ঘুরে এলাম মহেরা জমিদার বাড়ি, মির্জাপুর, টাঙ্গাইল।

ঘুরে এলাম মহেরা জমিদার বাড়ি

ভ্রমন আমায় টানে, সবথেকে ভালো লাগে পুরাকীর্তি দেখতে, পুরনো বাড়িঘর দেখার ইচ্ছে সবসময়ই হয়। মাঝেমধ্যে ফুরসৎ পেলেই ছুটে যেতে মন চায়।

তিন চারটা বিল্ডিং এর মধ্যে এটা একটা।

২০১৯ সালের ১৬ ই ডিসেম্বর অফিসের স্টাফ দের নিয়ে ঘুরতে যাই টাঙ্গাইল জেলার মির্জাপুর থানাধীন তৎকালীন মহেরা জমিদার বাড়ি। ঢাকা থেকে ভোরবেলা মাইক্রো নিয়ে রওনা দিয়ে জমিদার বাড়ি গিয়ে পৌঁছাই সকাল ১০:৩০ নাগাদ। এই জমিদার বাড়ির পাশেই পুলিশ ট্রেনিং সেন্টার। সকালের নাস্তা সেরে টিকেট কেটে ভিতরে ঢুকে পড়ি। ঢুকতেই বড় এক দীঘি চোখে পড়ে নাম হল বিশাখা দীঘি। একটু এগুতেই দেখি পুলিশ ভাইয়েরা ট্রেনিং করছে। পুরো জমিদার বাড়ি দেখে ভালো লাগে কিন্তু আফসোস হয় ভিতরে ঢুকতে না পেরে।

পাশাপাশি দুটি ইমারত কালের সাক্ষী হয়ে দাঁড়িয়ে আছে।

চারপাশ খুবই পরিচ্ছন্ন আমাদের মতই অনেক ভ্রমন পিপাসু রা এসেছে সবাই ঘুরে ঘুরে দেখছে আর ছবি তুলছে। আমরাও ব্যতিক্রম নই আমাদের টিমের সবাই ছবি তুলায় ব্যাস্ত হয়ে পড়লো। আমিও অনেক ছবি তুলে নিলাম।

দুই ইমারতের মাঝখানে দাড়িয়ে আমি।

গেইট

মোদ্দা কথা এসকল দর্শনীয় স্থানে না গেলে বুঝা যায় না ছবি দেখে অন্তত কিছুটা আঁচ করা যায়। ঘণ্টা তিনেক ওখানে সময় দিয়ে আমরা ফিরে চলে আসি আর স্মৃতির পাতায় পুরে নেই মহেরা জমিদার বাড়িকে।

টিনি প্ল্যানেট ভিউ

জমিদার বাড়ির লন থেকে ৩৬০° ছবি।

যেভাবে যাবেন:

বাসে গেলে:

টাঙ্গাইল প্রসাশনের ওয়েবসাইটে প্রদত্ত ঠিকানা-যেভাবে যেতে হবে- ঢাকা থেকে টাঙ্গাইলগামী বাসে নাটিয়াপাড়া বাসষ্ট্যান্ডে নেমে অপেক্ষ্যমান সিএনজি বেবীটেক্সীযোগে (ভাড়া ৭৫ টাকা, শেয়ারে জন প্রতি ১৫ টাকা) ০৩ কিঃমিঃ পূর্ব দিকে মহেড়া জমিদার বাড়ি । মহাসড়কে পুলিশ ট্রেনিং সেন্টার, মহেড়া, টাঙ্গাইল নামে দিক নির্দেশনা ফলক (বিশাল সাইনবোর্ড) আছে। আর যারা উত্তরবঙ্গ থেকে আসবেন তারা যে কোন ঢাকাগামী বাসে টাঙ্গাইল পার হয়ে ১৭ কিঃমিঃ পর নাটিয়াপাড়া বাসষ্ট্যান্ডে নেমে একইভাবে যেতে পারেন।

বিশাখা দীঘি

ট্রেনে গেলে:

ঢাকা থেকে টাঙ্গাইল গামী সকালের ট্রেন সমূহ:

ধূমকেতু এক্সপ্রেস ঢাকা থেকে ছাড়ে ৬:০০ টায় পৌঁছে ৭:৫৭ মিনিটে।

একতা এক্সপ্রেস সকাল ১০:১০ এ ছেড়ে টাঙ্গাইল পৌঁছে ১২:০৭ মিনিটে

জামালপুর এক্সপ্রেস সকাল ১০:৩০ এ ছেড়ে টাঙ্গাইল পৌঁছে ১২:৫০ মিনিটে।

(নোট: ট্রেন লেট ও হতে পারে)

টাঙ্গাইল নেমে ওখান থেকে বিভিন্ন বাহনে চেপে যেতে পারবেন।

খাওয়া দাওয়া করার জন্যে প্রবেশ পথের পাশেই রেস্টুরেন্ট আছে সুলভ মূল্যে খেয়ে নিতে পারবেন যদিও আমরা ফেরার সময় পথিমধ্যে দুপুরের খাবার খেয়েছিলাম।

জমিদার বাড়ির ভিতরের দৃশ্য।

#7yearsofbdlg

#bangladesh #localguidesbd #7yearsofbdlg

12 Likes

@ArmanulHaque ধন্যবাদ বাংলায় সুন্দরভাবে আপনার মহেরা জমিদার বাড়ি ভ্রমন গল্প শেয়ার করার জন্য।

২০১৯ এর শেষে আমাদের একটা মিট আপ ছিলো টাঙ্গাইলে। তার অংশ হিসাবে আমি মহেরা জমিদার বাড়ি নিয়ে একটি পোস্ট লিখেছিলাম। দেখে আসতে পারেন চাইলে।

আরো সুন্দর সুন্দর পোস্ট দেখার অপেক্ষায়।

হ্যাপী গাইডিং!

1 Like

@ShafiulB অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে ভাই।

1 Like

Beautiful place

1 Like