গত কয়েকদিন আগে ইন্ডিয়ান ভিসার কাজে চট্টগ্রাম শহরে গিয়েছি।ভিসা কার্যক্রম সেরে অবসর সময় কাটানোর জন্য গুগল করে চলে যাই চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানায়। এটি এ.কে খান বাসস্ট্যান্ড থেকে আড়াই কিলোমিটার দূরত্বে। চট্টগ্রামের আরও একটি বিনোদন কেন্দ্র ‘ফয়স লেক’ আর চিড়িয়াখানার গেইট পাশাপাশি।
একেবারে প্রথমদিকে একই টিকেটে উভয়টি স্পট ঘুরে দেখাযেতো।এখন অবশ্য ভিন্ন ভিন্ন টিকিট। চিড়িয়াখানার প্রবেশমূল্য বর্তমানে ৫০টাকা।১৯৮৯ সালে উদ্বোধন এর পর প্রবেশমূল্যছিলো ১টাকা। পশু-পাখির সংখ্যা বাড়ার সঙ্গে বেড়েছে টিকেটের দামও।
এটি জাতীয় চিড়িয়াখানা থেকে আয়তনে অনেক ছোট হলেও পশু-পাখির সংখ্যায় কম না। চিড়িয়াখানা গেইটের দুপাশে দুটি বড়বড় হাতি ও জিরাফের ভাস্কর্য রয়েছে।
এখানে বাঘ, সিংহ, হরিণ, বানর, জেব্রা, ঘোড়া, ময়ুর, উটপাখি, কুমির, অজগর ও কচ্ছপসহ অনেক প্রাণী রয়েছে।
রয়েল বেঙ্গল টাইগারসিংহ
কচ্ছপগেইটে ঢুকেই আপনি বাঘ থেকে শুরু করে সব প্রাণী দেখতে পাবেন। এটি পাহাড়ের পাদদেশে অবস্থিত হওয়ায় পাহাড় ভ্রমণের বাড়তি ফিলিংসপাবেন। নতুন করে চার আকর পাহাড়জুড়ে নির্মাণ করা হয়েছে ‘স্বর্গের সিড়ি’। পাহাড়ের চূড়া থেকে আশেপাশের সবুজ-শ্যামলদৃশ্য বেশ উপভোগ্য মনে হবে। বাচ্চাদের বিনোদনের জন্যও ব্যবস্থা রয়েছে।
এটি অন্যান্য বিনোদনকেন্দ্র থেকে অনেক বেশি পরিচ্ছন্ন। নিরাপত্তা ব্যবস্থাও প্রশংসনীয়।
যারা চিড়িয়াখানায় যাবেন তারা ফয়’স লেকও ঘুরে দেখতে পারেন।দুটো একসাথে ঘুরতে চাইলে পুরো একদিন সময় হাতে নিয়ে আসা ভাল হবে।