বাংলাদেশ লোকাল গাইড এর সপ্তম বছর পূর্তি উপলক্ষে বলে কথা তাইতো মনের মাঝে আনন্দের বিন্দুমাত্র শেষ সীমানা নেই। আর এই সপ্তম বছর সেলিব্রেশন অনুষ্ঠানটি বাংলাদেশের ভাইরাল হওয়া এবং নামকরা রেস্টুরেন্টের মাঝে আয়োজক টিম আয়োজন করেছেন। তাই আয়োজক টিমের সকল ভাইদেরকে জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা এবং ভালোবাসা। রেস্টুরেন্টির নাম হচ্ছে " প্রজেক্ট হিলসা " যানিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় নানা গুঞ্জন সৃষ্টি হয়েছে। 11 তারিখ শুক্রবার যেতে হবে প্রজেক্ট হিলসাতে। তাই তো আর দেরি নয় সকাল সকাল ঘুম থেকে উঠে প্রস্তুত হয়েগেলাম প্রজেক্ট হিলসাতে যাওয়ার জন্য। আনুমানিক সকাল 6:30 এ বাসা থেকে বের হলাম। বরাবরের মতোই বসুন্ধরা আবাসিক সিটির গেটে চলে গেলাম। যেখানে আরো লোকাল গাইড তিনজন ভাই আমরা একসাথে প্রচেষ্টা বাসে করেই সরাসরি মাওয়ার উদ্দেশ্যে রওনা হলাম। যেহেতু শুক্রবার ছিল সেতু ঢাকা শহরের জ্যাম মোটামুটি কমই ছিল। তাইতো আমাদের প্রচেষ্টা বাসটি চলন্ত গতিতে যাচ্ছিল। যতই মাওয়ার কাছাকাছি যাওয়া হয় ততই তার রাস্তা গুলো দেখতে খুবই ভালো লাগে। কেরানীগঞ্জের পর থেকে মাওয়া পর্যন্ত রাস্তা অনেক সুন্দর মনমুগ্ধকর পরিবেশ দেখলেই মনে হয় অন্য এক জগতে আসলাম।
যে রাস্তাটি বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধানে করা হয়েছে। এত সুন্দর রাস্তা আমাদের সকলের মাঝে উপহার দেওয়ার জন্য বাংলাদেশ সরকার এবং বাংলাদেশ সেনাবাহিনীকে অসংখ্য ধন্যবাদ। বাসের জানালা দিয়ে রাস্তায় এবং বাইরের পরিবেশ উপভোগ করতে করতেই দশটার মধ্যে মাওয়া ঘাটে এসে পড়লাম। পদ্মার পাড়ে পদ্মা নদীর মনোরম দৃশ্য পানির উতাল পাতাল ঢেউ এবং শীতল বাতাস উপভোগ করার জন্য ঘাটে গিয়ে কিছুক্ষণ বসলাম। এরপর পরে মনে পড়ল সকালের নাস্তাটা হয় নাই তো আর কি সবাই মিলে মাওয়ার হোটেলগুলোতে গিয়ে সকালের নাস্তাটা সেরে ফেললাম। আমার হোটেলগুলো মোটামুটি আছে যেখানে বেশিরভাগ মানুষ পদ্মা নদীর তাজা ইলিশ মাছ খাওয়ার জন্য মানুষ যায়। সকালের নাস্তাটা সেরে আবার নদীর পাড়ে গিয়ে বসলাম। শীতল বাতাস উপভোগ করতে করতে মোটামুটি ঘন্টাদুয়েক পার হয়ে গেল। এরই মাঝে আরও কয়েকজন লোকাল গাইড ভাইদের সাথে দেখা। সবার সাথে অনেকদিন পরে দেখা হল তাই মনের মাঝে অন্যরকম আনন্দ অনুভব হচ্ছে। সবাই যখন হাসি খুনসুটির মধ্যে দিয়ে সময় পার করছিল ঠিক তখনই সিদ্ধান্ত হয় নৌকায় করে পদ্মা সেতুর মাঝ পর্যন্ত যাওয়া যেখান থেকে পদ্মা সেতুকে খুব সুন্দর ভাবে দেখা যাবে। পদ্মা সেতু বাংলাদেশের একটি বড় এবং ঐতিহ্যবাহী সেতু হতে যাচ্ছে। যাহা বাংলাদেশের গর্ব।
পদ্মা সেতু, পদ্মা নদী সবকিছু উপভোগ করতে করতে মোটামুটি দুপুর হয়ে গেছিল।যেহেতু মাওয়াতে আসলাম পদ্মার ইলিশ না খাইলে কি হয়!! তাই বাকি সবাই মিলে সিদ্ধান্ত এবং কয়েকটি দোকান যাচাই-বাছাইয়ের পরে একটা দোকানে বসলাম এবং ইলিশ মাছ, বেগুন বাজি এবং ইলিশ মাছের ভর্তা দিয়ে দুপুরের খাওয়া টি সেরে নিলাম । আবার এদিকে সপ্তবর্ষ সেলিব্রেশন অনুষ্ঠানটি মাওয়ার সংলগ্ন বর্তমান সময়ে আলোচিত রেস্টুরেন্ট প্রজেক্ট হিলসাতে বিকাল তিনটার মধ্যে অনুষ্ঠিত হবে। তাই সবাই মিলে প্রজেক্ট হিলসাতে রওনা দিলাম। সেখানে গিয়ে দেখি এক মহা মিলন মেলা। অনেক লোকাল গাইড ভাইয়ারা আসছে। সবাই সিরিয়াল ধরে টি-শার্ট এবং ব্যাগ সংগ্রহ করছে। এবং টি-শার্ট পরে নিল সবাই সবাইকে একই রকম মনে হচ্ছে, মনের মাঝে সেই অন্যরকম অনুভূতি। আস্তে আস্তে সকলেই প্রজেক্ট হিলসার ভিতরে প্রবেশ করলো।
প্রজেক্ট হিলসা রেস্টুরেন্টে অসাধারণ যার গঠন কাঠামো একটি ইলিশ মাছের আকৃতি দিয়ে তৈরি করা।
ভিতরের পরিবেশ খুবই মনমুগ্ধকর। প্রজেক্ট হিলসার মালিকপক্ষ এবং কর্মচারীবৃন্দ সকলেই বন্ধুত্বপূর্ণ। ভিতরে রয়েছে অত্যাধুনিক লাইভ কিচেন, শিশুদের জন্য খেলাধুলার আলাদা পরিবেশ,সুন্দর নামাজের ব্যবস্থা। সম্পূর্ণ রেষ্টুরেন্টটি শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত।
পুরো রেস্টুরেন্ট ঘুরে দেখতে দেখতে শুরু হয়ে গেল মূল অনুষ্ঠান। যেখানে কয়েকজন মেহমান এবং বাংলাদেশ লোকাল গাইড এর আয়োজক টিম কিছু কথোপকথন সকলের মাঝে শেয়ার করলো। যেগুলো মনোযোগ দিয়ে শুনলাম। এবারের আমাদের মূল স্লোগান ছিল নবায়নযোগ্য শক্তি নিয়ে। এখানে বলা হয়েছিল " Save Energy Towards Better Future ". অনুষ্ঠানটি সামনের দিকে অগ্রসর হচ্ছিল এরই মাঝে আমরা সকলেই গ্রুপ ছবি এবং কিছু হালকা নাস্তা করে নিলাম। পুরো অনুষ্ঠানটি আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছিল। গুগল ম্যাপ এবং কানেক্ট ফোরাম সম্পর্কে নতুন কিছু জানার ছিল মূল উদ্দেশ্য।
বাংলাদেশ লোকাল গাইডস এর আয়োজক টিমকে অনেক অনেক ধন্যবাদ জানাই এরকম সুন্দর একটি প্রাণবন্ত কর অনুষ্ঠান সকলের মাঝে উপহার দেওয়ার জন্য।
#bangladesh
#localguidesconnect
#localguidesbd
#projecthilsha
#161meetup
#bdlg
#7yearsofbdlg