নরসিংদীর রায়পুরা উপজেলার মির্জানগর ইউনিয়নে আমার গ্রামের বাড়ি।
ছবিঃ আমার গ্রামের বাড়িদুইদিনের ভ্রমনে গ্রামের বাড়িতে গিয়েছি আমার গ্রামের সামান্য কিছু দূরে আমার শ্বশুরবাড়ি। ৬ তারিখে বাড়িতে গিয়ে শ্বশুরবাড়িতে ভূড়িভোজ ও জামাইআদরে সিক্ত তিক্ত আমি। অনেকদিন পরে যাওয়ায় সমাদরের উপ্রে ছিলাম তাই কিছুটা বিরক্ত বলতে পারেন।
ছবিঃ শ্বশুরের বাগানে কামকাজহীন বসে থাকা?
শ্বশুরবাড়িতে পরের দিন কোনো কাজকর্ম নাই প্ল্যান করলাম খাইয়া ঘুমিয়ে সময় নষ্ট করতে চাইনা। একটা অটো রিজার্ভ নিলাম সারাদিনের জন্য ৫০০ টাকা দিয়ে। অটোরিকশা নিয়া প্ল্যান গ্রামে গ্রামে ঘুড়বো আর শিমুল ফলের সৌন্দর্য উপভোগ করবো।
বসন্তের এসময় শিমুল গাছের ফুলগুলো রক্তিম লাল হয়ে থাকে। খোঁজ নিয়ে যা জানলাম রায়পুরার উলিপুর এলাকায় অসংখ্য শিমুলগাছ সারি সারি।
সকাল ১০ টায় রওনা দিলাম বউসহ রাধাগঞ্জ বাজারের পাশদিয়ে বয়ে গেছে আড়িয়াল খা নদী। সেই নদীর পাশ দিয়ে চলতে চলতে প্রথমে গেলাম রায়পুরা উপজেলার শহরে এরপর তুলাতুলি হাসপাতালের রাস্তা দিয়ে সোজা চলে গেলাম পাহাড়ি এলাকা মরজাল। মরজাল এলাকা লটকনের জন্য বিখ্যাত। লটকন নিয়ে আরেকটা পোস্ট লিখবো পরবর্তী সময়ে। লটকনের বাগান ঘুড়ে চললাম রায়পুরার সবচেয়ে সুন্দর গ্রাম বেলাইতলি গ্রামে।
বিলের পাশে, বাড়ি উঠানে, রাস্তার পাশে সবুজের মাঝে উঁকি দিয়ে যাচ্ছে পলাশের রক্তিম রঙ। রাস্তা লাল হয়ে আছে মেঠোপথ। অসাধারণ কিছুসময় কাটলো… ঝিরিঝিরি বাতাস কাঁচা মাটির গন্ধ গ্রামের ফ্রেশ অক্সিজেন গ্রহণ করতে করতে মাঝ দুপুর হয়ে গেলো। একটি জায়গা খুঁজতে ছিলাম আমি, রাস্তার দুধারে একনাগাড়ে অনেকগুলো শিমুলগাছ আছে। ট্রাভেল গ্রুপে এক ছবিতে দেখলাম লাল রঙের গেইট মনে হচ্ছিলো। জায়গাটি খুঁজে না পেয়ে নিরাশ হয়ে বাড়ি ফিরে যাওয়ার উদ্দেশ্যে রওনা দিলাম। একটি রেলগেইট পাড় দিতে হঠাৎ একজায়গায় নজর আটকে গেলো। দুপুরের রৌদে চারদিকে লালের আভায় দৃষ্টি ফেরানো দায়। মহিষমারা রেলগেইটের কাছেই অটো রেখে রেললাইন দিয়ে হাঁটা শুরু করলাম। একলাইনে ৫০/৬০ টি শিমুলগাছের রক্তিম লালে পরিবেশ মনে হচ্ছিলো লাল শাড়ি পড়ে দাড়িয়ে আছে।
রেললাইন থেকে নেমে মেঠো পথ হেঁটে শিমুলের মেলায় গিয়ে অসংখ্য ছবি ভিডিও করলাম। দুপুর ২.৩০ মিনিট পেটের ক্ষিদেও পালিয়ে গেছে প্রকৃতির সৌন্দর্যে। স্থানীয় এ লোকের মারফতে জানতে পারলাম সাড়ি সাড়ি এ গাছগুলো কেউ লাগায়নি এমনি এমনি হয়েছে রেলের জায়গায়। প্রতিদিন বিকালে বেশ অনেকেই আসে এখানে ছবি তুলতে ও আড্ডা দিতে। ৩ টার দিকে সে জায়গা থেকে বিদায় নিয়ে চলে আসলাম শ্বশুরবাড়িতে ফ্রেশ হয়ে দুপুরের খাবার খেয়েই বিকাল ৪.১৫তে আবার বের হয়ে গেলাম অন্য আরেক সৌন্দর্য উপভোগ করবো এরজন্য। রায়পুরা উপজেলার মির্জানগর ইউনিয়নের পূর্বকান্দি গ্রামে রেললাইনের কাছ ঘেঁষা বেশ কয়েকটি শিমুল গাছ লাল সৌন্দর্য নিয়ে ট্রেনের অপেক্ষায় থাকে।
বিকালের সময়টা সেখানে ট্রেন ও প্রকৃতির সৌন্দর্যের ছবি তুলেছি ও বসে সন্ধা নামার আগে বাতাসে বসে সবুজ সমারোহের বিস্তৃতি ফসলের ক্ষেতের সৌন্দর্য উপভোগ করেছি।
সন্ধার পরে সেখান থেকে ফিরে এসেছি শ্বশুড়বাড়িতে।
কষ্ট করে পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
পরিবেশ নোংরা করবেন না দয়া করে।
#7yearsofbdlg
#bangladesh #localguidesbd #7yearsofbdlg