চিংড়ী ঝর্না,রুমা বান্দারবান,বাংলাদেশ।
তপ্ত রোদে প্রায় ৪০ মিনিট উঁচুনিচু পাহাড়ে হাটার পর যখন ঝর্না পাই সে এক দারুন অনুভূতি।
চিংড়ি ঝর্না, রুমা বান্দারবান।
ভোরের আলো ফুটতেই ঘুম ভেঙে যায় বগালেকে ভোরের বগালেক সে এক দারুন অনুভূতি চারিদিকে সুনসান নীরবতা আলাদা একটা আবহ তৈরী করে। যেহেতু কেওক্রাডং এর চুড়ায় রাতে থাকার প্ল্যান তাই একটু রিল্যাক্স মুডেই সবাই বের হই।
যখন বগালেক পাড়ার গন্ডি পেড়িয়ে উঠতে থাকি তখন পাহাড়ের বিশালতা আর রোদ মেঘের লুকোচুরি র মুগ্ধতা ছড়িয়ে পরে চারপাশে। এক পাহাড়ে মেঘের ঘনঘাটা তো আরেক পাহাড়ে রোদে ঝিলিমিলি মাঝে মাঝে মনে হচ্ছে আকাশ থেকে কেও টর্চ লাইটের আলো ফেলছে মেঘের ভেলা ছিদ্র করে তার ছড়িয়ে পরছে পাহাড়ের গায়ে।
অবশেষে প্রায় ৩০/৪০ মিনিট চলার পর পেয়ে গেলাম এই রুপসী কে। এখানে কি চিংড়ি মাছ পাওয়া যায়?। নাহ যায় নাহ তবে একসময় নাকি পাওয়া যেতো। কিন্তু ঝর্ণার পানিতে চিংড়ি মাছ ? এটা আমাদের কাছে বিশ্বাসযোগ্য মনে হয়নি।
নাম করণের কারন যাই থাক বর্ষাকালে এই ঝর্ণার কাছে দাড়ালে মনে হবে থাকি না একটা দিন এখানেই, মন্দ কি ? ঝর্নার বিশালতা আর সৌন্দ্যর্যের কাছে সবকিছু ম্লান।
তবে শত সৌন্দর্যের মাঝেও নিঃসন্দেহে বলা যায় এটা একটা বিপদজনক ঝর্ণা। কারণ হচ্ছে এর বিশালাকার পিচ্ছিল পাথরগুলো যেকোন অসতর্ক মূহুর্তে ডেকে আনতে পারে হতে পারে ভয়াবহ বিপদ । আর বিপদ মানেই এডভেঞ্চার, সুতরাং সাবধানতা সবার আগে।
বগালেক থেকে কেওক্রাডাং এর পথে পথে ঘন্টাখানেকের এক পাহাড়ি পথ পাড়ি দিলেই পেয়ে যাবেন এই চমৎকার ঝর্ণাটা।
আসল টুকু দেখতে হলে আপনাকে বিশাল বিশাল পিচ্ছিল পাথরগুলো পেরিয়ে আর একটু ভেতরে ঢুকে ডান দিকে ৯০ ডিগ্রি ঘুরতে হবে । দেখবেন অসাধারণ একটি ঝর্ণা, যেন বাশ বাগানের মাথার অনেক উপর থেকে একেবেঁকে নেমে আসছে চমৎকার একটা স্রোতধারা ।
সত্যি বলছি সে এক অসাধারণ অনুভূতি বর্ননা দেয়া মুশকিল। আপনি যখন বগালেক থেকে ৩০/৪০ মিনিট ট্রেক করে ক্লান্ত ঠিক তখনি এই রুপসী দেখা দিবে আপনাকে আহবান করবে তার রুপে জুড়িয়ে নিতে।
চিংড়ী ঝর্নার সৌন্দ্যর্যে মুগ্ধ হতে হলে আপনাকে বগালেক/কেওক্রাডং এর ট্যুর প্ল্যান করতে হবে আমরা সেভাবেই করেছি এবং গিয়েছি।
বৃষ্টি হলে জোকের উপদ্রুব বেড়ে যায় তাই যথাযথ ব্যাবস্থা নিয়ে যাবেন।
যাতায়াত "
ঢাকা>বান্দারবান>রুমা> বগালেক> বগালেক থেকে কেওক্রাডং যাবার পথেই।
বিঃদ্রঃ
কোথাও ঘুরতে গেলে খেয়াল রাখবেন আপনার দ্বারা বা আপনার সাথে যারা যাবে তাদের দ্বারা উক্ত স্থানের কোন ধরণের যেন ক্ষতি না হয়, যে কোন ধরণের উচ্ছিষ্ট (প্যাকেট/বোতল) যেখানে যেখানে না ফেলে সাথে করে নিয়ে আসবেন । আশাকরি সবাই নির্দিষ্ট স্থানে ময়লা ফেলবেন। যেখানে-সেখানে ময়লা-আবর্জনা ফেলে পরিবেশ নষ্ট করবেন না।