে ভেবেছিলাম হয়ত পর্যটক দের জন্য এই ভাড়া কিন্ত নাহ যখন দেখছি স্থানীয় কিছু মানুষ ও ৩০ টাকা করেই ভাড়া দিচ্ছে। আরো কিছু মানুষ দেখলাম ভাড়া দিচ্ছে নাহ তাদের জিজ্ঞেস করাতে বললেন তারা নাকি এককালীন বাৎসরিক চাঁদা দিয়ে থাকে।
কিছু কথা"
মনে রাখবেন নিজ গন্ডির বাহিরে যেখানেই বেড়াতে যান নাহ কেন স্থানীয় দের সম্মান করুন তারা আপনাকে আতিথ্য দিবে। অপচনশীল বর্জ্য/প্লাস্টিক এর বোতল/ চিপ্স এর প্যাকেট যত্র তত্র ফেলে আসবেন নাহ।
সত্যিই আপনার মনকে মাতিয়ে দেয়ার মত রুপ সোনার বাংলা ![]()
পার হয়ে যায় গরু পার হয় ঘোড়া"
দুই ধার উচু তার ঢালু তার পারি"
উত্তরবঙ্গের গ্রাম গুলোয় এখনো ঘোড়ার গাড়ির দেখা মেলে ![]()



