ছোট নদীর উপর দিয়ে বয়ে যাওয়া একটি সাঁকো ।
সাঁকো বাংলাদেশে আদি-কালের নদী পারাপারের সহজ একটি মাধ্যম হিসেবে ব্যাবহৃত হতো , কিন্ত বর্তমানে সভ্যতার বিকাশে ইট পাথরের ব্যাবহারের ফলে সাঁকো দেখতে পাওয়া খুব ভাগ্যের ব্যাপার।
তবে গ্রাম-গন্জে এখনো ঐতিহ্যবাহী সাঁকোর দেখা মেলে যদিও তা খুব কম সংখ্যক।
পথচারী পারাপার হচ্ছে ।
পল্লী গ্রামে বর্ষার মৌসুমে পানিতে / কাঁদায় নদী,ছোট নদী,খাল পরিপূর্ণ থাকতো তখন সেসব যায়গা দিয়ে সহজে পারাপার হওয়ার জন্য সাঁকো ব্যাবহার করতো।
সাঁকো সাধারনত বাঁশ দিয়ে তৈরি করা হয়।
একটি সাঁকো তৈরি করতে অনেকগুলো বাঁশের প্রয়োজন হয়। সেক্ষেত্রে মহল্লার / পাড়ার সকল লোকজন মিলে সবার থেকে দুইটা/তিনটা করে বাঁশ সংগ্রহ করে বিশেষ একটি দিনে সবাই একযোগে কাজ করে খাল/নদীর বুকে সাকো তৈরি করতো। তাদের যাতায়াতের পথে নদী/খাল পারাপারের সুবিধার জন্য।
সম্পূর্ণ বাঁশের তৈরি একটি সাঁকো ।
নদীর বুকের দুইপাশে সরু বাঁশ কুপে দুই বাঁশের মধ্যবর্তী স্থানে ঢালাওভাবে বাঁশ বেধে দেওয়া হয়। এবং উপরিঅংশে যে কোন এক পাশে হাতল বেধে দেওয়া হয়।
যেটা ধরে সহযে সাঁকো পারাপার হতে পারে।
তৈরি করণ প্রক্রিয়া ।
সাঁকোর হাতল ধরে আমি পারাপার হচ্ছি।
অনেকে সাঁকো পারাপার হতে খুবই ভয় পায় , বিষেশ করে শহরের লোকজন। তবে গ্রামের লেকজন সাঁকো পারাপারে বেশ অভ্যস্ত।
বার্তা কিছু বাঁশ রেখে দেয়া হয় যা প্রয়োজন হলে ব্যবহার করা হয় ।
সাঁকো তৈরি করা খুব একটা কঠিন কাজ না, যার ফলে বাড়তি কোন মিস্ত্রী বা কারীগরের প্রয়োজন হয়না।
বর্তমানে দেশের উন্নয়ের ফলে অধীকাংশ নদী/খালে সরকারী অর্থায়নে ব্রীজ তৈরি হয়েছে। যার ফলে গ্রামের সাধারন মানুষের ভোগান্তি লাঘব হয়েছ।
সাঁকো বাংলাদের একটি ঐতিহ্য / ইতিহাস।
সাঁকো কি জিনিস ? তা হয়তো পরবর্তী প্রজন্ম চিনবেও না।
পোস্ট টি পড়ার জন্য ধন্যবাদ ।
আপনার মন্তব্য জানাতে ভুলবেন না ।